ঢাকা, ১১ মে রোববার, ২০২৫ || ২৭ বৈশাখ ১৪৩২
good-food
৮১০

ফের ভোট চেয়ে সিইসিকে স্মারকলিপি ঐক্যফ্রন্টের

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৯:৩৬ ৩ জানুয়ারি ২০১৯  

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগ এনে ফের ভোটের জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।

বৃহস্পতিবার এ জোটের মুখপাত্র ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল ইসি ভবনে এসে এ স্মারকলিপি জমা দেন।

এর শিরোনামে বলা হয়েছে- অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ, ভোটারদের সঙ্গে প্রতারণা, ভোট জালিয়াতি, সরকারি প্রশাসন তথা রাষ্ট্রযন্ত্রকে নজিরবিহীনভাবে জনগণের বিরুদ্ধে ব্যবহার এবং নির্বাচন কমিশনের সর্বাত্মক পক্ষপাতমূলক কার্যকলাপের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল বাতিল এবং অনতিবিলম্বে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি।

স্মারকলিপি জমা দেয়ার পর নির্বাচন ভবনে সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, মাঠ পর্যায়ের কোনো স্তরেই নিয়ন্ত্রণ ছিল না ইসির, তা একজন কমিশনাররের বক্তব্যে প্রমাণ হয়েছে। দীর্ঘ ১০ বছর ভোটাধিকার বঞ্চিত জনগণকে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে আবারও বঞ্চিত করার দায় নির্বাচন কমিশনকেই বহন করতে হবে।

তিনি বলেন, ব্যালট পেপারের মুড়িতে সই লাগে ভোটারের। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তা নেই। প্রতারণা, জালিয়াতির মাধ্যমে ভোটগ্রহণের দায় ইসিকেই বহন করতে হবে। কেননা, নির্বাচনের আগের রাতেই ৩০ থেকে ৬০ শতাংশ ভোট কেটে ব্যালট বাক্সে ভরে রাখা হয়েছে। ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের আসতে বাধা দেয়া হয়। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। নির্বাচনের আগের দিন ও রাতে পোলিং এজেন্ট এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের নানারকম হুমকি দেয়া হয়, গ্রেফতার করা হয়। তাদের এলাকা ছাড়তে বাধ্য করা হয়। ক্ষেত্রবিশেষে ভোটকেন্দ্রে এলেও এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়।

মির্জা ফখরুল বলেন, প্রায় সবকেন্দ্রেই দুপুরের মধ্যে ব্যালট পেপার শেষ হয়ে যায়। পরে মধ্যাহ্ন বিরতির নামে ভোটকেন্দ্রের মূলফটক বন্ধ করে দেয়া হয়। নজিরবিহীনভাবে বিচারিক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নিস্ক্রিয় করে রাখা হয়। কোনো কোনো কেন্দ্রে ১০০ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়, যা নজীরবিহীন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, নির্বাচন কমিশন এর মাধ্যমে জাতির সঙ্গে মসকারি (উপহাস) করেছে। জাতিকে অন্ধকারে দিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এজন্যই প্রত্যাখান করেছি। পুনর্নির্বাচনের জোর দাবি জানাচ্ছি।

এসময় বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।