প্রাণঘাতি ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি : দেড়শ’ বছরের হিসেব-নিকেশ
লাইফ টিভি 24
প্রকাশিত: ১৩:৫৫ ২০ মে ২০২০

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়ে নানা সময়ে বাংলাদেশে লাখ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। বিপুল ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছেন ঊপকূলীয় অঞ্চলের জনসাধারণ। গেল কয়েক দশকে দেশের দুর্যোগ মোকাবেলার সক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়ায় ঝড়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমেছে। এতদসত্ত্বেও এক যুগ আগে প্রলয়ঙ্করী ‘সিডর’-এর ধ্বংসযজ্ঞ এখনো মানুষের চোখে ভেসে ওঠে। ২০০৭ সালের নভেম্বরে ওই ঝড় ও প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে প্রাণ হারান সাড়ে তিন হাজার মানুষ।
এখন আরেক ঝড়ের মুখে বাংলাদেশ। ‘আমফান’কে সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ঝড় বলা হচ্ছে।
ঝড়ে প্রাণহানি এড়াতে ঊপকূলীয় জেলাগুলোর ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়া হয়েছে। শক্তিশালী ঝড় মোকাবেলায় ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
গেল দেড়শ বছরে বাংলাদেশে সবচেয়ে প্রলয়ঙ্করী ঝড়গুলোতে প্রাণহানির চিত্র তুলে ধরা হলো -
১৯৭০ সালের ১৩ নভেম্বর বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকার উপর দিয়ে বয়ে যায় প্রলয়ঙ্করী ‘গ্রেট ভোলা সাইক্লোন’। এ ঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২২২ কিলোমিটার।এতে চট্টগ্রাম, বরগুনা, খেপুপাড়া, পটুয়াখালী, ভোলার চর বোরহানুদ্দিনের উত্তর পাশ ও চর তজুমুদ্দিন এবং নোয়াখালীর মাইজদি ও হরিণঘাটার দক্ষিণপাশ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেই ঝড়ে প্রাণ হারায় প্রায় সাড়ে ৫ লাখ মানুষ। ৪ লাখের মতো বসতভিটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এর আগে ১৮৭৬ সালের ২৯ অক্টোবর বরিশালের বাকেরগঞ্জে মেঘনা নদীর মোহনার কাছ দিয়ে তীব্র ঘূর্ণিঝড় বয়ে যায়। এর গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ২২০ কিলোমিটার। এর প্রভাবে ১২ মিটারের বেশি জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয় ঊপকূলীয় এলাকা। চট্টগ্রাম, বরিশাল ও নোয়াখালীর উপকূলে তাণ্ডব চালিয়ে যাওয়া এ ঘূর্ণিঝড়ে প্রায় ২ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়।
এর আগে ১৭৬৭ সালে এই বাকেরগঞ্জেই ঘূর্ণিঝড়ে প্রাণ হারান ৩০ হাজার মানুষ। এরপর ১৮২২ সালের জুন মাসে সাইক্লোনে বরিশাল, হাতিয়া ও নোয়াখালীতে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ মারা যান। ১৮৩১ সালে বালেশ্বর-উড়িষ্যা উপকূল ঘেঁষে চলে যাওয়া তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে বরিশাল উপকূলের ২২ হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটে। ১৫৮৪ সালে পাঁচ ঘণ্টাব্যাপী ঘূর্ণিঝড়ে পটুয়াখালী ও বরিশাল জেলার উপকূলের ২ লাখ মানুষ প্রাণ হারান।
১৮৯৭ সালের ২৪ অক্টোবর চট্টগ্রাম অঞ্চলে আঘাত হানে এক ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়। তাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় কুতুবদিয়া দ্বীপ। ঝড়ে প্রাণ খোয়ান পৌনে ২ লাখ মানুষ। ১৯০৯ সালের ১৬ অক্টোবর খুলনা অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড়ে প্রাণ হারান ৬৯৮ জন। ১৯১৩ সালের অক্টোবরে ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলায় মৃত্যু হয় ৫০০ জনের। এর ৪ বছর পর খুলনায় ফের এক ঘূর্ণিঝড়ে ৪৩২ জন মারা যান।
১৯৪৮ সালে ঘূর্ণিঝড়ে প্রাণ হারান চট্টগ্রাম ও নোয়াখালী অঞ্চলে ১ হাজার ২০০ বাসিন্দা। ১৯৫৮ সালে বরিশাল ও নোয়াখালীতে ঝড়ে মৃত্যু হয় ৮৭০ জনের। ১৯৬০ সালে অক্টোবরে ঘণ্টায় ২১০ কিলোমিটার গতির প্রবল ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, বাকেরগঞ্জ, ফরিদপুর, পটুয়াখালী ও পূর্ব মেঘনা মোহনায়। ঝড়ের প্রভাবে ৪.৫-৬.১ মিটার উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হয়। এতে মারা পড়েন ঊপকূলের প্রায় ১০ হাজার অধিবাসী। পরের বছর ১৯৬১ সালের ৯ মে তীব্র ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে বাগেরহাট ও খুলনা অঞ্চলে। বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৬১ কিলোমিটার। প্রায় সাড়ে ১১ হাজার মানুষ মারা যান এ ঝড়ে।
১৯৬২ সালে ২৬ অক্টোবর ফেনীতে তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে প্রায় হাজারখানেক মানুষের মৃত্যু হয়। ১৯৬৩ সালের মে মাসে ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত হয় চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, কক্সবাজার এবং সন্দ্বীপ, কুতুবদিয়া, হাতিয়া ও মহেশখালী উপকূলীয় অঞ্চল। এ ঝড়ে প্রাণ হারান ১১ হাজার ৫২০ জন।
১৯৬৫ সালে মে মাসে ঘূর্ণিঝড়ে বারিশাল ও বাকেরগঞ্জে প্রাণ হারান ১৯ হাজার ২৭৯ জন। সেবার ডিসেম্বরে আরেক ঘূর্ণিঝড়ে কক্সবাজারে মৃত্যু হয় ৮৭৩ জনের। পরের বছর অক্টোবরে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে সন্দ্বীপ, বাকেরগঞ্জ, খুলনা, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী ও কুমিল্লায়। এতে মারা যান ৮৫০ জন।
পরে ১৯৭১ সালের নভেম্বরে, ১৯৭৩ সালের ডিসেম্বরে, ১৯৭৪ সালের আগস্টে ও নভেম্বরে, ১৯৭৫ সালের মে মাসে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে উপকূলীয় এলাকায়। ১৯৮৩ সালের অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে দুটি ঘূর্ণিঝড়ে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও নোয়াখালী জেলার উপকূলীয় এলাকা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রাণ যায় অনেকের।
১৯৮৫ সালের মে মাসে ঘূর্ণিঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয় সন্দ্বীপ, হাতিয়া ও উড়িরচর এলাকা। এই ঝড়ে প্রাণ হারান ঊপকূলের ১১ হাজার ৬৯ জন বাসিন্দা। ১৯৮৮ সালের নভেম্বরে ঘূর্ণিঝড় লণ্ডভণ্ড করে দিয়ে যায় যশোর, কুষ্টিয়া, ফরিদপুর এবং বরিশাল ও খুলনা অঞ্চলের উপকূলীয় এলাকা। গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৬২ কিলোমিটার। এতে ৫ হাজার ৭০৮ জন প্রাণ হারান।
১৯৯৪ সালের মে মাসে এবং পরের বছর নভেম্বরে কক্সবাজারে, ১৯৯৭ সালের মে মাসে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী ও ভোলা জেলায় ঘূর্ণিঝড়ে প্রাণহানি ঘটে। ১৯৯১ সালের ৩০ এপ্রিল বয়ে যায় আরেক প্রলয়ঙ্করী ঝড়। ভারত মহাসাগরে উৎপত্তি ছিল সেই ঝড়ের। পরে তা ঘণ্টায় ২২৫ কিলোমিটার গতিবেগ নিয়ে আছড়ে পড়ে চট্টগ্রাম ও বরিশালের উপকূলীয় এলাকাগুলোতে। প্রায় দেড় লাখ লোকের প্রাণহানি ঘটে।
২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর ঘূর্ণিঝড় সিডরের আঘাতে বিধ্বস্ত হয় দেশের দক্ষিণ উপকূল। উত্তর ভারত মহাসাগরে আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের কাছে সৃষ্ট এ ঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ২৬০ থেকে ৩০৫ কিলোমিটার। এতে ৩ হাজরের বেশি মানুষ মারা যায়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় ৩২টি জেলার ২০ লাখ মানুষ। উপকূলীয় এলাকায় প্রায় ৬ লাখ টন ধান নষ্ট হয়। সুন্দরবনের প্রাণীর পাশাপাশি ব্যাপক গবাদিপশু প্রাণ হারায়।
২০০৯ সালের ২১ মে ভারত মহাসাগরে সৃষ্টি হয় ঘূর্ণিঝড় আইলা। এর অবস্থান ছিল কলকাতা থেকে ৯৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে।চার দিনের মাথায় ২৫ মে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাংশ ও ভারতের দক্ষিণ-পূর্বাংশে আঘাত হানে এই ঝড়। এতে ভারতের ১৪৯ জন ও বাংলাদেশের ১৯৩ জনের প্রাণ কেড়ে নেয়। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাংশে উপকূলে প্রায় ৩ লাখ মানুষ বাস্তুভিটা হারা হয়।
২০০৮ সালের অক্টোবরে ঘণ্টায় ৮৫ কিলোমিটার বেগের বাতাস নিয়ে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড় রেশমিতেও প্রাণহানি ঘটে। ২০১৩ সালের মে মাসে ঘূর্ণিঝড় ‘মহাসেন’-এ প্রাণ হারান ১৭ জন। এরপর ২০১৬ সালে ঘূর্ণিঝড় ‘রোয়ানু’র আঘাতে মারা যান চট্টগ্রামের ২৬ জন বাসিন্দা।
- আগামী জাতীয় নির্বাচন গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ হবে: ডিএমপি কমিশনার
- পটেটো চিপস খেয়ে নিজের বিপদ ডেকে আনছেন না তো!
- বন্ধ হচ্ছে ৯ আর্থিক প্রতিষ্ঠান
- শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচার করলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা
- নিখোঁজ সাংবাদিক বিভুরঞ্জনের মরদেহ মিললো মেঘনায়
- এবার ‘প্রিন্স’ রূপে আসছেন শাকিব খান, ঝড় তুললো পোস্টার
- এশিয়া কাপ ও নেদারল্যান্ডস সিরিজের জন্য বাংলাদেশ দল ঘোষণা
- ইমিগ্রেশনের সময় যে ৭ কথা বললেই মহাবিপদ
- জামিন পেলেন ইমরান খান
- ডেঙ্গুতে একদিনে ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৩১১
- সাগর-রুনির ছেলে মেঘের হাতে প্লটের দলিল তুলে দিলেন প্রধান উপদেষ্টা
- দেশে একাত্তরকে ভুলিয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্র চলছে: মির্জা ফখরুল
- যিশুকে চুমু ছুড়ে দিলেন শুভশ্রী, বললেন ‘তোমায় ভালোবাসি’
- এশিয়া কাপ: ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে জল্পনার অবসান
- শিশুদের হাঁপানি সম্পর্কে যা যা জানা জরুরি
- একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির প্রথম ধাপের ফল প্রকাশ
- তন্বীর সম্মানে গবেষণা-প্রকাশনা প্রার্থী দেয়নি ছাত্রদল ও বাগছাস
- বিদেশি পাসপোর্টধারী বাংলাদেশিরাও ভোট দিতে পারবেন নির্বাচনে
- বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজের জন্য নেদারল্যান্ডস দল ঘোষণা
- জেসিকার গর্ভের অবৈধ সন্তান আমিরের!ডিএনএ পরীক্ষার চ্যালেঞ্জ ভাইয়ের
- ভারতে আওয়ামী লীগের অফিস দ্রুত বন্ধের আহ্বান ঢাকার
- বাংলাদেশবিরোধী কার্যক্রম সম্পর্কে অবগত নয় ভারত
- ৬ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করলো যুক্তরাষ্ট্র
- ৫১ লাখ টাকার স্টেডিয়াম ১৪ কোটিতে করার অনুমোদন, সচিবের ব্যাখ্যা
- শেখ হাসিনা ও কামালসহ ৯৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা
- মাইলস্টোনের তিন শিক্ষক মানবতা-সাহসিকতার জন্য চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে
- আমির খানের ‘অবৈধ সন্তানের’ মা ও প্রেমিকা দাবি করা কে এই জেসিকা?
- চমক রেখে এশিয়া কাপের দল ঘোষণা ভারতের: কে আছে, কে নেই
- ভিমরুলের কামড় কতটা ভয়ংকর, কামড়ালে দ্রুত কী করবেন?
- চলতি সপ্তাহে নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করা হবে: ইসি সচিব
- শেখ মুজিবের মৃত্যুবার্ষিকীতে তারকাদের পোস্ট, কে কি লিখলেন
- হাঁসের মাংস কী পরিমাণ খাওয়া নিরাপদ? কারা খাবেন, কারা খাবেন না
- হাঁসের মাংস খাওয়ার কথা বলে সমালোচনার মুখে আসিফ মাহমুদ
- জুলাই সনদে যা যা আছে
- ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ ঘিরে সাবেক আইজিপিসহ ১২৩ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত
- আমির খানের ‘অবৈধ সন্তানের’ মা ও প্রেমিকা দাবি করা কে এই জেসিকা?
- পাম তেল কতটা স্বাস্থ্যকর?
- এবার শাকিব খানের নায়িকা হচ্ছেন তানজিন তিশা!
- চলতি সপ্তাহে নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করা হবে: ইসি সচিব
- মেসিই বিশ্বের সেরা ফুটবলার, বললেন রিয়ালের ‘মাস্তান’
- মার্কিন রাষ্ট্রদূতের একের পর এক বৈঠক: নির্বাচন নাকি বিকল্প কূটনীত
- ইমিগ্রেশনের সময় যে ৭ কথা বললেই মহাবিপদ
- সবার আগে এশিয়া কাপের দল ঘোষণা পাকিস্তানের, নেই বাবর-রিজওয়ান
- শিশুদের হাঁপানি সম্পর্কে যা যা জানা জরুরি
- লিভার পরিষ্কার করার জন্য হারবাল পণ্য কি আসলেই কাজ করে?
- বিদেশের সব দূতাবাস থেকে রাষ্ট্রপতির ছবি সরানোর নির্দেশ
- জামিন পেলেন ইমরান খান
- ভিমরুলের কামড় কতটা ভয়ংকর, কামড়ালে দ্রুত কী করবেন?
- শেখ হাসিনা ও কামালসহ ৯৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা
- বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে জেলে, জামিন পেলেন সেই রিকশাচালক