বড় স্বপ্ন দেখাচ্ছে ২০২২
লাইফ টিভি 24
প্রকাশিত: ১১:৩৩ ১ জানুয়ারি ২০২২

মহাকালের বিচারে একটি বছর নিতান্ত নগণ্য। তা সত্ত্বেও ২০২১ শেষ করে ২০২২ সালের শুরুতে এসে গেল বছরে আমাদের জাতীয় জীবনের চাওয়া-পাওয়াগুলোর একটি মূল্যায়ন জরুরিই মনে করি। বাংলাদেশের জন্য এ রকম মূল্যায়ন সম্ভবত আরও বেশি প্রাসঙ্গিক। করোনা মহামারী, অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার, ‘নিউ-নরমাল’ বাস্তবতা, উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জন ইত্যাদি সামষ্টিক অর্থনৈতিক বিবেচনার জায়গা থেকে তো বটেই, এসবের পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ আর স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর কারণে এ সময়টির রাজনৈতিক ও ঐতিহাসিক গুরুত্বও অনস্বীকার্য। ২০২১-এর চ্যালেঞ্জগুলো আমরা কীভাবে মোকাবিলা করেছি, শেষ হয়ে যাওয়া বছরটিতে আমাদের অর্জনগুলো কী কী এবং সর্বোপরি আসছে ২০২২-এর কাছে আমাদের প্রত্যাশাগুলোই বা কী- এই প্রশ্নগুলোর উত্তর আমাদের সমৃদ্ধ ও নিরাপদ আগামীর পথনকশা তৈরির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
কেমন গেল ২০২১? সার্বিক বিচারে আমার মনে হয় নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে বছরটি ভালোভাবেই শেষ করেছে বাংলাদেশ। বৈশি^ক প্রেক্ষাপটে যদি বিচার করি তা হলে বলতে হয়, এ বছরটিতে আমাদের সাফল্যের পাল্লাটিই বেশি ভারী। চ্যালেঞ্জ তো ছিলই। সেগুলো মোকাবিলাও করা হয়েছে দক্ষতার সঙ্গে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে জনমনে বেশ চাপ অনুভব করতে দেখা গেছে। আলাদা করে বলা যায় দ্রব্যমূল্যের চ্যালেঞ্জের কথা। করোনা মহামারীর পর বিশ^বাজার ধীরে ধীরে খুলতে শুরু করায় হঠাৎ করেই জ¦ালানি তেলের মূল্যে এক ধরনের অস্থিরতা তৈরি হয়। পণ্য-পরিবাহী জাহাজের ভাড়াও হঠাৎ বেড়েছে। একই সঙ্গে বহুদিন স্থবির থাকার পর আমাদানি প্রবাহতেও আকস্মিক গতি সঞ্চারিত হয়েছে। পুরো সাপ্লাই সাইডেই আরও নানারকম প্রতিবন্ধকতা দেখা দিয়েছে। সত্যি বলতে অসাধু ব্যবসায়ীরাও এই সরবরাহ ঘাটতির সুযোগ নিয়েছেন। ফলে দ্রব্যমূল্য বেড়েছে। জনগণ বিশেষত যারা সীমিত আয়ের পরিবার- তারা একটু বেশি চাপে পড়েছেন। চালের দাম স্থিতিশীল থাকলেও আমদানি করা নিত্যপণ্যের দাম অনেকটাই বেড়েছে। অথচ আয় তেমনটা বাড়েনি। বরং কিছু কিছু ক্ষেত্রে কমেছে। তাই মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমেছে। মানুষকে অনেক ভেবেচিন্তে চলতে হচ্ছে। ডলারের চাহিদার সঙ্গে সরবরাহের একটা ব্যবধান তৈরি হয়েছে। আমদানির গতি যত বেড়েছে, রপ্তানি সেভাবে না বাড়ায় এবং বছরের শেষদিকে প্রবাসী আয়ের প্রবাহে একটু কমতি দেখা দেওয়ায় ডলারের দাম বেড়েছে। কিন্তু বলতে দ্বিধা নেই, আমাদের সামষ্টিক অর্থনৈতিক ভিত্তিটি যথেষ্ট মজবুত হওয়ায় এবং দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি সামাল দিতে সময়োচিত সরকারি উদ্যোগ থাকায় এ ধাক্কা অনেকখানি সামাল দেওয়া গেছে ইতোমধ্যেই। নতুন বছরের প্রথমার্ধের মধ্যে (অর্থাৎ চলতি অর্থবছরের মধ্যেই) এই সংকট বহুলাংশে কাটিয়ে ওঠা সম্ভব বলে মনে হচ্ছে। তবে বাজার অর্থনীতির স্বাভাবিক নিয়মেই এই ভারসাম্য ফিরিয়ে আনাটা ভালো হবে। তা না হলে দীর্ঘমেয়াদে সংকট থেকেই যাবে।
২০২১ সালে আরেকটি বড় চ্যালেঞ্জ ছিল আকস্মিকভাবে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠা সাম্প্রদায়িক সহিংসতা। বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে এহেন সাম্প্রদায়িক আক্রমণ সত্যিই হতাশার। বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার যারা ঘোর বিরোধী সেই দেশি-বিদেশি অপশক্তিগুলো এ রকম ঘটনার সুযোগ নিয়ে নতুন করে দেশবিরোধী চক্রান্ত করতে চাইবে। কাজেই সাম্প্রদায়িকতাকে শক্তভাবে মোকাবিলা করে এই সর্বনাশা বিষবৃক্ষকে অঙ্কুরেই শেষ করা চাই। আশার কথা সরকার সে পথেই হাঁটছে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা সাম্প্রদায়িকতার প্রশ্নে শুরু থেকেই আপসহীন আছেন। বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের চেতনা এবং সাম্প্রদায়িকতার প্রশ্নে বঙ্গবন্ধুকন্যার আপসহীনতাই আমাদের মূল ভরসার জায়গা। বৈরী রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক বাস্তবতার কারণে আমাদের সামাজিক পুঁজির অনেকটাই ক্ষয় হয়েছে- সন্দেহ নেই। কিন্তু সরকারের সঙ্গে সুধীসমাজ ঐক্যবদ্ধ হয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আলোকে প্রজন্মকে গড়ে তুলতে পারলে সামাজিক পুর্ঁজিকে আবারও আগের জায়গায় নিয়ে যাওয়া খুবই সম্ভব। আমরা সেদিকেই এগোচ্ছি। নতুন বছরে এই অগ্রযাত্রা আরও বেগবান হবে তেমনটিই আশা রাখি।
ড. আতিউর রহমান
সাবেক গভর্ণর, বাংলাদেশ ব্যাংক
- শিক্ষাবিদ অধ্যাপক এলতাস স্যার এখন শুধুই স্মৃতি
- যুদ্ধবিরতিতে সম্মত ভারত-পাকিস্তান নিয়ে যা বললেন ড. ইউনূস
- একমঞ্চে দুই বোনের সম্মাননা
- ‘আমরা ফ্লাই করার ২০ মিনিট পর এয়ারপোর্টে মিসাইল পড়ে’
- ৩০ দিনের ‘নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতিতে’ যাচ্ছে ইউক্রেন
- যুদ্ধবিরতিতে সম্মত ভারত-পাকিস্তান: ট্রাম্প
- আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ, ইতিহাস কী বলে
- কেন খাবেন কাঁচা কাঁঠাল
- আইপিএলের পর পিএসএলও স্থগিত
- বাড়তে পারে তাপপ্রবাহের তীব্রতা, সতর্ক বার্তা জারি
- ভারতীয় গণমাধ্যমকে ‘সার্কাস’ বললেন সোনাক্ষী সিনহা
- পাকিস্তানে হামলার পর ভারতের চোখ বাংলাদেশের দিকে কেন
- আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে যা জানালো অন্তর্বর্তী সরকার
- স্নায়বিক রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার জেনে নিন
- পিএসএলের মাঝপথে দেশে ফিরছেন রিশাদ-নাহিদ
- সেলিনা হায়াৎ আইভী গ্রেপ্তার
- ৪৫ জেলায় বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ
- প্রথম মার্কিন পোপ রবার্ট প্রেভোস্ট
- ভারত-পাকিস্তানকে সংঘর্ষ থামাতে বললেন ট্রাম্প
- ‘মৃত্যু নিয়ে মজা নিয়েন না’, বর্ষাকে সাবধান করলেন পরীমণি
- নাহিদ-রিশাদের নিরাপত্তা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার: বিসিবি
- কাঁচা নাকি পাকা আম, স্বাস্থ্যের জন্য কোনটি ভালো?
- জাতির উদ্দেশে ভাষণে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী, ‘আমরা বদলা নেব’
- পাক-ভারত যুদ্ধের পূর্বাভাস ৬ বছর আগেই ছিল যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণায়
- পাকিস্তানে ভারতের অভিযানের নাম ‘অপারেশন সিঁদুর’ কেন
- পুরুষরা যেসব রোগে সবচেয়ে বেশি ভুগছেন
- প্রেমিকা রুক্মিণীকে যে খবর ফাঁস করলেন দেব
- অবশেষে নতুন কোচ পাচ্ছে ব্রাজিল
- ভারত-পাকিস্তান নিয়ে ইসহাক দারের সঙ্গে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার ফোনালাপ
- হাসনাত আবদুল্লাহর ওপর হামলা, গ্রেপ্তার আরও ১৭
- বজ্রপাতের সময় করণীয়-সতর্কতা
- স্নায়বিক রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার জেনে নিন
- অবশেষে নতুন কোচ পাচ্ছে ব্রাজিল
- পুরুষরা যেসব রোগে সবচেয়ে বেশি ভুগছেন
- ‘মৃত্যু নিয়ে মজা নিয়েন না’, বর্ষাকে সাবধান করলেন পরীমণি
- আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ, ইতিহাস কী বলে
- কাঁচা নাকি পাকা আম, স্বাস্থ্যের জন্য কোনটি ভালো?
- কেন খাবেন কাঁচা কাঁঠাল
- বাংলাদেশের নতুন টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক লিটন
- ‘শিরক’ আখ্যা দিয়ে কেটে ফেলা হলো শতবর্ষী বটগাছ
- জিআই স্বীকৃতি পেল দিনাজপুরের বেদানা লিচু
- এআই কখনই মানবিক সম্পর্কের বিকল্প হতে পারবে না: জাকারবার্গ
- ভয়ংকর রূপে মোশাররফ করিম
- পাকিস্তানে ভারতের অভিযানের নাম ‘অপারেশন সিঁদুর’ কেন
- হাসনাতের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ, ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম
- প্রেমিকা রুক্মিণীকে যে খবর ফাঁস করলেন দেব
- প্রথম মার্কিন পোপ রবার্ট প্রেভোস্ট
- সেলিনা হায়াৎ আইভী গ্রেপ্তার
- হাসনাত আবদুল্লাহর ওপর হামলা, গ্রেপ্তার আরও ১৭
- ভারত-পাকিস্তান নিয়ে ইসহাক দারের সঙ্গে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার ফোনালাপ