ঢাকা, ২৬ এপ্রিল শুক্রবার, ২০২৪ || ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
৯৪৫

ভারতের কূটনীতিককে বহিষ্কার করলো পাকিস্তান, ব্যবসা-বাণিজ্যও বন্ধ

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২২:১৪ ৭ আগস্ট ২০১৯  

কাশ্মীর বিতর্কে ভারত-পাকিস্তানের সম্পর্কে আরও ভাঙন ধরেছে। দুই চিরশত্রু প্রতিবেশি দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে নজিরবীহিন অবনমন ঘটেছে। ভারতের শীর্ষ কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে পাকিস্তান। তিনি ইসলামাবাদে ছিলেন। দেশটির সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্যও সাময়িকভাবে বন্ধ করেছে পাকরা। 
এছাড়া ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন চুক্তিগুলো নতুন করে পর্যালোচনা, জাতিসংঘে কাশ্মীর ইস্যু উত্থাপন এবং কাশ্মীরি জনগণের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে আসন্ন স্বাধীনতা দিবস ১৪ আগস্ট উদ্যাপনের কথা জানিয়েছে পাকিস্তান। একই সঙ্গে নয়াদিল্লিতে নিযুক্ত নিজেদের হাই কমিশনারকে ফিরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইমরান খানের সরকার।
পাকিস্তানের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ডন’র খবরে বলা হয়, ইমরান খানের নেতৃত্বে বুধবার জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির সভা হয়। সেখানেই এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। মূলত কাশ্মীর ইস্যুতে ভারত সরকারের সাম্প্রতিক পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়ায় এগুলো নেয়া হয়েছে। 
ভারতের কর্মকাণ্ডের বিরোধিতা করতে নিজেদের সব ধরনের কূটনৈতিক তৎপরতা সক্রিয় করার নির্দেশ দিয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী। সভায় পাকিস্তানের পররাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা, স্বরাষ্ট্র, শিক্ষা, মানবাধিকার প্রভৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া দেশটির সামরিক ও বেসামরিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারাও ছিলেন।
এর আগে জম্মু-কাশ্মীরকে দ্বিখণ্ডিত করার ভারতের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ঘোষণা দেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তার মতে, জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যকে ভেঙে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘোষণা করে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে ভারত। এর ফলে জাতিগত নিধন হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
সোমবার কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে ভারত সরকার। এর পর কেন্দ্রশাসিত ভূ-স্বর্গ অবরুদ্ধ অবস্থার মধ্যে রয়েছে। সেখানে টেলিফোন যোগাযোগ এবং ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রয়েছে। উপত্যকায় হাজার হাজার ভারতীয় সৈন্য রাস্তায় টহল দিচ্ছে।
নরেন্দ্র মোদির সরকার বাতিল করেছে ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা। এ ধারায় জম্মু-কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা দেয়া ছিল। পররাষ্ট্র, যোগাযোগ ও প্রতিরক্ষা ছাড়া বাকি সব ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা ওই রাজ্যের হাতে ছিল। আলাদা পতাকা ছিল, প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, পৃথক সংবিধান ছিল। 
কালে কালে সব হারিয়ে অবশিষ্ট ছিল সাংবিধানিক ধারা ও কিছু বিশেষ ক্ষমতা। এবার সেটাও কেড়ে নেয়া হলো। এছাড়া জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যকে দুই টুকরোও করে দেয়া হয়েছে। রাজ্য থেকে লাদাখকে বের করে তৈরি করা হয়েছে নতুন এক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল, যার কোনো বিধানসভা থাকবে না। জম্মু-কাশ্মীরের পূর্ণাঙ্গ রাজ্যের মর্যাদাও কেড়ে নেয়া হয়েছে। এখন থেকে তার পরিচিতি হবে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে।

অপরাধ বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর