ঢাকা, ১৯ এপ্রিল শুক্রবার, ২০২৪ || ৬ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
৩২০

ইমরুল তাণ্ডবে বঙ্গবন্ধু বিপিএলে চট্টগ্রামের শুভসূচনা

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২০:০৪ ১১ ডিসেম্বর ২০১৯  

বঙ্গবন্ধু বিপিএলের প্রথম ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে অপরাজিত হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন সিলেট থান্ডারের মোহাম্মদ মিঠুন। তবে তার অনবদ্য ৮৪ রানকে বিফল করে চট্টগ্রামকে দারুণ এক জয় এনে দিলেন ইমরুল কায়েস এবং চ্যাদউইক ওয়ালটন। ইমরুলের ৬১ ও ওয়ালটনের অপরাজিত ৪৯ রানের সুবাদে সিলেটকে ৫ উইকেটে হারাল চট্টগ্রাম। 
টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৬২ রান করে সিলেট। জবাবে ৬ বল বাকী রেখেই জয়ের স্বাদ পায় চট্টগ্রাম। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এবার বিশেষ বিপিএল আয়োজন করছে বিসিবি।
মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ম্যাচে দ্বিতীয় ওভারেই ওপেনার রনি তালুকদারকে হারায় সিলেট। ৫ রান করে পেসার রুবেল হোসেনের শিকার হন তিনি। এরপর ৩২ বলে ৪৬ রানের জুটি গড়ে সিলেটকে লড়াইয়ে ফেরান জনসন চার্লস এবং তিন নম্বরে নামা মোহাম্মদ মিঠুন। ৭টি চারে ২৩ বলে ৩৫ রান করে থামেন চার্লস।
তার বিদায়ে সপ্তম ওভার শেষে উইকেটে গিয়ে নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি জীবন মেন্ডিস। ৪ রান করে রায়াদ এমরিতের বলে আউট হন তিনি।
এরপর ক্রিজে মিঠুনের সঙ্গী হন অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন। উইকেটের সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে দ্রুত রান তোলার চেষ্টা করেন তারা। এর মধ্যে বেশি মারমুখী ছিলেন মিঠুন। ১৩তম ওভারে চট্টগ্রামের বাঁ-হাতি স্পিনার নাসুম আহমেদকে তিনটি ছক্কা মারেন তিনি। আর ৩০ বলে হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন এ মিডলঅর্ডার। টি-২০ ক্যারিয়ারে নবম হাফ-সেঞ্চুরি পেয়ে আরো মারমুখি হয়ে ওঠেন এ ব্যাটসম্যান।
মিঠুন-মোসাদ্দেকের ব্যাটিং দৃঢ়তায় লড়াকু স্কোরের পথ পায় সিলেট। ইনিংসের শেষ ওভারের দ্বিতীয় বলে প্যাভিলিয়নে ফিরেন মোসাদ্দেক। রুবেলের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ২৯ রানে থামেন তিনি। ১টি করে চার-ছক্কায় ৩৫ বলে ২৯ রান করেন অধিনায়ক। হাফসেঞ্চুরির পরও নিজের ইনিংসটি আরো বড় করে শেষ পর্যন্ত ৪৮ বলে ৮৪ রানে অপরাজিত থাকেন মিঠুন। তার ইনিংসে ৪টি চার ও ৫টি ছক্কা ছিল। চতুর্থ উইকেটে মিঠুন-মোসাদ্দেক ৬৪ বলে ৯৬ রান যোগ করেন। চট্টগ্রামের রুবেল ২৭ রানে ২ উইকেট নেন।
জয়ের জন্য ১৬৩ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৪ ওভারে ২০ রানেই ২ উইকেট হারায় চট্টগ্রাম। জুনায়েদ সিদ্দিকী ৪ ও নাসির হোসেন খালি হাতে ফিরেন। দু’জনকেই শিকার করেন সিলেটের বাঁ-হাতি স্পিনার নাজমুল ইসলাম অপু।
শুরুর ধাক্কাটা সামাল দেয়ার চেষ্টা করেন আরেক ওপেনার আবিস্কা ফার্নান্দো। প্রতিপক্ষের বোলারদের উপর চড়াও হয়ে চাপ সৃষ্টি করেন তিনি। ৩টি করে চার ও ছক্কায় দলের রানের চাকা সচল রেখেছিলেন এ ডানহাতি। কিন্তু দলীয় ৪২ রানে ফার্নান্দোকে বিদায় করে দেন ক্রিসমার স্যান্টোকি। ২৬ বলে ৩৩ রান করে আউট হন তিনি।
ফার্নান্দোর রান তোলার গতি ধরে রাখেন চার নম্বরে নামা ইমরুল কায়েস। অপরপ্রান্তে সর্তক ছিলেন রায়ান বার্ল। চার-ছক্কায় দ্রুতই স্কোরবোর্ডকে শক্তপোক্ত করতে থাকেন ইমরুল। তবে নবম ওভারে চতুর্থ উইকেট হারায় চট্টগ্রাম। ৯ বলে ৩ রান করে সিলেটের মোসাদ্দেকের শিকার হন বার্ল।
তিনি ফিরে গেলেও ওয়ালটনকে নিয়ে চট্টগ্রামের জয়ের পথ তৈরি করতে থাকেন ইমরুল। ২৯ বল হাফ-সেঞ্চুরিও পূর্ণ করেন তিনি। অন্যপ্রান্তে মারমুখী মেজাজে ছিলেন ওয়ালটন। ২টি করে চার-ছক্কায় দলের প্রয়োজন মেটানোর পথ সহজ করে ফেলেন তিনি। এমন অবস্থায় জয়ের জন্য শেষ ১৮ বলে ২২ রান দরকার পড়ে চট্টগ্রামের।
১৮তম ওভারে ইমরুলের পতন ঘটে। পেসার এবাদত হোসেনের বলে ব্যক্তিগত ৬১ রানে আউট হন তিনি। তার ৩৮ বলের ইনিংসে ২টি চার ও ৫টি ছক্কা ছিল। ওয়ালটনের সঙ্গে পঞ্চম উইকেটে ৫৩ বলে ৮৬ রান যোগ করেন ইমরুল। এই জুটিতে দু’জনের সমান ৪১ রান করে অবদান ছিল। দলের জয় থেকে ১৩ রান দূর থাকতে ইমরুল বিদায় নিলেও চট্টগ্রামের জিততে কোনও সমস্যাই হয়নি। ওয়ালটন ও উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান চট্টগ্রামের জয় নিশ্চিত করেন। ওয়ালটন ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় ৩০ বলে অপরাজিত থাকেন ৪৯ রানে। নুরুল ৫ রানে অপরাজিত থাকেন। সিলেটের নাজমুল ২৩ রানে ২ উইকেট নেন।

খেলাধুলা বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর