ঢাকা, ১৬ এপ্রিল মঙ্গলবার, ২০২৪ || ৩ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
১৩৭৮

শপিং মলে কেনা-বেচায় মানতে হবে যেসব নিয়ম

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৩:০২ ৮ মে ২০২০  

রাজধানী ঢাকায় লকডাউনের মধ্যে শপিং মলে কেনাকাটার সুযোগ আসছে। তবে এ ক্ষেত্রে নতুন কয়েকটি শর্ত মেনে চলতে হবে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়কেই।

 

ঢাকা মহানগর পুলিশের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কেউ চাইলে নিজের এলাকার দুই কিলোমিটারের মধ্যে কোনো শপিং মলে গিয়ে কেনাকাটা করতে পারবেন। সেজন্য তাকে বসবাসের ঠিকানার প্রমাণপত্র সঙ্গে রাখতে হবে।

 

মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান  বলেন, “সরকারের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ১০ মে থেকে দোকান-পাট ও শপিং মল খোলার অনুমতি দিয়েছে। সেখানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়ে শর্ত আছে। আমাদের কমিশনার স্যারের নির্দেশে আরও কিছু বিষয় যুক্ত করে ডিএমপি থেকে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।”

 

ডিএমপির নির্দেশনায় বলা হয়েছে -

 

>>  সরকার ঘোষিত নির্ধারিত সময় সকাল ১০টা থেকে বিকাল ০৪টা পর্যন্ত শপিং মল ও দোকান খোলা রাখা যাবে। তবে ফুটপাতে বা প্রকাশ্য স্থানে হকার / ফেরিওয়ালা / অস্থায়ী দোকানপাট বসতে দেওয়া যাবে না।

 

>>  ক্রেতারা তাদের নিজ নিজ এলাকার দুই কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থিত শপিংমলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কেনা-কাটা করতে পারবেন। এক এলাকার ক্রেতা অন্য এলাকার শপিংমলে কেনাকাটা বা যাতায়াত করতে পারবেন না।

 

>>  বসবাসের এলাকা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার জন্য ক্রেতাকে পরিচয়পত্র বা প্রমাণপত্র (এনআইডি / পাসপোর্ট / ড্রাইভিং লাইসেন্স / বিদ্যুৎ-গ্যাস-পানির বিলের মূল কপি) সঙ্গে রাখতে হবে এবং শপিং মলে প্রবেশের সময় তা দেখাতে হবে।

 

>>  প্রত্যেক শপিংমলের প্রবেশমুখে স্বয়ংক্রিয় জীবাণুনাশক টানেল বা চেম্বার স্থাপন করতে হবে। তাপমাত্রা মাপার জন্য থার্মাল স্ক্যানারের ব্যবস্থা রাখতে হবে। এছাড়া প্রত্যেক দোকানে আলাদাভাবে তাপমাত্রা মাপার ব্যবস্থা রাখতে হবে।

 

>>  শপিং মলে প্রবেশের সময় হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারসহ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে। মুখে মাস্ক ছাড়া কোনো ক্রেতা দোকানে প্রবেশ করতে পারবেন না। বিক্রেতা ও দোকান কর্মচারীদের মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লাভস পরতে হবে।

 

>>  প্রতিটি শপিং মল/বিপণি বিতানের সামনে ‘স্বাস্থ্য বিধি না মানলে, মৃত্যু ঝুঁকি আছে’ সতর্কবাণী লেখা ব্যানার টানাতে হবে।

 

>>   শপিংমলে প্রবেশ, বের হওয়া এবং কেনাকাটার সময় ক্রেতা-বিক্রেতাকে কমপক্ষে ১ মিটার (প্রায় ৪০ ইঞ্চি) দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। এই নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে দোকানে যতজন ক্রেতা অবস্থান করতে পারেন তার বেশি ক্রেতাকে প্রবেশ করতে দেয়া যাবে না।

 

>>  সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য প্রত্যেক দোকানের সামনে দূরত্ব মেপে মার্কিং করতে হবে।

 

>>  শপিং মলগুলোতে বয়স্ক, শিশু ও অসুস্থদের (হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ও অন্যান্য) যাতায়াতে নিরুৎসাহিত করতে হবে।