ঢাকা, ১৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার, ২০২৪ || ৫ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
১০০৭

ব্রিটেনে রবার্ট ক্লাইভের মূর্তি সরানোর আন্দোলন

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২১:৪৪ ১০ জুন ২০২০  

৮ মিনিট ৬ সেকেন্ডের একটি হিম দৃশ্য। একজনের মৃত্যু নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা বিশ্বকে। বদলে গেছে বর্ণবিরোধী আন্দোলনের ভাষা। এখন কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েড একা নন। তার মৃত্যুতে বিক্ষোভ যুক্তরাষ্ট্র ছাড়িয়ে আছড়ে পড়েছে সারা দুনিয়ায়। 

শুরু হয়েছে অতীত নিয়ে কাটাছেঁড়া। স্বভাবতই ফের কাঠগড়ায় একসময়ের ব্রিটিশ গভর্নর রবার্ট ক্লাইভ? ধুলোজমা ইতিহাস সামনে এনে বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলনের নয়া স্লোগান উঠেছে-সরানো হোক রবার্ট ক্লাইভের মূর্তি। ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকতার প্রতীক তিনি। 

শুধু ফাঁকা বুলি  নয়, খোদ যুক্তরাজ্যের মাটিতে দাঁড়িয়ে ‘পলাশীর প্রথম ব্যারন’-এর মূর্তি বিলোপের দাবি করেছেন বিক্ষোভকারীরা। পুরোদস্তুর অনলাইন পিটিশন দাখিল করেছেন তারা। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পিটিশনারদের সংখ্যা ১ হাজার ৭০০ ছাড়িয়ে গেছে।

চোখ বুলিয়ে নেয়া যাক ইতিহাসে। ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন পলাশীর প্রান্তরে বাংলার নাটকীয় পালাবদল ঘটে। এতদঞ্চলের শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজ উদদৌল্লার অসহায় পরাজয় হয়। 

পরিণতিতে ভারতবর্ষে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কর্তৃত্ব স্থাপিত হয়। পর পরই স্বেচ্ছাচারী শাসক, পরে অত্যাচারী গভর্নর প্রথার উত্থান ঘটে। দ্বৈত শাসননীতি চালু হয়। রাজস্ব আদায়ে চলে নির্মম অত্যাচার। 

স্বাভাবিকভাবেই ক্লাইভকে নিয়ে কিছু মিথ, কিছু সত্যে ইতিহাসের পাতা ভরেছে। কয়েক শতক পেরিয়ে ফের তাকে নিয়ে ঐতিহাসিক সন্ধান। কিন্তু কেন?

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মার্কিন মুলুকে কালো বর্ণের ফ্লয়েড হত্যার ঘটনা আসলে জনরোষের আত্ম-প্রতিবাদ জাগ্রত করেছে। জাতিবিদ্বেষের বিরোধিতায় নিশানা হচ্ছেন দাসত্বের কারবারি থেকে রাষ্ট্রনায়ক সবাই। 

সেটারই প্রতিফলন এ পিটিশন। তো কী লেখা রয়েছে তাতে? মিছিলকারীদের দাবি, ক্লাইভ একজন আদ্যন্ত বর্ণবিদ্বেষী শাসক ছিলেন। ভারতীয়দের আজীবন ঘৃণার চোখে দেখেছেন। সাদা চামড়ার অহংকার পুষে রেখে লাখ লাখ সাধারণ মানুষকে হত্যা করেছেন তিনি।