ঢাকা, ০৭ আগস্ট বৃহস্পতিবার, ২০২৫ || ২২ শ্রাবণ ১৪৩২
good-food
৫৮৯

আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘আসানি’

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১১:১১ ১৮ মার্চ ২০২২  

ভারত মহাসাগরের দক্ষিণপশ্চিমে নিম্নচাপ সৃষ্টি হচ্ছে। এটি আরও শক্তি সঞ্চয় করে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়ে আগামী সপ্তাহে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলে আঘাত হানতে পারে। ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তর এ পূর্বাভাস দিয়েছে।

 

নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে এর নাম হবে ‘আসানি’। নামটি শ্রীলঙ্কার দেওয়া। ২১ মার্চ এটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়ে ২২ মার্চ পর্যন্ত উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমের দিকে অগ্রসর হতে থাকবে। ২৩ মার্চ সকালে এটি বাংলাদেশের কাছাকাছি ও মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলে পৌঁছে যাবে।

 

আগামী ২২ মার্চ দিবাগত মধ্যরাত থেকে ২৩ মার্চ দুপুরের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এবং মিয়ানমারের উপকূল অতিক্রম করতে পারে। আবহওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম বলেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট সিস্টেমটি (লঘুচাপ) আমরা পর্যবেক্ষণে রেখেছি। এটি আরও ঘণীভূত হতে পারে। এর বিষয়ে সুনির্দিষ্ট করে বলতে আরও সময় লাগবে। এখনো অনেক দূরে। তবে এটি বাংলাদেশ-মিয়ানমারের উপকূল অতিক্রমের সম্ভাবনা আছে।

 

আবহাওয়ার পূর্বাভাস মডেলগুলোর তথ্য বলছে, ২১-২২ মার্চ কক্সবাজার ও মিয়ানমারের রাখাইন অঞ্চলের উপকূলে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড়টি। একই ধরনের তথ্য মিলেছে ইউরোপিয়ান মডেলে। আর আমেরিকান মডেলে ঝড়টির বেশিরভাগ মিয়ানমার উপকূলে আছড়ে পড়ার কথা বলা হয়েছে।

 

কানাডার সাসকাচুয়ান ইউনিভার্সিটির আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক বাংলাদেশি পিএইচডি গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ বলেন, ‘মার্চ মাসের ২১ তারিখে বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হচ্ছে, যা সম্বন্ধে আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেলগুলো প্রায় শতভাগ নিশ্চিত। এ ঘূর্ণিঝড়টি হবে বঙ্গোপসাগরের ঘূর্ণিঝড়ের ইতিহাসে মার্চ মাসে সৃষ্টি হওয়ার প্রথম ঘূর্ণিঝড়।’

 

তিনি বলেন, ‘১৫ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশের উত্তর দিকে বিশেষ করে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার উপকূলে আঘাত হানা প্রথম ঘূর্ণিঝড় হবে এটি। ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার উপকূল দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করবে, এ বিষয়ে ৭০ থেকে ৮০ ভাগ নিশ্চিত আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেলগুলো। বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানার সম্ভাব্য সময় ২২ মার্চ দিবাগত মধ্যরাত থেকে ২৩ মার্চ দুপুর পর্যন্ত।’

 

ঘূর্ণিঝড়টি স্থলভাগে আঘাত হানার সময় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৮০ থেকে ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে বলেও জানান এ আবহাওয়া বিশেষজ্ঞ।

 

মোস্তফা কামাল পলাশ আরও বলেন, ‘এ ঘূর্ণিঝড়টি কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পের ওপর দিয়ে অতিক্রম করার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। ফলে ব্যাপক বৃষ্টির কারণে বন্যা ও ভূমিধসেরও প্রবল ঝুঁকি রয়েছে।’

পরিবেশ বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর