যেসব অসুখ প্রবীণদের বেশি ভোগায়, সুস্থ রাখতে করণীয়
লাইফ টিভি 24
প্রকাশিত: ১২:০৯ ৩ অক্টোবর ২০২২

তরুণ বয়সে শরীরে তেজ থাকে অনেক বেশি। তাই এই বয়সে অনেক কিছুই আমরা খুব একটা বেশি গুরুত্ব দেই না৷ কিন্তু বয়স বাড়ার সাথে সাথে মানুষের শরীরে জেঁকে বসে নানা অসুখ। চোখে ছানি পড়তে শুরু করে, জানা তথ্য মনে করতে অসুবিধা হয়, হাড়গোড় সব যেন বেঁকে বসছে এমন মনে হয়।
এমন কিছু অসুখ আছে যেগুলো প্রবীণদের মধ্যেই বেশি দেখা যায়৷ তবে আগেভাগেই সে ব্যাপারে কিছু সাবধানতা অবলম্বন করলে অসুখগুলো পুরোপুরি ঠেকানো না গেলেও অনেকটাই ভালো থাকা যায়৷ শুধু প্রবীণদের স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে থাকে ঢাকার সিনিয়র সিটিজেন হসপিটাল। সেখানকার জেরিয়াট্রিক মেডিসিন বিষয়ক চিকিৎসক সামনুন তাহা বাংলাদেশে বয়স্কদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায় এমন পাঁচটি অসুখের বিষয়ে তথ্য দিয়েছেন।
নি অস্টিওআর্থরাইটিস
এটি হাঁটুতে ব্যথা তৈরি করে। বয়স বাড়ার সাথে সাথে হাঁটুর হাড়ে যে তরল পদার্থ রয়েছে সেটি কমে যায়। তখন পা ভাঁজ করার সময় হাঁটুর দুটি হাড়ে ঘষা লাগে। যার ফলে ব্যথা হতে থাকে। হাঁটুতে শব্দ হয়। অনেকের হাঁটুর কাছ থেকে পা বেঁকে যেতে যেতে পারে। পুরুষদের চেয়ে নারীদের এই অসুখ বেশি হয় থাকে। নি অস্টিওআর্থরাইটিস এবং ইউরিনারি ইনকন্টিনেন্স নারীদের বেশি হয়ে থাকে।
ইউরিনারি ইনকন্টিনেন্স
প্রস্রাব ধরে রাখতে না পারার সমস্যাও বাংলাদেশে অনেক পাওয়া যায় এবং এটিও নারীদের মধ্যে বেশি বলছিলেন ডা. তাহা। মূত্রথলির পেশি দুর্বল হয়ে গেলে এই সমস্যাটি দেখা দেয়। এই সমস্যায় যারা ভোগেন প্রায়শই তাদের হাঁচি-কাশি দিলে, হাসলে বা ভারী কিছু তোলার সময় মূত্রাশয়ে চাপ পড়ে এবং তখন না চাইলেও কিছুটা মূত্র বের হয়ে যায়। এতে মূত্রথলিতে প্রদাহ হতে পারে। নারীদের বাচ্চা প্রসবের কারণে পেলভিক মাংসপেশি দুর্বল হয়ে যায়। মেনোপজ হলে শরীরে ইস্ট্রোজেন হরমোন কমে যায়। সে কারণে সমস্যাটি বেশি দেখা দিতে পারে।
ডিমেনশিয়া বা স্মৃতিভ্রংশ
ডিমেনশিয়া মস্তিষ্কের এক ধরনের রোগ। এই রোগ হলে কোন কিছু মনে রাখতে না পারার সমস্যা দেখা দেয়।কোথায় কী রাখা আছে, কখন কি করতে হবে সেটি মনে করতে সমস্যা তৈরি হয়, কোন ব্যক্তিকে বা তার নাম ভুলে যাওয়া এমনকি একটু আগেই করা কোন কাজ ভুলে যায় অনেকে। ডিমেনশিয়ার কোনো চিকিৎসা নেই। বাংলাদেশে আগের চেয়ে এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি বেশি পাওয়া যাচ্ছে বলছেন সামনুন তাহা।
পার্কিনসন্স ডিজিজ
মস্তিষ্কে এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থের ঘাটতির কারণে এই রোগ দেখা দেয়। এটি হলে প্রায়ই দেখা যায় হাত, পা, মাথা মৃদু কাঁপছে। এই রোগে শরীরের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়। হাঁটা চলায় ধীরগতি তৈরি হয়। নারীদের তুলনায় পুরুষদের এই রোগটি বেশি হয়ে থাকে। এই রোগটি পুরোপুরি নিরাময় করা সম্ভব নয়। পার্কিনসন্স ডিজিজ এবং ডিমেনশিয়া পুরোপুরি নিরাময় সম্ভব নয়।
মস্তিষ্কে স্ট্রোক
মস্তিষ্কে রক্ত চলাচলে ব্যাঘাত ঘটলে স্ট্রোক হতে পারে। স্ট্রোক হলে হঠাৎ শরীরের কোন একটি অংশ, হাত, পা, মুখের একদিক অবশ হয়ে বেঁকে যায়। জিহ্বা অসাড় হয়ে কথা জড়িয়ে যায়, চোখে ঝাপসা লাগতে থাকে। বমি অথবা বমিভাব হতে পারে।
স্ট্রোকে মৃত্যু হতে পারে অথবা শারীরিক প্রতিবন্ধীতা দেখা দেয়। বয়স্কদের মধ্যে বেশি দেখা দেয় এমন অসুখ যেমন ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদযন্ত্রের অসুখের কারণে তাদের স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। নারীদের তুলনায় পুরুষদের স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি।
বয়স ছাড়াও যেসব কারণ
সামনুন তাহা বলছিলেন, বয়স ছাড়াও কিছু অভ্যাস অনেক সময় এসব অসুখের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে। বাংলাদেশে মেঝেতে বসে কাজ করার বেশ প্রবণতা রয়েছে। বিশেষ করে নারীরা হাঁটু গেড়ে ঘর পরিষ্কার, কাপড় কাচা, রান্না করে। এতে হাঁটুতে চাপ সৃষ্টি হয়। আবার দেখা যায় আমাদের দেশে মেয়েরা প্রস্রাব আটকে রাখে। তাদের মূত্রনালির ইনফেকশন হলে সময় মতো চিকিৎসা করা হয় না। এসব কারণে তাদের ইউরিনারি ইনকন্টিনেন্স বেশি হয়। আবার তারা লজ্জায় বলতে চায় না তাই এর চিকিৎসাও ঠিক মতো হয় না, বলছিলেন ডা. তাহা।
তিনি আরও বলছেন, বাংলাদেশে একটা পর্যায়ে এসে বয়স্ক ব্যক্তিদের অন্যদের সাথে মেলামেশা ও মস্তিষ্কের ব্যাবহার কমে যায়। এ কারণে তাদের ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি বাড়ে। ডিমেনশিয়া বা স্মৃতিভ্রংশ নিয়ন্ত্রণে রাখতে মস্তিষ্কের ব্যাবহার বাড়ানো খুব জরুরী।
যা করতে পারেন
বয়স বাড়ার সাথে সাথে শরীর জরাগ্রস্ত হবে এটাই স্বাভাবিক। এই রোগগুলোতে আক্রান্ত হওয়া পুরোপুরি ঠেকানো না গেলেও বিলম্বিত করা যায়, রোগটি নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। সামনুন তাহা পরামর্শ দিচ্ছেন, হাঁটুর ব্যথার ক্ষেত্রে কাজে আসবে নিয়মিত ব্যায়াম, কায়িক পরিশ্রম। হাঁটু গেড়ে খুব বেশি কাজ করা কমাতে হবে। এছাড়া শরীরে ভিটামিন ডি বৃদ্ধি করার জন্য সূর্যের আলোতে যাওয়া, ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়াম রয়েছে এমন খাবার খাওয়া।ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়াম ঔষধ সেবন করা।
ইউরিনারি ইনকন্টিনেন্স হলে লজ্জায় বিষয়টি লুকিয়ে না রেখে চিকিৎসকের কাছে যাওয়ারা কথা বলছেন সামনুন তাহা। প্রস্রাব এলে তা চেপে না রেখে সময়মত তা ত্যাগ করার পরামর্শ দিচ্ছেন তিনি। এছাড়া মূত্রথলির পেশি শক্ত করা, মূত্রথলির নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা বাড়ানোর ব্যায়ামও কাজ লাগে।
নারীদের ক্ষেত্রে মেনোপজের পরে চিকিৎসকেরা কিছু ঔষধ দিয়ে থাকেন তাতে তাদের হাঁটুর ব্যথা ও ইউরিনারি ইনকন্টিনেন্স সমস্যায় উপকার হয়ে থাকে। সামাজিক কার্যক্রম ও মানুষের সাথে মেলামেশা বৃদ্ধি উপকারে আসে।
ডিমেনশিয়া বা স্মৃতিভ্রংশ নিয়ন্ত্রণে রাখতে মস্তিষ্কের ব্যবহার বাড়ানো খুব জরুরি। বই পড়া, শব্দ তৈরি করার খেলা, সামাজিক কার্যক্রম বৃদ্ধি করা, মানুষের সাথে মেলামেশা বৃদ্ধি করা, মস্তিষ্ক সজীব রাখে এরকম কিছু করলে ডিমেনশিয়া নিয়ন্ত্রণে কাজে আসে।
পার্কিনসন্স ডিজিজের কোন নিরাময় নেই তবে কোন লক্ষণ দেখলে সাথে সাথে ঔষধ শুরু করে এর বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এই রোগে ঔষধ ছাড়াও ফিজিওথেরাপি সাহায্য করে। সামনুন তাহা বলছেন, হার্টের জন্য যা কিছু ভাল তা ব্রেনের জন্য ভাল আমি এভাবে বলবো। ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা। প্রেশারের ঔষধ ঠিক মতো খাওয়া, রক্তে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করা, চর্বি জাতীয় খাবার কম খাওয়া এসব করলে বয়সকালের অনেক অসুখ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। স্ট্রোকের ক্ষেত্রেও সেটি প্রযোজ্য।
সুষম খাবার খাওয়া ও শরীরে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখলে জগতের প্রায় সকল অসুখেই উপকার পাওয়া যায়। আর তিরিশের কোঠার শেষের দিক এবং চল্লিশের শুরু একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়। এই সময়ে শরীরের বাড়তি যত্ন নেয়ার তাগিদ দিয়েছেন সামনুন তাহা।
- ফল খাওয়ার পর পানি পান করলে কী হয়?
- দেবের সঙ্গে শুভশ্রী, রাজকে খোঁচা সাবেক স্ত্রীর
- এনসিপির ৫ শীর্ষ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ
- ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন
- জাতীয় নির্বাচনে ৪৭ হাজার কেন্দ্রে পুলিশের শরীরে থাকবে ক্যামেরা
- সাগরিকার জোড়া গোলে উড়ন্ত সূচনা বাংলাদেশের
- জাতীয় নির্বাচন আয়োজনে ইসিকে চিঠি প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যুদ্ধাপরাধে দণ্ডিতদের ছবি,শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ
- বর্ষাকালে সজনে পাতা খাওয়ার ৫ জাদুকরী উপকারিতা
- এশিয়া কাপ
প্রাথমিক স্কোয়াড ঘোষণা আফগানিস্তানের, নেই একাধিক তারকা - ৭ মাস পর দেশে ফিরলেন অপূর্ব
- পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠকের গুঞ্জন, গুজব বললেন পাটওয়ারী
- ভারতের উত্তরাখণ্ডে মেঘ ভাঙা বৃষ্টির তাণ্ডব, নিহত ৪, নিখোঁজ অনেক
- জুলাই ঘোষণাপত্রে যা যা আছে
- ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টা
- ৫০০ বছর পর জেগে উঠলো রাশিয়ার ঘুমন্ত আগ্নেয়গিরি
- চট্টগ্রামে সাবেক সেনাপ্রধানের মরদেহ উদ্ধার
- প্রশাসন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিচার ব্যবস্থা-সব দলীয়করণ:টিআইবি
- ১/১১-এর পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে: মাহফুজ আলম
- যেভাবে পাসওয়ার্ড দিলে অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত থাকবে
- এশিয়া কাপের জন্য প্রাথমিক দল ঘোষণা বাংলাদেশের
- আমেরিকায় শাকিব-বুবলির ঘোরাঘুরি, যা বললেন অপু
- জনকণ্ঠ দখলের অভিযোগ, মালিকপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা
- ইয়ামিনকে এপিসি থেকে ফেলে হত্যাকাণ্ড: সাবেক পুলিশ সদস্য গ্রেপ্তার
- দুর্ঘটনা থেকে বাঁচতে মোটরসাইকেলের যত্নে যা যা করবেন
- ইনজুরি: কত দিন মাঠের বাইরে থাকতে হবে মেসিকে
- ছেলেকে নিয়ে আমেরিকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন শাকিব-বুবলী, ছবি ভাইরাল
- শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে যে ৫ অভিযোগ আনা হয়েছে
- সমাবেশস্থল পরিষ্কার করলেন ছাত্রদল নেতাকর্মীরা
- এনসিপির ‘নতুন বাংলাদেশের ইশতেহারে’ যা যা আছে
- সবুজে অবগাহন
বৃক্ষের টানে মেলায় - টেলিগ্রামেও ‘আওয়ামী লীগ নেতাদের চাঁদাবাজি’
- আপনার কিডনি সুস্থ তো?
- রক্ত দেয়া-নেয়ার আগে যেসব বিষয় খেয়াল রাখা জরুরি
- কোন কোন দেশের ওপর কত শতাংশ শুল্ক আরোপ করলেন ট্রাম্প
- সংসদের উচ্চকক্ষ হবে ১০০ আসনের, সদস্য নির্বাচিত হবেন পিআর পদ্ধতিতে
- শাকিব খানের ঈদের সিনেমাটি কালা জাহাঙ্গীরের জীবনী নির্ভর নয়
- নিউইয়র্কবাসীর হৃদয় জিতে বিদায় নিলেন বাংলাদেশি দিদারুল
- রংপুরে হিন্দুপাড়ায় হামলা: গ্রেপ্তার ৫
- খালেদা জিয়ার কণ্ঠ নকল করে চাঁদাবাজি, সাড়ে ৫ কোটি টাকা ফ্রিজ
- নাক-কান ফোঁড়ানোর আগে ও পরে যা জানা জরুরি
- ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হলে অংশ নিতে পারেন খালেদা জিয়া
- ৩৪ লাখ টাকা পান ডলি জহুর, কান্নাকাটি করেও পাননি
- ইয়ামালের স্বপ্ন পূরণ
- দুর্ঘটনা থেকে বাঁচতে মোটরসাইকেলের যত্নে যা যা করবেন
- কুমিল্লায় বিএনপি-এনসিপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, আহত ১০
- সমাবেশস্থল পরিষ্কার করলেন ছাত্রদল নেতাকর্মীরা
- ৫০০ বছর পর জেগে উঠলো রাশিয়ার ঘুমন্ত আগ্নেয়গিরি
- ৩৩ বছর অতিক্রান্ত, অবশেষে জাতীয় পুরস্কার পাচ্ছেন শাহরুখ
- চট্টগ্রামে সাবেক সেনাপ্রধানের মরদেহ উদ্ধার