ঢাকা, ২০ এপ্রিল শনিবার, ২০২৪ || ৭ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
১৭০

‘পুলিশের অজ্ঞতায় আইএসের টুপি পরে এজলাসে আসে জঙ্গিরা’

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২০:০২ ২৮ নভেম্বর ২০১৯  

পুলিশের সাবেক কর্মকর্তারা বলছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিম্নপর্যায়ের সদস্যদের অজ্ঞতা এবং অবহেলার কারণেই হলি আর্টিজান মামলার দুই আসামি আইএসের প্রতীক চিহ্নিত টুপি পরে এজলাসে উঠতে পেরেছে।
কারা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোনো না কোনো পর্যায়ের গাফিলতির কারণেই এ দৃশ্যের অবতারণা ঘটেছে।
বহুল আলোচিত হলি আর্টিজান হামলা মামলার রায়ে ৮ আসামির মধ্যে ৭জনেরই সর্বোচ্চ সাজা হয়েছে। মাত্র সাড়ে ৩ বছরের মাথায় শেষ হয়েছে ভয়াবহ এ হামলার বিচারকাজ। তবে এসব ইতিবাচক বিষয় ছাপিয়ে আলোচনায় ২ আসামির আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আইএসের প্রতীক সংবলিত টুপি মাথায় দেয়া।
ঘটনার দিনের ছবি বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, বুধবার সকালে প্রিজনভ্যানে আদালতে নিয়ে আসার সময় রাকিবুল ইসলাম রিগ্যানের মাথায় কোনো টুপিই ছিল না। হাজতখানায় ঘণ্টা দেড়েক রাখার পর এজলাসে তোলার সময় তার মাথায় দেখা যায় কালো রংয়ের একটি টুপি। এর মিনিট ১৫ পর রায় ঘোষণা শেষে এজলাস থেকে বের করে নিয়ে আসার সময় ওর মাথায় ছিল আইএসের প্রতীক সংবলিত টুপি। 
কাঠগড়ায় থাকা অবস্থায় কোনো এক সময় টুপিটি পরে রিগ্যান। একজন দুর্ধর্ষ জঙ্গি দীর্ঘদিন কারাগারে থাকা অবস্থায় কিভাবে এমন টুপি সংগ্রহ করলেন- প্রশ্ন ছিল সাবেক পুলিশ প্রধানের কাছে।
প্রাক্তন পুলিশ মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাথায় এটা ঢুকেই নাই। এখানে পেশাদারিত্বের অভাব ছিল। এখানে যারা নিচে বলতে কনস্টেবল আছে ,তারা এতে মনযোগী ছিল না।
তিনি বলেন, জেলখানায় কোনো যোগাযোগের মাধ্যম নেই। প্রশ্ন হলো, কীভাবে তারা একত্রিত হলো। একসঙ্গে হয়ে জঙ্গিরা আরো শক্ত হয়েছেন।
সাবেক উপ কারা মহাপরিদর্শক মেজর (অব.) শামসুল হায়দার সিদ্দিক বলেন, এ ধরনের সময় কারাগারে কিছু পরা নিষেধ।  তারা পরার অনুমতি পেল কী করে।
তিনি বলেন, পুরো বিষয়টি খোলাসা হওয়ার জন্য আগাম কোনো মন্তব্য না করে তদন্ত শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা প্রয়োজন।
তবে দুজনই মনে করেন, যেভাবেই এ কাণ্ড হয়ে থাকুক না কেন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে এর নিষ্পত্তি করতেই হবে।