ঢাকা, ২৪ এপ্রিল বুধবার, ২০২৪ || ১১ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
৫২৯

মার্চে মহাকাশে যাচ্ছে বাংলাদেশে তৈরি প্রথম রকেট

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৮:০৫ ১৯ জানুয়ারি ২০২৩  

দেশের ইতিহাসে প্রথম রকেট তৈরি করেছেন দুই উদ্ভাবক। আগামী মার্চের মধ্যে তাদের তৈরি রকেট উড্ডয়ন করা হবে। ‌‘রকেট্রি ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ-২০২২’ এর সেরা উদ্ভাবক হিসেবে তারা নির্বাচিত হয়েছেন।

 

বুধবার (১৮ জানুয়ারি) রাজধানীর বিএএফ শাহীন হলে রকেট্রি ইনোভেশন চ্যালেঞ্জের বিজয়ী উদ্ভাবকদের পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। এসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই) এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমআরএএইউ) যৌথ উদ্যোগে এই অনুষ্ঠান হয়।

 

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি। সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এয়ার ভাইস মার্শাল এ এস এম ফখরুল ইসলাম।

 

পুরস্কার হিসেবে বিজয়ী উদ্ভাবক আজাদুল হককে (ব্রিজ টু বাংলাদেশ) এক কোটি টাকা এবং উদ্ভাবক নাহিয়ান আল রহমান অলিকে (ধুমকেতু এক্স) ৫০ লাখ টাকার সিডমানি এবং সার্টিফিকেট তুলে দেওয়া হয়।

 

এটুআই ও বিএসএমআরএএইউর যৌথ উদ্যোগে রকেট নির্মাণ-উৎক্ষেপণ, উড্ডয়ন-পরীক্ষণ, গবেষণা-উন্নয়ন এবং এ সংক্রান্ত আগ্রহ বৃদ্ধি এবং একটি রকেট্রি ইকোসিস্টেম তৈরির লক্ষ্যে ‘রকেট্রি ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ-২০২২’ এর আয়োজন করা হয়।

 

প্রতিযোগিতায় সারাদেশের ১২৪টি উদ্ভাবনী আইডিয়া থেকে প্রাথমিক যাচাই-বাছাই, বুটক্যাম্প, গ্রুমিং এবং টেকনিক্যাল ইভালুয়েশন প্যানেলসহ কয়েকটি ধাপের মাধ্যমে বিচারকরা দুটি আইডিয়াকে পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেন।

 

উদ্ভাবক আজাদুল হক বাংলাদেশে মডেল রকেট উৎক্ষেপণের জন্য ইকোসিস্টেম বা সার্টিফিকেশন প্রক্রিয়া তৈরির পাশাপাশি রকেট্রি গবেষণা এবং উন্নয়নে একটি সংবেদনশীল এবং নিয়ন্ত্রিত ক্ষেত্র তৈরি করবেন। রকেট তৈরির ক্ষেত্রে যথাযত নিয়ম-কানুন কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে। অনুমোদিত রকেটগুলোকে শুধুমাত্র উৎক্ষেপণের অনুমতি দেওয়া উচিত।

 

উদ্ভাবক নাহিয়ান আল রহমান অলির ধুমকেতু ০.১ এর নকশা পরীক্ষার জন্য একটি প্রোটোটাইপ রকেট, রকেট উৎক্ষেপণ এবং নিয়ন্ত্রণ করতে নিজস্ব প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। এটি ১০ হাজার ফুট থেকে ৩০ হাজার ফুট দূরের বায়ুমণ্ডল পর্যবেক্ষণ করতে সক্ষম। এর মাধ্যমে দেশে মহাকাশ প্রযুক্তির যাত্রায় এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।

 

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, তথ্য-প্রযুক্তি খাতের উন্নয়নের পাশাপাশি আমরা মহাকাশ গবেষণায় উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে মহাকাশ বিষয়ক উচ্চ শিক্ষার জন্য সরকার ২০১৯ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারো স্পেস বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছে।

 

এছাড়া মহাকাশ গবেষণায় দেশি সক্ষমতা অর্জনে দক্ষ পেশাদার মানব সম্পদ তৈরির উদ্দেশ্যে ল্যাবরেটরি প্রতিষ্ঠা করার কার্যক্রমও চলমান রয়েছে। এ ধরনের গবেষণা খাতের উন্নয়নে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান একসঙ্গে কাজ করতে পারলেই আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ দ্রুত বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।

 

স্বাধীনতার মাস মার্চেই বিজয়ী উদ্ভাবকদের তৈরি রকেট উড্ডয়ন করার পরিকল্পনা গ্রহণের কথা জানান শিক্ষামন্ত্রী।

সাকসেস স্টোরি বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর