ঢাকা, ২০ এপ্রিল শনিবার, ২০২৪ || ৭ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
৬২৪

করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় উত্তম উপায় জানিয়ে দিল আইইডিসিআর

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৯:০৫ ১০ মার্চ ২০২০  

রাষ্ট্র পরিচালিত রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ এবং রোগ গবেষণা ইনিস্টিটিউট (আইইডিসিআর)-এর রোগ মনিটরিং উইং ইনিস্টিটিউট বলেছে, করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) মোকাবেলার সবচেয়ে উত্তম পথ হচ্ছে সেলফ কোয়ারেন্টাইনে থাকা।
আইইডিসিআর’র পরিচালক ডা. মীরজাদি সাবরিনা ফ্লোরা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মঙ্গলবার নগরীর মহাখালীতে সংস্থার মিলনায়তনে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, এ ভাইরাস থেকে নিজেকে নিরাপদ রাখতে সবচেয়ে উত্তম পথ হচ্ছে সেলফ কোয়ারেন্টাইন। বিদেশ ফেরত ব্যক্তিদের থেকে পরিবারের বয়স্ক লোকদের সেলফ কোয়ারেন্টাইনে যাওয়ার অনুরোধ জানান তিনি। আইইডিসিআর’র মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এএসএম আলমগীর ব্রিফিং অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
ডা. ফ্লোরা বলেন, প্রাথমিকভাবে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত তিনজন সনাক্ত হওয়ার পর নতুন করে আক্রান্ত আর কাউকে পাওয়া যায়নি। আমরা গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করেছি। তাদের সবাই নিরাপদ আছেন। কারো শরীরে করোনা ভাইরাসের জীবাণু পাওয়া যায়নি। তিনি বলেন, আমরা আটজনকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছি এবং করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত তিনজনের সংস্পর্শে আসা অপর চারজনকে ইনিস্টিটিউশনাল কোয়ারেন্টাইনে রেখেছি। 
এ মারাত্মক ভাইরাস সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টির ওপর আবারো গুরুত্বারোপ করে আইইডিসিআর’র পরিচালক বলেন, জনসচেতনতা সৃষ্টি এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষা অভ্যাস গড়ে তোলা ছাড়া এখন পযর্ন্ত এ ঘাতক ভাইরাস থেকে রেহাই পাওয়ার কোনও উপায় নেই। বিদেশ ফেরত ব্যাক্তিদের ১৪ দিনের জন্য সেলফ কোয়ান্টারাইনে রাখার আহবান জানান তিনি। জরুরী প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। পাশাপাশি ঘরের বাইরে যেতে হলে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করার অনুরোধ জানান।
ডা. সাবরিনা ফ্লোরা হট নম্বরে না পাওয়া সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ইনকামিং কলে অচলাবস্থা নিরসনে হট নম্বর বাড়িয়ে ১২টি করা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ২,৭৭৮ টি কল রিসিভ করা হয়েছে।
এর আগে ৯ মার্চ স্বাস্থ্য সেবা অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজিএইচএস) অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ ব্রিফিং অনুষ্ঠানে জানান, করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য সারাদেশে সরকারি হাসপাতালে পৃথক ইউনিট করা হয়েছে। বেসরকারি হাসপাতালগুলোতেও অনুরূপ পৃথক ইউনিট করা হবে।
সাবরিনা ফ্লোরা বিদেশ ফেরতদেরকে নিজস্ব কোয়ারেন্টাইনে অবস্থান করার এবং অন্য কারো সংস্পর্শে না আসার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, বিদেশ থেকে কেউ আসলেই, উনি করোনা ভাইরাসের জীবাণু বহন করে নিয়ে এসেছেন, এমনটি ভাববার কোনও কারণ নেই। তিনি গত ৮ মার্চ তিনজন বাংলাদেশি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া নিশ্চিত করেন। এদের মধ্যে ২ জন পুরুষ এবং ১ জন নারী।
এর আগে সরকার ৪ মার্চ ভাইরাস মুক্ত মেডিকেল সনদ ছাড়া ইতালি, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান এবং কুয়েত থেকে কোনও ব্যক্তির দেশে প্রবেশের ব্যাপারে বিধিনিষেধ আরোপ করে।