ঢাকা, ০৮ অক্টোবর বুধবার, ২০২৫ || ২৩ আশ্বিন ১৪৩২
good-food

ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে আটক শহিদুল আলম ও তার সহযোগীরা

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৬:১৪ ৮ অক্টোবর ২০২৫  

গাজা অভিমুখী নৌবহরে থাকা বাংলাদেশের আলোকচিত্রী ও মানবাধিকারকর্মী শহিদুল আলমকে আটক করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক ভিডিও বার্তায় এ তথ্য জানান শহিদুল আলম নিজেই।

 

বুধবার বাংলাদেশ সময় সকাল সোয়া ১০টার দিকে ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, “আমি শহিদুল আলম, বাংলাদেশের একজন আলোকচিত্রী ও লেখক। আপনি যদি এই ভিডিওটি দেখেন, তার মানে আমাদের সমুদ্রে আটক করা হয়েছে এবং আমাকে ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী অপহরণ করেছে—যে দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য পশ্চিমা শক্তির সক্রিয় সহযোগিতা ও সহায়তায় গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে। আমি আমার সব সহকর্মী ও বন্ধুদের কাছে আহ্বান জানাচ্ছি, যেন তারা ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম অব্যাহত রাখেন।”

 

ভিডিওটি প্রকাশ্যে আসার পর দেশ-বিদেশের মানবাধিকার কর্মী, শিল্পী ও অ্যাক্টিভিস্টদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া ও উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। ‘কনশানস’ নামে একটি জাহাজে ছিলেন শহিদুল আলম। এটি ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশনের অংশ হিসেবে ১ অক্টোবর স্পেনের বার্সেলোনা থেকে গাজার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। এই মিশনের লক্ষ্য ছিল ইসরায়েলি অবরোধ ভেঙে গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়া।

 

শহিদুল আলম ও তার সহযোগীদের আটকের ঘটনার তথ্য নিশ্চিত করে টাইমস অব ইসরায়েল একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলি নৌবাহিনী গাজামুখী সর্বশেষ ত্রাণবাহী নৌবহর (ফ্লোটিলা) আটক করেছে। সব যাত্রী নিরাপদে রয়েছেন এবং তাদের দ্রুত দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।

 

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইসরায়েলি নৌবাহিনী ২০২৫ সালের ৮ অক্টোবর সকালে ভূমধ্যসাগরে ‘ফ্রিডম ফ্লোটিলা’র একটি নৌকায় অভিযান চালায়। তারা জানায়, গাজায় আরোপিত সামুদ্রিক অবরোধ ভাঙার নতুন প্রচেষ্টা ব্যর্থ করা হয়েছে। নৌবহরের জাহাজগুলো ও যাত্রীদের আটক করে ইসরায়েলের একটি বন্দরে নেওয়া হচ্ছে।

 

ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে পোস্ট করে লিখেছে, “আইনসম্মত নৌ অবরোধ ভাঙার আরেকটি ব্যর্থ চেষ্টা এবং যুদ্ধক্ষেত্রে প্রবেশের প্রচেষ্টা ফলহীন হয়েছে। জাহাজ ও যাত্রীদের ইসরায়েলি বন্দরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সকল যাত্রী নিরাপদ ও সুস্থ আছেন। তাদের দ্রুতই ফেরত পাঠানো হবে।”

 

‘ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন’ আয়োজিত নয়টি নৌকার এই বহরে প্রায় ১০০ জন কর্মী ছিলেন বলে জানা গেছে। এর মধ্যে একটি নৌকার নাম ছিল ‘কনশানস’ বা ‘বিবেক’। বহরটি প্রায় দুই সপ্তাহ আগে ইতালি থেকে যাত্রা শুরু করেছিল।

 

প্রতিবেদন অনুসারে, নৌকার আয়োজকরা এক বিবৃতিতে বলেছেন, “আমাদের নৌযানটি বর্তমানে ইসরায়েলি সামরিক হেলিকপ্টারের হামলার মুখে পড়েছে, আর বাকি আটটি পালতোলা নৌকা অবৈধভাবে আটক ও ছিনতাই করা হচ্ছে।” কর্মীদের প্রকাশিত ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, ইসরায়েলি নৌবাহিনীর সদস্যরা নৌযানগুলোতে উঠে অভিযান চালাচ্ছেন।