ঢাকা, ২৪ এপ্রিল বুধবার, ২০২৪ || ১১ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
২৭২

ব্রিটিশ রাজপরিবার ছাড়ছেন প্রিন্স হ্যারি-মেগান

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৯:৫২ ৯ জানুয়ারি ২০২০  

ব্রিটেনের রাজসিংহাসনের দাবিদারদের একজন প্রিন্স হ্যারি এবং তার স্ত্রী মেগান রাজপরিবার থেকে বের হয়ে যাচ্ছেন। শুধু তাই নয়, রাজপরিবারের ব্যয়ের জন্য বরাদ্দ অর্থ নেবেন না তারা। আর্থিকভাবে স্বনির্ভর জীবন যাপন করতে চান এ দম্পতি।
বুধবার রাতে হ্যারি এবং তার সাবেক অভিনেত্রী স্ত্রী মেগান মার্কলের একটি যৌথ বিবৃতি ব্রিটেনে হইচই ফেলে দিয়েছে। তারা বলছেন, আর রাজপরিবারের দায়দায়িত্ব পালন করবেন না।
নিজেদের শিশু সন্তান নিয়ে জীবনযাপনের জন্য ব্রিটেন এবং উত্তর আমেরিকায় ভাগাভাগি করে সময় কাটাতে চান এ দম্পতি।
হ্যারি ও মেগানের রাজকীয় উপাধি হচ্ছে সাসেক্স-এর ডিউক ও ডাচেস। এরই মধ্যে একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠান তৈরি করেছেন তারা। সেটি উত্তর আমেরিকা এবং আফ্রিকায় নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে কাজ করবে।
রাজকীয় দায়িত্ব থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে রাজপরিবারের কারো সঙ্গে কোনও ধরনের আলোচনা করেনি তারা। এমনকি রানীও বিষয়টি জানতেন না।

বিবিসি সংবাদদাতা জনি ডায়মন্ড জানাচ্ছেন, রাজপরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে প্রিন্স হ্যারি এবং মেগানের যে বড় ধরনের দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে এটা সেটারই প্রমাণ।
তিনি বলছেন, রাজপরিবার থেকে বাইরে গিয়ে তারা কতদিন থাকতে পারবেন, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন।
অনেকেই মনে করছেন, একবিংশ শতাব্দীর ব্রিটেনে রাজপরিবারের কতখানি ভূমিকা থাকা উচিত? প্রিন্স হ্যারি এবং মেগানের এভাবে সরে যাওয়া সেই প্রশ্নটিকে নতুন করে জীবনদান করবে।
রাজকীয় জীবনধারা এ তরুণ দম্পতির জীবনের ওপর চাপ তৈরি করেছে। একটি টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে মেগান তা স্বীকার করেছেন।
একজন রাজপুত্রকে বিয়ে করলে নিজের জীবন কতখানি কঠিন হয়ে পড়বে, সেই সম্পর্কে কোনও আগাম ধারণা ছিল না বলে তিনি স্বীকার করে নেন।
তবে হ্যারি ও তার স্ত্রী যেভাবে সাধারণ মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করতে পারেন, সেটাকে তুলনা করা যায় তার মা প্রিন্সেস ডায়ানার সঙ্গে।
কিন্তু প্রিন্সেস ডায়ানার রাজকীয় জীবনও সুখের ছিল না। হয়তো সেই কারণেই হ্যারি ও মেগান রাজপরিবারের বাইরেই সুখের সন্ধান করতে চাইছেন।

বিশ্ব বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর