ঢাকা, ২৩ আগস্ট শনিবার, ২০২৫ || ৮ ভাদ্র ১৪৩২
good-food
৬৯৭

ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ে চাষী, রাতারাতি কোটিপতি

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৮:৩৬ ২৩ জুলাই ২০২০  

একজন চাষী প্রতিদিন কত রোজগার করতে পারেন? বড়জোর হবে ১০-১৫ হাজার টাকা। কিন্তু না! অভিষেক ধাম্বারের কথা শুনলে আপনি চমকে যাবেন। চাষবাস করেই তিনি প্রত্যেক দিন ৪০,০০০ টাকা আয় করেন। স্বভাবতই দিল্লির এ তরুণ এখন কোটিপতি।

অভিষেকের পারিবারিক পেশায় হলো চাষবাস। তাদের মোট ২৫ একর আবাদি জমি রয়েছে। তবে চাষের প্রতি কোনো ঝোঁক ছিল না তার। তাই ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়াশোনা করেন। আর স্বপ্ন দেখেন পাস করে চাকরি করবেন। 

২০১৪ সালে তিনি ইলেকট্রনিক্স এন্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করেন। এরপর তড়িঘড়ি চাকরিও পেয়ে যান। কিন্তু চাকরিতে মন বসেনি তার। একসময় তা ছেড়ে চাষের কাজে নেমে যান। হু হু করে সাফল্য পান।

স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, যে ছেলের ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রতি এত ঝোঁক ছিল, হঠাৎ করে সে তা ছেড়ে চাষবাসে লেগে পড়ল কেন? প্রশ্নটির উত্তর খুঁজতেই বেরিয়ে এসেছে আসল তথ্য।

আবাদ শুরু করার আগে কখনও মাঠে নামেননি অভিষেক। কোনও দিন বাবাকে চাষবাসে সাহায্য করেননি তিনি। মনে করতেন, সারাদিন হাড়ভাঙা খাটা-খাটুনির শেষে সামান্য পয়সা রোজগার হয়। এতে কেবল সময়ের অপচয় হয়। তাই সবসময় চাইতেন চাকরি করবেন। 

অভিষেক প্রথম থেকেই নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি সচেতন ছিলেন। সময়মতো খাওয়া দাওয়া করতেন, জিমে যেতেন। হঠাৎ একদিন ভেবেছিলেন, স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে কত পুষ্টির প্রয়োজন। 

এ নিয়ে তিনি গবেষণা শুরু করেন। ফলশ্রুতিতে খাবারে কীটনাশক জাতীয় রাসায়নিক দ্রব্য এড়াতে ছোট বাগান করেন। এভাবে জৈব সার দিয়ে চাষবাস করতে শুরু করেন। এক বছর পর নিজ চোখে দেখেন ছোট্ট বাগানে উৎপাদিত সবজির স্বাদ এবং রং অন্যরকম।

এরপর পরিবারের ২৫ একর জমিতে জৈব সার দিয়ে চাষবাস শুরু করেন অভিষেক।  রোজ ১৫ থেকে ২০ মিনিট তাতে পানি দেন। কৃত্রিম সার ছাড়াও বাম্পার ফলন পান।

সেই সঙ্গে জমির বর্জ্য পদার্থ দিয়ে বায়োগ্যাস প্লান্ট তৈরি করা শুরু করেন তিনি। এ থেকে তাদের বাড়িতে রান্না হয়। এভাবেই সু-স্বাস্থ্য এবং অর্থ দুটোই অর্জন করছেন।

ফিচার বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর