ঢাকা, ১৭ আগস্ট রোববার, ২০২৫ || ১ ভাদ্র ১৪৩২
good-food
৮৫৮

বৃষ্টিতে স্বস্তি, কাটেনি শংকা

সন্ধ্যায় বাংলাদেশে আঘাত হানবে ফণী

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১২:৩৫ ৩ মে ২০১৯  

ভারতে আঘাত হানার পর কিছুটা দুর্বল হয়ে আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণীঝড় ফণী।

আবহাওয়া অফিস বলছে, ফণী’র প্রভাবও শুরু হয়ে গেছে। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ অগ্রবর্তী অংশের প্রভাব শুক্রবার সকাল থেকে বাংলাদেশে পড়তে শুরু করেছে। আজ শুক্রবার ও কাল শনিবার এই প্রভাব থাকবে বাংলাদেশজুড়ে। 

এরইমধ্যে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি শুরু হয়ে গেছে। সকালে রাজধানীতে থেমে থেমে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সপ্তাহখানেক ধরে তীব্র দাপদাহের পর এই বৃষ্টি নগর জীবনে কিছুটা স্বস্তি বয়ে এনেছে। তবে জনমনে কাজ করছে শঙ্কা।

শুক্রবার সকাল থেকেই আকাশে মেঘ ছিল। তবে মেঘের আড়ালে সূর্যও উঁকিঝুঁকি দিচ্ছিল। সকাল পৌনে ১০টার দিকে বৃষ্টি নামে। যদিও এ বৃষ্টি বেশিক্ষণ স্থায়ী ছিল না। মাত্র ১৫ থেকে ২০ মিনিট স্থায়ী ছিল।

 

কিন্তু অল্প সময়ের হলেও হঠাৎ এ বৃষ্টির ফলে রাজধানীতে অনেকটাই স্বস্তি নেমে এসেছে। গরম কিছুটা হলেও কমেছে।

আবহাওয়া বিভাগ আগেই বলেছে, বাংলাদেশে ফণীর প্রভাব শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত থাকতে পারে।

 

উত্তরবঙ্গ এবং ঢাকার আশপাশের জেলায়ও বৃষ্টির খবর পাওয়া গেছে। নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, নরসিংদীসহ বেশ কয়েকটি জেলায় বৃষ্টির হচ্ছে। দিনভর থেমে থেমে বৃষ্টি থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

 

আবহাওয়াবিদ আশরাফ উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, ঝড়ের প্রভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে এরইমধ্যে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এরইমধ্যে ভারতের পুরিতে ঘূর্ণিঝড় ফণী আঘাত হেনেছে। এর প্রভাবে আজ সারাদিনই বাংলাদেশে থেমে থেমে বৃষ্টি হবে। রাত নাগাদ ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রটা বাংলাদেশে এসে পৌঁছাবে।

 

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ১৮০ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ২০০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।

 

মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৭ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

 

চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৬ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

 

কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

 

আবহাওয়া বার্তায় আরও বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় এবং অমাবস্যার প্রভাবে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৪-৫ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

 

ওদিকে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ফণী ভারতের ওডিশার উপকূলে আজ শুক্রবার সকালে আঘাত হেনেছে বলে জানিয়েছে ভারতের গণমাধ্যমগুলো। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ফণী আঘাতের পর প্রবল ঝোড়ো হাওয়া বইছে। বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার।

 

 

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ইতোমধ্যে উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে, দমকা বাতাসে সমুদ্রে উত্তাল ঢেউ। শুক্রবার সকালে আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও কাছাকাছি পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘ফণি’ সামান্য উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে।

 

আবহাওয়াবিদ আফতাব উদ্দিন জানান, সকালে ভারতের ওড়িশার পুরীতে প্রবল শক্তিতে ফণী আঘাত হেনেছে। এরপর আস্তে আস্তে ফণির শক্তি কমে আসবে এবং রাতে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ৯০ থেকে ১০০ কিলোমিটার বেগে আঘাত আনবে।

 

পরিবেশ বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর