ঢাকা, ১৯ আগস্ট মঙ্গলবার, ২০২৫ || ৩ ভাদ্র ১৪৩২
good-food

জেলেনস্কিকে যে দুই কঠিন শর্ত দিয়েছেন পুতিন, জানালেন ট্রাম্প

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২২:৫৫ ১৮ আগস্ট ২০২৫  

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ‘চাইলেই’ রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ শেষ করতে পারেন। তবে শান্তি চুক্তির শর্ত হিসেবে ‘ন্যাটোতে যোগ দিতে পারবে না ইউক্রেন। সেই সঙ্গে ক্রিমিয়ার আশা ছেড়ে দিতে হবে।  

 

সোমবার (১৮ আগস্ট) হোয়াইট হাউজে জেলেনস্কি ও ইউরোপীয় দেশগুলোর শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের কয়েক ঘণ্টা আগে তিনি এসব কথা বলেন। ট্রাম্প জানান, ২০১৪ সালে ক্রিমিয়া উপদ্বীপ অবৈধভাবে দখল করে মস্কো। সেটি আর ফেরত পাবে না ইউক্রেন।

 

আলাস্কায় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের পর এসব তথ্য জানালেন তিনি। ইউক্রেনকে যুদ্ধবিরতির দাবি বাদ দিয়ে শান্তি চুক্তির জন্য আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

 

সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাম্পের এই অবস্থান বিস্ময়কর। কারণ একদিন আগেই তার বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ জানিয়েছিলেন, আমেরিকা ও ইউরোপীয় দেশগুলোকে ইউক্রেনের জন্য ন্যাটো-ধাঁচের নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দেয়ার অনুমতি দিতে রাজি হয়েছে মস্কো।

 

তবে নিজের দূতের বক্তব্যকেই উড়িয়ে দিলেন ট্রাম্প। রোববার (১৭ আগস্ট) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে তিনি লেখেন, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি চাইলেই যুদ্ধ প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই শেষ করতে পারেন। অথবা লড়াই চালিয়ে যেতে পারেন। মনে রাখুন, কীভাবে যুদ্ধ শুরু হয়েছিল। ওবামা তখন ক্রিমিয়া দিয়ে দিয়েছিলেন (১২ বছর আগে, কোনো গুলি ছাড়াই!) আর ইউক্রেন ন্যাটোতে যোগ দিতে পারবে না। কিছু জিনিস কখনো বদলায় না!

 

ট্রাম্পের এই মন্তব্যে ইঙ্গিত মেলে, হোয়াইট হাউজে বৈঠকে প্রবল চাপের মুখে পড়তে পারেন জেলেনস্কি। ট্রাম্প যে দুটি শর্ত উল্লেখ করেছেন তা হলো-ইউক্রেনকে ক্রিমিয়া ছেড়ে দিতে হবে এবং ন্যাটোতে যোগ না দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিতে হবে। সেগুলোই রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মূল দাবি।

 

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের এই অবস্থান ইউক্রেনের পক্ষে এক বড় ধাক্কা। কারণ, যুদ্ধবিরতির জন্য কিয়েভ ও ইউরোপীয় মিত্ররা যেখানে আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে, সেখানে মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই কড়া বার্তা পরিস্থিতিকে আরো জটিল করে তুলতে পারে।

 

ইউরোপীয় নেতারা মনে করছেন, বৈঠকে মূলত জেলেনস্কিকে পুতিনের শর্ত মানতে রাজি করানোর চেষ্টা করবেন ট্রাম্প। তবে তারা একই সঙ্গে জানতে চান, সম্ভাব্য শান্তি চুক্তিতে রাশিয়া কী ধরনের ছাড় দিতে পারে এবং যুক্তরাষ্ট্র ভবিষ্যতে কী ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দেবে।

 

এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছেন জেলেনস্কি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি লিখেছেন, ট্রাম্পের আমন্ত্রণের জন্য তিনি কৃতজ্ঞ। জেলেনস্কি বলেন, আমাদের সবার লক্ষ্য হলো দ্রুত ও নির্ভরযোগ্যভাবে এই যুদ্ধের অবসান ঘটানো। তবে তিনি জোর দিয়ে বলেন, ইউক্রেনকে কার্যকর নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দিতে হবে মিত্রদের। আগের মতো নয়… ১৯৯৪ সালে ইউক্রেনকে তথাকথিত নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছিল। কিন্তু তা কাজ করেনি।