ঢাকা, ২০ এপ্রিল শনিবার, ২০২৪ || ৭ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
৪২৫

টেকনাফ-সেন্টমার্টিন সমুদ্রপথে জাহাজ চলাচল বন্ধ

আটকা ১২০০ পর্যটক

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১২:৫৩ ৮ নভেম্বর ২০১৯  

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ এর কারণে কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলে ৪নম্বর সতর্ক সংকেত থাকায় আজ শুক্রবার টেকনাফ-সেন্টমার্টিন সমুদ্রপথে জাহাজ চলাচল বন্ধ রয়েছে। বৃহস্পতিবার ৩নং সংকেত ঘোষণার পর বিকালে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আশরাফুল আফসার পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সেন্টমার্টিন নৌপথে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখতে নোটিশ দেন।


জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকায় সেন্টমার্টিনে প্রায় ১২০০ পর্যটক আটকা পড়েছেন বলে জানিয়েছেন সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান নুর আহমদ। তবে তারা নিরাপদ রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। ইউপি চেয়ারম্যান জানান, বৃহস্পতিবার বেড়াতে আসা পর্যটকদের অনেকে রাত্রিযাপনের জন্য থেকে গেছেন। হঠাৎ বৈরি আবহাওয়ায় জাহাজ চলাচল বন্ধ হওয়ায় তারা আটকে গেছে।

স্থানীয় প্রশাসন পর্যটকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে উল্লেখ করে তিনি জানান, দুর্যোগ না কাটা পর্যন্ত তাদের পরিচ্ছন্নভাবে হয়রানি মুক্ত আতিথেয়তা দিতে হোটেল কর্তৃপক্ষকে বলা আছে। আমি নিজেই রাতে এবং সকালে হোটেলগুলোতে গিয়ে খোঁজখবর নিয়ে পর্যটকদের আতংকিত না হতে আশ্বস্ত করেছি।

চেয়ারম্যান আরো বলেন, সেন্টমার্টিন দ্বীপে ৫টি সাইক্লোন শেল্টার ও বহুতল কয়েকটি হোটেল রয়েছে। কঠিন দুর্যোগ বা জলোচ্ছ্বাস হলেও আটকে পড়া পর্যটকদের বিচলিত হবার কিছু নেই। সংকেত বাড়লে আমরা তাদের সেখানে এসব স্থানে নিয়ে যাবার ব্যবস্থা করব।

কেয়ারি সিন্দাবাদ ও ক্রুজের ইনচার্জ মো. শাহ আলম জানান, নৌপথে জাহাজ চলাচল স্থগিত করে দেয় প্রশাসন। শুক্রবার সকাল থেকে সংকেত বেড়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তাই জাহাজ সেন্টমার্টিনের পথে যায়নি।

কক্সবাজার আবহাওয়া অফিস জানায়, সাগরে এখন ৪ নম্বর সতর্ক সংকেত জারি করা হয়েছে। টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধসহ সমুদ্রের সব ধরনের নৌযানকে নিরাপদ আশ্রয়ে আসতে বলাপ্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ ধেয়ে আসায় সেন্টমার্টিনে প্রায় ১ হাজার ২০০ পর্যটক আটকা পড়েছেন।
ঝড়ের কারণে কক্সবাজার উপকূলে ৪ নম্বর সতর্কতা সংকেত থাকায় শুক্রবার টেকনাফ-সেন্টমার্টিন সমুদ্রপথে জাহাজ চলাচল বন্ধ রয়েছে।

বৃহস্পতিবার ৩ নম্বর সংকেত ঘোষণার পর বিকেলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আশরাফুল আফসার পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সেন্টমার্টিন নৌপথে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখতে নোটিশ দেন।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান নুর আহমদের দাবি, সেখানে প্রায় এক হাজার ২০০ পর্যটক আটকা পড়েছেন। তবে তাদের সবাই নিরাপদে রয়েছেন।

তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার বেড়াতে আসা পর্যটকদের অনেকে রাত কাটাতে থেকে গেছেন। হঠাৎ বৈরী আবহাওয়ায় জাহাজ চলাচল বন্ধ হওয়ায় তারা আটকে পড়েছেন।
দুর্যোগ না কাটা পর্যন্ত তাদের পরিচ্ছন্নভাবে হয়রানিমুক্ত আতিথেয়তা দিতে হোটেল কর্তৃপক্ষকে বলা আছে বলেও তিনি জানালেন।

এই ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, আমি নিজেই রাতে এবং সকালে হোটেলগুলোতে গিয়ে খোঁজখবর নিয়ে পর্যটকদের আতঙ্কিত না হতে আশ্বস্ত করেছি।
‘সেন্টমার্টিন দ্বীপে ৫টি সাইক্লোন শেল্টার ও বহুতল কয়েকটি হোটেল রয়েছে। কঠিন দুর্যোগ বা জলোচ্ছ্বাস হলেও আটকেপড়া পর্যটকদের বিচলিত হওয়ার কিছু নেই। সংকেত বাড়লে আমরা তাদের এসব স্থানে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করব।’

টেকনাফ-সেন্টমার্টিন সমুদ্রপথে চলাচলকারী কেয়ারি সিন্দাবাদ ও কেয়ারি ক্রুজের ইনচার্জ মো. শাহ আলম জানান, সমুদ্রে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত ওঠার পরই টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে জাহাজ চলাচল স্থগিত করে দেয় প্রশাসন। শুক্রবার সকাল থেকে সংকেত বেড়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। তাই জাহাজ সেন্টমার্টিনের পথে যায়নি।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরসমূহকে চার নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

অস্থিরমতি এই ঘূর্ণিবায়ু কোন উপকূলে আঘাত হানতে চলেছে, সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত হতে পারেননি আবহাওয়াবিদরা।
আবহাওয়া অধিদফতরের খবরে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ঝড়টি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৯০ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৩৫ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭১৫ কিমি দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৯০ কিমি দক্ষিণে অবস্থান করছিল।
এটি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।
প্রবল ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে সমুদ্রবন্দরসমূহ, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।


 হয়েছে।