ঢাকা, ২৭ এপ্রিল শনিবার, ২০২৪ || ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
৩৩৫

করোনার সংক্রমণ চলবে ২-৩ বছর

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৭:০১ ১৮ জুন ২০২০  

বিশ্ব পরিস্থিতি এবং অভিজ্ঞতা বিচারে বিশ্বে এবং বাংলাদেশে আরো দুই তিন বছর করোনাভাইরাস সংক্রমণ চলবে। জানালেন,  স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ।

 

তবে বিশ্ব পরিস্থিতি দেখে যা অনুমান করছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা তা হলো কিছুদিন পর করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার কমে আসতে পারে।

 

আজ বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক উপস্থিত হয়েছিলেন নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে।

 

ডিজি হেলথ জানান, তিনি নিজেও কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছিলেন এবং হাসপাতালেও ভর্তি ছিলেন।  তবে বেশ কিছুদিন আগে তিনি ফিরে আসেন দপ্তরে এবং কাজ শুরু করেন।

 

আজাদ বলেন, টেস্ট বাড়ালে মৃদু ও সুপ্ত করোনাভাইরাস বের হয়ে আসবে, সেক্ষেত্রে সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যা যে কমেছে সেটা বোঝা যাবে না।

 

করোনাভাইরাস পরিস্থিতি এক, দুই বা তিন মাসে শেষ হবে না বলছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।

 

"এটি দুই থেকে তিন বছর ধরে চলতে পারে. যদিও সংক্রমণের মাত্রা একই হারে নাও থাকতে পারে।"

 

বাংলাদেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে ও পরিস্থিতি সামাল দিতে কী কী পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার এবং এখন পর্যন্ত কী কী করা হয়েছে তার একটা তালিকা তুলে ধরেন তিনি :

 

>  দুই হাজার চিকিৎসক ও পাঁচ হাজার নার্স নিয়োগ হয়েছে


>  স্বাস্থ্য কর্মী নিয়োগ এবং মেডিকেল টেকনোলোজিস্ট নিয়োগ করা হবে


>  দীর্ঘস্থায়ী কোভিড-১৯ চিকিৎসা পরিকল্পনা


>  কোভিড পরীক্ষা হবে সরকারি বেসরকারি উদ্যোগ


>  জেলা পর্যায়ে আরো বেশি পরীক্ষার সুবিধা বাড়ানো হবে


>  নতুন এবং সহজ কোভিড-১৯ পরীক্ষার পদ্ধতি নিয়ে আসা হবে


>  জেলা হাসপাতালে আইসিইউ সুবিধা নেয়া হবে


>  সকল সরকারি হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন নেয়া হবে


>  হাসপাতালে 'হাই ফ্লো ন্যাসাল ক্যানোলা', অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর দ্রুত সরবরাহ করা হবে


>  পরীক্ষার কিট ও পিপিই সংগ্রহ করা হচ্ছে


সরকারি ও বেসরকারি খাত যাতে যৌথভাবে এই দায়িত্ব পালন করে সেটার ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও উল্লেখ করেন আজাদ।

 

উচ্চ রক্তচাপ ডায়বেটিস ও শ্বাসকষ্ট আছে তাদের মৃত্যু ঝুঁকি বেশি বলে তাদের আলাদাভাবে সাবধান থাকার কথা বলেন তিনি।

 

স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক বলেন, ‘করোনা শুধুমাত্র স্বাস্থ্যগত বিষয় নয়, এটি সামাজিক, অর্থনৈতিক, যোগাযোগ, ধর্ম, বাণিজ্য অর্থাৎ জীবনের সব কিছুকে ঘিরে রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্য সুরক্ষার দিকে অধিকতর জোরালো নজর দিয়েছেন। তিনি সম্প্রতি দুই হাজার চিকিৎসক, পাঁচ হাজার নার্স নিয়োগ দিয়েছেন। মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। তার নির্দেশে এখন দীর্ঘস্থায়ী সক্ষমতার কাজ দ্রুতগতিতে শুরু হয়েছে। করোনা পরীক্ষার কাজ সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে সম্প্রসারিত হবে। সরকারি ব্যবস্থাপনায় জেলা পর্যায় পর্যন্ত আরটি পিসিআর পরীক্ষা যত দ্রুত সম্ভব সম্প্রসারিত হবে। আরও নতুন নতুন সহজে করা যায়, এমন কোভিড পরীক্ষা চালু করা হবে। উপেজেলা হাসপাতাল পর্যন্ত এ ধরনের পরীক্ষা চালুর প্রচেষ্টা নেয়া হবে।’

 

বেসরকারি হাসপাতালের বিষয়ে মূল্য নির্ধারণ যখন যেমন প্রয়োজন তেমন করে তা করা হবে। এ ব্যাপারে একটি বিশেষজ্ঞ গ্রুপ কাজ করছে বলেও জানান আবুল কালাম আজাদ।

 

তিনি বলেন, ‘আপনারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর ভরসা রাখুন। বিশ্বের করোনা বাস্তবতার প্রতিও লক্ষ্য রাখুন। বাংলাদেশ ব্যতিক্রম কোনো দেশ নয়। আমাদের সর্বোচ্চ সামর্থ্যে যা করা সম্ভব এবং যা করা বাস্তবমুখী, সরকার সে ব্যবস্থা-ই নিচ্ছে। আরেকটি কথা বলতে চাই, আপনার সুরক্ষা আপনার হাতেই। যতদিন করোনা থাকবে, ততদিন প্রত্যেককে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।’


চিকিৎসকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক আরও বলেন, ‘কারও করোনা সন্দেহ হলে পরীক্ষার জন্য অপেক্ষা না করে দ্রুত চিকিৎসা দিন। যেকোনো মূল্যে মৃত্যুর সংখ্যা হ্রাসে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা নিতেই হবে।’