ঢাকা, ২০ এপ্রিল শনিবার, ২০২৪ || ৭ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
৯৬০

বড়দিন উপলক্ষে প্রস্তুত গির্জা, রাত সাড়ে ৮টায় প্রার্থনা শুরু

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৮:৫৮ ২৪ ডিসেম্বর ২০১৯  

২৫ ডিসেম্বর (বুধবার), খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব ‘ক্রিসমাস’। দিনটিকে বাংলায় ‘বড়দিন’ হিসেবে অভিহিত করা হয়। দিবসটি উদযাপনে বরাবরের মতো এবারও উৎসবের রঙে সেজেছে রাজধানীসহ সারা দেশের গির্জাগুলো। বিশ্ববাসীর মঙ্গল কামনা করে রাত থেকেই শুরু  বিশেষ প্রার্থনা।

উৎসব পালনের জন্য গির্জাগুলোর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা থেকে শুরু করে সাত দিনব্যাপী সব ধরনের আনুষ্ঠানিকতা ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। সারা দেশের গির্জাগুলো এখন প্রস্তুত বিশেষ প্রার্থনার জন্য। ঢাকার বেশ কয়েকটি গির্জা ঘুরে দেখা গেছে, আলোকসজ্জা। লাল, নীল ও সবুজ এলইডি লাইটে ঝলমলে হয়ে উঠেছে গির্জাগুলো। বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তাও।

আয়োজন ও প্রস্তুতি সম্পর্কে ফার্মগেটের হলি রোজারি চার্চের ফাদার সুব্রত বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বড়দিন উপলক্ষে আমাদের প্রস্তুতি কয়েক সপ্তাহ আগে থেকেই শুরু হয়। এরই মধ্যে আমরা সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। বড়দিন উপলক্ষে ২৪ তারিখ রাতে গির্জায় দুটি প্রার্থনা রয়েছে— একটি রাত ৮টা ৩০মিনিটে, অন্যটি রাত ১১টায়। একই সঙ্গে ২৫ ডিসেম্বরও আছে দুটি প্রার্থনা— একটি সকাল ৭টায়, অন্যটি সকাল ৯টায়। প্রার্থনা গির্জাতেই হবে, এছাড়া আর কোনও অনুষ্ঠান নেই এখানে। আর ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলো পরিবারিক ও সামাজিকভাবে অনুষ্ঠিত হবে।’

কাকরাইল চার্চের ফাদার বিমল ফ্রান্সেস গোমেজ বলেন, ‘বড়দিন উপলক্ষে আমাদের এখানে ২৪ তারিখ রাত সাড়ে ৮টায় এবং ১১টায় প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া ২৫ ডিসেম্বর সকাল ৭টায় এবং ৯টায় দুটি বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে। আর এসবের জন্য আমাদের সব কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। এই অনুষ্ঠান শুধু খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের জন্যই উন্মুক্ত থাকবে। তবে বাচ্চাদের জন্যও বিশেষ কোনও ব্যবস্থা থাকছে না। চার্চে শুধু প্রার্থনাই হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘যিশুখ্রিষ্ট এসেছিলে শান্তির জন্য। আমাদের প্রার্থনা থাকবে— মানুষে মানুষে শান্তি যেন শান্তি বজায় রাখে, সারাবিশ্বে যেন শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়।’

মগবাজার এজি চার্চের পালক অমরেশ চন্দ্র রায় জানান, ২৫ ডিসেম্বর এই চার্চে বাংলায় এবং ইংরেজিতে আলাদাভাবে প্রার্থনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ইংরেজিতে প্রার্থনা শুরু হবে সকাল সাড়ে ৯টায় এবং বাংলায় শুরু হবে সকাল ১১টায়। প্রার্থনা শেষে পবিত্র বাইবেল থেকে আলোচনা হবে।

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা দেশের মঙ্গলের জন্য প্রার্থনা করি। শান্তি কামনা করে প্রার্থনা করি। আমাদের এখানকার অনুষ্ঠান সবার জন্য উন্মুক্ত। তবে রাতে কোনও আয়োজন থাকছে না। দুপুরে প্রার্থনা শেষে আমরা একসঙ্গে ভোজে যোগ দেবো।’

গির্জা ছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও তারকা হোটেলগুলোতেও থাকবে বড়দিনের বিশেষ উপহার প্রদান, ধর্মীয় সংগীত, ভোজসহ নানা আয়োজন। সেগুলো সবার জন্য উন্মুক্ত।

উল্লেখ্য, যিশু খ্রিস্টের জন্মোৎসবকে কেন্দ্র করে সারাবিশ্বে এই উৎসব পালিত হয়ে থাকে। এই দিনটিই যিশুর প্রকৃত জন্মদিন কিনা তা জানা না থাকলেও খ্রিস্টানদের ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে মনে করা হয়— ডিসেম্বরের কোনও এক দিন তিনি (যিশু খ্রিস্ট) জন্মগ্রহণ করেন। তাই সম্ভাব্য হিসেবে ২৫ ডিসেম্বরকে যিশুর জন্মতারিখ ধরে এই উৎসব পালন করা হয়। বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই ২৫ ডিসেম্বর বড় দিন হিসেবে পালিত হলেও রাশিয়া, জর্জিয়া, মিশর, আর্মেনিয়া, ইউক্রেন ও সার্বিয়ার মতো কয়েকটি ইস্টার্ন ন্যাশনাল চার্চ ৭ জানুয়ারি বড়দিন পালন করে থাকে।