ঢাকা, ১৯ এপ্রিল শুক্রবার, ২০২৪ || ৬ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
৫৫৯

ফিলিপাইনে টাইফুন ফানফোনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৮

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৯:৩২ ২৮ ডিসেম্বর ২০১৯  

ফিলিপাইনে বড়দিনে আঘাত হানা টাইফুন ফানফোনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৮ এ পৌঁছেছে। মৃতের এ সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। দেশটির কর্তৃপক্ষ শুক্রবার এ কথা জানিয়েছে। ফিলিপাইনের মধ্যাঞ্চলে প্রত্যন্ত গ্রাম ও বিখ্যাত পর্যটন এলাকার ওপর দিয়ে বুধবার ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার (১২৪ মাইল) বেগে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যায়। এতে এদিন ২৮ জনের প্রাণহানির কথা নিশ্চিত করে কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার ১৬ জনের মৃত্যুর কথা জানানো হয়েছিল। পরে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাসমূহের বিস্তারিত খবর পাওয়ার পর নতুন সংখ্যা নিরূপন করা হয়। ক্ষতিগ্রস্ত এসব এলাকার ইন্টারনেট ও মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন ছিল।
জাতীয় দুর্যোগ এজেন্সির মুখপাত্র মার্ক টিম্বাল এএফপিকে বলেন, মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। তবে আমরা আশা করছি এ সংখ্যা অপরিবর্তিত থাকবে।
তিনি বলেন, অন্তত ১২ ব্যক্তি এখনো নিখোঁজ তালিকায় রয়েছে। নিখোঁজদের মধ্যে এক পরিবারের বেশ কজন সদস্য ডুবে গেছে। এক পুলিশ সদস্য টহল দেয়ার সময় তার ওপর খুঁটি উল্টে পরে বিদ্যুৎস্পৃস্ট হয়। অপর এক ব্যক্তি উপড়ে পড়া নারিকেল গাছের নিচে চাপা পরে মারা গেছে।
ফিলিপাইনের বেশিরভাগই ক্যাথলিক। ফানফোন বিপূল সংখ্যক মানুষের বড়দিনের উৎসব পণ্ড করে দেয়।
টাইফুন উপকূল ও নিম্নাঞ্চলের বহুসংখ্যক লোককে ঘরছাড়া করে। তারা বাধ্য হয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে বড়দিনের উৎসব উদযাপন করে।
বিমান ও ফেরি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় অনেকে পরিবারের সঙ্গে যোগ দিতে ব্যর্থ হয়।
টাইফুন বোরাকা দ্বীপেও আঘাত হানে। বিখ্যাত এ দ্বীপে বছরে ১ মিলিয়নের বেশি পর্যটকের সমাগম ঘটে থাকে।
বোরাকায় নারিকেল গাছসমূহ উপড়ে পড়ে, ঘরের জানালা বাতাসে উড়ে যায়, বুধ ও বৃহস্পতিবার দ্বীপের সব ফেরি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
তবে বোরাকায় কোনো প্রকার প্রাণহানি ঘটেনি। ফিলিপাইনের মধ্যাঞ্চলের অন্যান্য এলাকার চেয়ে তুলনামূলক কম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অবস্থিত ফিলিপাইন বছরে প্রায় ২০ বার দুর্যোগের কবলে পড়ে।
ফানফোনের স্থানীয় নাম ‘উরসালা’। ২০১৯ সালে ফিলিপাইনে এটি ২১তম দুর্যোগ।
ফানফোন, সুপার টাইফুন হায়ান অপেক্ষা বেশ দুর্বল। ২০১৩ সালে টাইফুন হায়ান ৭,৩০০ লোকের প্রাণহানি ঘটিয়েছিল।

বিশ্ব বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর