ঢাকা, ২৯ মার্চ শুক্রবার, ২০২৪ || ১৫ চৈত্র ১৪৩০
good-food
২১৫

৪২ কেজি হরিণের মাংস : থানায় জমা পড়লো ৩৪ কেজি

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২৩:১৯ ৩০ মার্চ ২০২০  

মোংলায় সুন্দরবন থেকে হরিণ শিকার করে নিয়ে যাওয়ার সময় এক শিকারিকে আটক করেছে পুলিশ।

সোমবার (৩০ মার্চ) বিকালে উপজেলার মিঠাখালী বাজার খাল থেকে নৌকা নিয়ে যাওয়ার সময় তাকে আটক করা হয়। এসময় নৌকায় থাকা অন্য শিকারি পালিয়ে গেলেও সেখান থেকে ৪২ কেজি মাংস ও হরিণ ধরার ফাঁদ ও অন্যান্য মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে।

তবে স্থানীয়রা চটেরহাট ফাঁড়ি পুলিশের সামনে ৪২ কেজি মাংস বুঝিয়ে দিলেও পুলিশ ৩৪ কেজি মাংস মোংলা থানায় জমা দিয়েছে।


 মোংলা চটেরহাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস আই মোঃ রবিউল ইসলাম জানান, দীর্ঘদিন যাবত একদল হরিণ শিকারি সুন্দরবন থেকে মায়াবী হরিণ শিকার করে মোংলাসহ এলাকার বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করে আসছিল। সোমবার (৩০ মার্চ) বিকেলে গোপন সংবাদ পেয়ে পুলিশের একটি দল চটেরহাট বাজার এলাকায় অভিযান চালায়।  পুলিশের উপস্থিত বুঝতে পেরে খাল দিয়ে শিকারিরা নৌকা নিয়ে দ্রুত চালিয়ে যাওয়ার সময় নৌকাটিকে চ্যালেঞ্জ করে পুলিশ। এসময় নৌকা ফেলে পলিয়ে যাওয়ার সময় ধাওয়া করে মনি শেখ (২৭) নামের একজনকে আটক করতে পারলেও ইয়াসিন (২৫) নামের অন্য শিকারি পালিয়ে যায়।

আটক মনি শেখ রামপালের কাঠলী এলাকার ইউনুচ শেখের পুত্র। আর পলিয়ে যাওয়া অন্য শিকারি একই এলাকার জাকির হোসেনের ছেলে।

পরে স্থানীয়দের সহায়তায় নৌকায় তল্লাশি চালিয়ে হরিণের মাংস ও হরিণ ধারার সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। এরপর স্থানীয় বাজারে থাকা উপস্থিত লোকজন দোকানীদের পাল্লায় ৪২ কেজি হরিণের মাংস মেপে দেন পুলিশ সদস্যদের।

সন্ধ্যার পর আটক শিকারি ও হরিণের মাংসসহ মোংলা থানায় জমা দেন এস আই রবিউল ইসলাম।


মোংলা থানার অফিসার ইনচার্জ ইকবাল বাহার চৌধুরী জানান, আইনি প্রক্রিয়া শেষে উদ্ধারকৃত মাংস ও আটক মনি শেখ এর বিরুদ্ধ মামলা দায়েরের পর বাগেরহাট আদালতে সোপর্দ করা হবে।

এদিকে স্থানীয়রা বলছেন, বাজারে সবার সামনে ৪২ কেজি হরিণের মাংস মেপে নিয়ে গেছেন পুলিশ সদস্যরা। মাংসের পরিমাণের তারতম্যের বিষয়ে জানতে চাইলে ইকবাল বাহার বলেন, থানায় ৩৪ কেজি মাংস বুঝিয়ে দিয়েছেন এস আই রবিউল ইসলাম। এই পরিমাণ মাংস উদ্ধার হয়েছে বলেই তিনি জানিয়েছেন। ৪২ কেজি মাংস মাপার কথা আমি আপনাদের কাছেই শুনলাম। বিষয়টি খতিয়ে দেখবো।