ঢাকা, ২৯ মার্চ শুক্রবার, ২০২৪ || ১৫ চৈত্র ১৪৩০
good-food
৬৫৩

খতিয়ে দেখার নির্দেশ

সংবিধান-পুস্তকে ৭ মার্চের ভাষণে ‘ভুল’!

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২২:৪৪ ১০ মার্চ ২০২০  

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ সংবিধানের পঞ্চম তফসিলে ‘অসম্পূর্ণ’ ও ‘ভুলভাবে’ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখতে উচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটি করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাই কোর্ট।

এ সংক্রান্ত  রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি মো.ইকবাল কবিরের হাই কোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।

৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ ‘অসম্পূর্ণ’ ও ‘ভুলভাবে’ সংবিধানে এসেছে কি না তা খতিয়ে দেখে কমিটিকে ছয় সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলেছেন আদালত।

আদালতে আবেদনকারী পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুল আলিম মিয়া জুয়েল ও সুবীর নন্দী দাস।

রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত।

সুবীর নন্দী দাস সাংবাদিকদের বলেন, “আমাদের সংবিধানের পঞ্চম তফসিলে ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণটি সন্নিবেশ করা হয়েছে। রিট আবেদনকারীর মতে, সংবিধানে ছাপানো ভাষণটিতে মূল ভাষণ থেকে শব্দগত বিচ্যুতি ঘটেছে।

“ফলে এই ব্যাপারে আদালত রুল জারি করেছেন এবং সরকারকে নির্দেশ দিয়েছেন একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি করার জন্য।”

১৯৭১ সালের ৭ মার্চ তখনকার রেসকোর্স (এখনকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) ময়দানে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক সেই ভাষণের সময় সমাবেশে উপস্থিত থেকে যারা ভাষণটি সরাসরি শুনেছেন, তাদের কাউকে অন্তর্ভুক্ত করে কমিটিটি গঠন করতে বলেছেন আদালত।

স্বাধীনতার প্রাক্কালে ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেওয়া ওই ভাষণ সংবিধান ও পাঠ্যপুস্তকে ‘ভুলভাবে অন্তর্ভুক্ত করার’ বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে রিট আবেদনটি করেন রাজবাড়ীর কাশেদ আলী।

তিনি জানান, গত বছর ২২ অগাস্ট পাঠ্যপুস্তকের ভলভ্রান্তি নিয়ে দৈনিক ইত্তেফাক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রকাশিত খবর পড়ার পর তিনি অষ্টম শ্রেণির বাংলা পাঠ্য বইয়ে ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ গদ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণে ৫০টির বেশি ‘ভুল’ খুঁজে পান।

এরপর ভুলগুলো সংশোধনের জন্য ১০ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব বরাবরে একটি আবেদন করেন। কিন্তু সাড়া না পেয়ে ৫ মার্চ হাই কোর্টে রিট করেন।

 

সংবিধান ও পাঠ্যপুস্তকে বঙ্গবন্ধুর ভাষণে যা আছে :

 

১. রিকশা, গরুর গাড়ি, রেল চলবে ২. জনগণের প্রতিনিধির হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর ৩. অর্থনীতি, রাজনীতি, সাংস্কৃতিক মুক্তি পাবে ৪. বিদেশের সাথে দেওয়া-নেওয়া চলবে না ৫. বাঙালিরা বুঝেসুঝে কাজ করবেন ৬. এই অংশ পাঠ্যপুস্তক বা সংবিধানে মুদ্রণ করা হয়নি ৭. শুনুন মনে রাখবেন শত্রু বাহিনী ঢুকেছে ৮. নির্বাচনের পর বাংলাদেশের মানুষ ৯. আজ দুঃখের সাথে বলতে হয় ১০. আমরা গদিতে বসতে পারিনি ১১. তাতে সমস্ত দোষ তিনি আমার উপর দিয়েছেন ১২. ততদিন খাজনা ট্যাক্স বন্ধ করে দেওয়া হলো ১৩. পশ্চিম থেকে এখানে আসলেন ১৪. ভুট্টো বললেন তিনি যাবে না ১৫. তাকে মেরে ফেলা হবে ১৬. তারপর হঠাৎ ১ তারিখে অ্যাসেম্বলি বন্ধ করে দেওয়া হলো ১৭. মার্শাল ল’ জারি ১৮. ১৯৬৬ সালে ৬ দফার আন্দোলনে ৭ জুনে ১৯. তারপর অনেক ইতিহাস হয়ে গেলো ২০. তারপর অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করলাম ২১. আমি তো অনেক আগেই বলে দিয়েছি কিসের রাউন্ড টেবিল কার সাথে বসবো ২২. হঠাৎ আমার সাথে পরামর্শ না করে ২৩. পাঁচ ঘণ্টা গোপন বৈঠক করে ২৪. আমি ১০ তারিখে সিদ্ধান্ত নিয়েছি ২৫. এরপূর্বে অ্যাসেমব্লিতে বসতে আমরা পারি না ২৬. তারপর বিবেচনা করে দেখবো ২৭. এই বাংলাদেশে কোট-কাছারি ২৮. সেমি-গভর্নমেন্ট দপ্তর ওয়াপদা ২৯. এরপর যদি বেতন দেওয়া না হয় ৩০. আর যদি আমার লোককে হত্যা করা হয় ৩১. যে সমস্ত শ্রমিক ভাইয়েরা যোগদান করেছে ৩২. প্রত্যেক শিল্পের মালিক ৩৩. সরকারি কর্মচারীদের বলি ৩৪. তাহলে কোনো বাঙালি ৩৫. কোনো বাঙালি টেলিভিশনে যাবেন না ৩৬. হিন্দু-মুসলমান বাঙালি অবাঙালি যারা আছে ৩৭. আমার এই দেশের মুক্তি না হচ্ছে ৩৮. যাতে মানুষ তাদের মাইনেপত্র নিতে পারে ৩৯. পূর্ববাংলা থেকে পশ্চিম পাকিস্তানে ৪০. আরো আলোচনা হবে ৪১. আমি বললাম ঠিক আছে আমরা অ্যাসেম্বলিতে বসব ৪২. বন্ধ করার পর ৪৩. আপনারা হরতাল পালন করুন ৪৪. যা আমরা পয়সা দিয়ে (৫.৪০ সেকেন্ড) ৪৫. আমরা বাঙালিরা যখনই ক্ষমতায় যাবার চেষ্টা করেছি ৪৬. টেলিফোনে আমার সাথে তার কথা হয় ৪৭. ঐ শহিদের রক্তের উপর পাড়া দিয়ে ৪৮. সেজন্য সমস্ত অন্যান্য ৪৯. আপনারা আসুন বসুন ৫০. আমরা আলাপ করে শাসনতন্ত্র তৈরি করবো।

 

ভাষণের সঠিক অংশ হবে :

 

১. ঘোড়া গাড়ি চলবে, ২. কাছে ৩. অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ৪. বিদেশের সঙ্গে নিউজ পাঠাতে হলে আপনারা চালাবেন ৫. বাঙালিরা বুঝে-শুনে ৬. এই অংশ পাঠ্যপুস্তক বা সংবিধানে মুদ্রন করা হয়নি ৭. শোনেন ৮. পর ৯. সঙ্গে ১০. নাই ১১. ‘তাতে’ শব্দটি অতিরিক্ত যোগ করা হয়েছে এবং ‘উপর’ শব্দটি ‘ওপরে’ হবে ১২. ‘ততদিন’ শব্দটি অতিরিক্ত যোগ করা হয়েছে ১৩. ‘পাকিস্তান’ শব্দটি বাদ দেওয়া হয়েছে ১৪. ‘সাহেব’ শব্দটি বাদ দেওয়া হয়েছে ১৫. ‘দেওয়া’ শব্দটি বাদ দেওয়া হয়েছে ১৬. ‘তারপরে’, ‘অ্য্যাসেম্বলি’ এবং ‘দেওয়া’ হবে ১৭. সঠিক বানান ‘জারি’ ১৮. সাতই ১৯. তারপরে ২০. তারপরে অন্যান্য নেতৃবৃন্দ তাদের সঙ্গে আলাপ করলাম ২১. আমিতো অনেক আগেই বলেছি কীসের আরটিসি কার সঙ্গে বসবো? ২২. সঙ্গে ২৩. ‘গোপনে’ হবে ২৪. বলে দিয়েছি ২৫. এরপূর্বে এরপূর্বে অ্যাসেমব্লিতে বসা, আমরা অ্যাসেমব্লিতে বসতে আমরা পারি না ২৬. তারপরে ২৭. ‘কাচারি’ হবে ২৮. দপ্তরগুলো ২৯. এরপরে ৩০. লোকদের ৩১. করেছেন ৩২. প্রত্যেকটা ৩৩. সরকারি ৩৪. বাঙ্গালি ৩৫. বাঙ্গালি ৩৬. বাঙ্গালি, নন-বাঙ্গালি ৩৭. হবে ৩৮. মাইনাপত্র নেবার ৩৯. ‘কিন্তু’ শব্দ বাদ পড়েছে ৪০. আরো ৪১. আমরা, অ্যাসেমব্লিতে বসবো ৪২. বন্ধ করে দেওয়ার পরে ৪৩. করেন ৪৪. ‘যা’ শব্দটি বাদ পড়েছে ৪৫. বাঙ্গালিরা ৪৬. সঙ্গে ৪৭. ওপর, দিয়ে ৪৮. সেইজন্য ৪৯. বসি ৫০. করি।

এই ৫০ টি ভুল ছাড়াও সংবিধানে সন্নিবেশিত ভাষণে কিছু কিছু অংশ বাদ পড়েছে।

 

বাদ পড়া অংশ রিট আবেদনে তুলে ধরা হয়েছে। তা হলো -

১. আপনারা জানেন, দোষ কী আমাদের আজকে তিনি (২.৫৯ সেকেন্ড) ২. আপনারা জানেন আলাপ-আলোচনা করেছি (৩.১০ সেকেন্ড) ৩. তিনি মেনে নিলেন (৩.৩৫ সেকেন্ড) ৪. আমরা আলাপ-আলোচনা করবো (৩.১০ সেকেন্ড) ৫. তারপরও যদি কেউ আসে, তাকে ছন্নছাড় করা হবে (৪.৪১ সেকেন্ড) ৬. আমরা পাকিস্তানের সংখ্যাগুরু (৫.৫৭ সেকেন্ড) ৭. যখনই এদশের মালিক হবার চেষ্টা করেছি (৬.০৫ সেকেন্ড) ৮. তারা আমাদের ভাই, আমি বলেছি তাদের কাছে এ কথা, যে আপনারা কেন? আপনার ভাইয়ের বুকে গুলি মারবেন। আপনাদের রাখা হয়েছে যদি বহিঃশক্র আক্রমণ করে, তার থেকে দেশকে রক্ষা করার জন্য। তারপরে উনি বললেন, যে আমার নামে বলেছেন, আমি নাকি বলে স্বীকার করেছি, যে দশই তারিখে রাউন্ড টেবিল কনফারেন্স হবে। আমি উনাকে এ কথা বলে দেবার চাই, আমি তাকে তা বলি নাই (৬.১০ সেকেন্ড) ৯. ঢাকায় আসেন (৬.৪৭ সেকেন্ড) ১০, তারপরে আপনি ঠিক করুন (৭.০১ সেকেন্ড) ১১. বা আমাদের সঙ্গে আলোচনা না করে (৭.১৮ সেকেন্ড) ১২. এবং যে বক্তৃতা অ্যাসেমব্লি করেছেন (৭.২৫ সেকেন্ড) ১৩. ভালো হবে না (১১.১২ সেকেন্ড) ১৪. তবে অনুরোধ করছি, আপনারা আমাদের ভাই, আপনারা দেশকে একেবারে জাহান্নামে ধ্বংস করে দিয়েন না। জীবনে আর কোনোদিন আপনাদের মুখ দেখা দেখি হবে না। যদি আমরা শাস্তিপূর্ণভাবে আমাদের ফয়সালা করতে পারি, তাহলে অন্ততপক্ষে ভাই ভাই হিসেবে বাস করার সম্ভাবনা আছে। সেইজন্য আপনাদের অনুরোধ করছি, আমার এই দেশে, আপনারা মিলিটারি শাসন চালাবার চেষ্টা করবেন না। (১৪.২২ সেকেন্ড) ১৫. দ্বিতীয় কথা, প্রত্যেক ইউনিয়নে, প্রত্যেক সাব ডিভিশনে (১৩.৫২ সেকেন্ড) ১৬, আমি পরিষ্কার মিটিং এ বলেছি, এবারের সংগ্রাম আমার মুক্তির সংগ্রাম। এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম (৭.৩৪ সেকেন্ড)।