ঢাকা, ২৯ মার্চ শুক্রবার, ২০২৪ || ১৫ চৈত্র ১৪৩০
good-food
৩৯২

শিশুকে ডিম খাওয়ানো কী নিরাপদ?

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২২:১৪ ২ জানুয়ারি ২০২১  

ডিম হচ্ছে নিউট্রিশনের পাওয়ারহাউস। আমরা সবাই জানি এটি সম্পূর্ণ খাদ্য। এ  দিয়ে সুস্বাদু খাবার তৈরি করা খুব সহজ। বাচ্চারাও তা খেতে পছন্দ করে। কিন্তু ডিম থেকে অনেকেরই অ্যালার্জি হয়। সেই কারণে শিশুদের সেটি খাওয়াতে ভয় পান অনেক বাবা-মা।


এখন জেনে নিন বাচ্চাদের ডিম খাওয়ানো সত্যিই কতটা নিরাপদ? কোন বয়স থেকে তাদের তা খাওয়ানো যেতে পারে? এ বিষয়ে কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা? আগে ডাক্তাররা অন্তত ২ বছর বয়স না হওয়া পর্যন্ত শিশুদের ডিম দিতে বারণ করতেন। কিন্তু আজকাল তারা তা মানছেন না। চিকিৎসকরা বলছেন, যে বয়স থেকে শিশু কঠিন খাবার চিবিয়ে খেতে শিখবে, তখন থেকেই তাদের ডিম খাওয়ানো যেতে পারে। অর্থাৎ ৬ মাস বয়স থেকেই বাচ্চাকে তা খাওয়াতে পারেন।


বিশেষজ্ঞদের মতে, যেসব খাবারে অ্যালার্জির প্রবণতা থাকে, সেসব যত তাড়াতাড়ি বাচ্চাকে খাওয়ানো যায় শুরু করা উচিত। এ ধরনের খাবার তাদের খাওয়ানো শুরু করতে যত দেরি করা হবে, ততই তা থেকে তার অ্যালার্জি হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। আগেকার দিনে বলা হতো শিশুকে শুধু ডিমের কুসুম খাওয়াতে। কারণ এতে অ্যালার্জেন থাকে না বলে মনে করা হতো। কিন্তু আজকাল বিশেষজ্ঞরা ডিমের পুরো অংশটাই বাচ্চাকে খাওয়ানোর পরামর্শ দেন।


সন্তান যখন নিজে বসতে পারবে এবং মাথা সোজা রাখতে পারবে, তখন বুঝবেন যে তাকে কঠিন খাবার খাওয়ানোর সময় এসে গেছে। এসময় থেকেই বাচ্চাকে ডিম খাওয়াতে পারেন। আমেরিকান অ্যাকাডেমি অব পেডিয়াট্রিকসের মতে, শিশুকে এক সময় একটাই নতুন খাবার খাওয়ান। এরপরে ২-৩ দিন অপেক্ষার পরে তাকে অন্য কোনও নতুন খাবারের সঙ্গে পরিচয় করান। এ ২-৩ দিনে লক্ষ্য রাখুন তার কোনও রকম অ্যালার্জি বেরোচ্ছে কিনা।


শিশুকে কখনই আধসিদ্ধ দেবেন না। ভালো করে সিদ্ধ করা ডিমই তার জন্য উপযুক্ত। এটি সিদ্ধ করে তারপর ভালো করে চটকে নিন। তা বাচ্চা এমনি খেতে না পারলে বেবি ফুডের সঙ্গে মিশিয়েও খাওয়াতে পারেন। ডিম খাওয়ার পর শিশুর শরীরে লাল দাগ, চুলকানি, নিশ্বাসের কষ্ট, হাঁচি, নাক দিয়ে পানি পড়া, লাল চোখ, বমি, পেট ব্যথা বা ডায়েরিয়া দেখা দিলে বুঝবেন খাদ্যটি তার সহ্য হচ্ছে না। সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন।