ঢাকা, ২৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার, ২০২৪ || ১২ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
২৮২

করোনা : ৬টি কাজ খুবই জরুরি

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২১:৩২ ২৬ মার্চ ২০২০  

মারণঘাতি করোনাভাইরাসের কারণে ১০ দিনের ছুটি চলছে। গণপরিবহন চলাচলও বন্ধ। এ অবসআয় কার্যত লকডাউন শুরু হয়েছে দেশজুড়ে।

 

এর আগে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য, কাচা বাজার এবং ওষুধের দোকান ছাড়া সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, দোকানপাট বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। বন্ধ হয়েছে সব স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়সহ সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক জনসমাগম।

 

ভাইরাসে বিস্তার রোধে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে মাঠে কাজ করছে সেনাবাহিনী।

 

বাংলাদেশর মতো বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোতে এই লকডাউন বা শাটডাউন আসলে চলতে পারে কতদিন ধরে? কী হবে এই লকডাউন পরিস্থিতিতে? আর এগুলো কী করোনাভাইরাস প্রার্দুভাব ঠেকাতে পারবে?

 

এ বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেড্রোস অ্যাধনম ঘেব্রেইয়েসাস বুধবার প্রেস বিফ্রিংয়ে বলেন, "আমরাও বুঝি যে এসব দেশ আসলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে যে কখন এবং কীভাবে এসব পদক্ষেপগুলো শিথিল করা যায়।"

 

তার  মন্তব্য, "এই জনসংখ্যা বিষয়ক পদক্ষেপগুলো কার্যকর থাকার সময়টাতে দেশগুলো কী ব্যবস্থা নেয় - তার ওপর এর উত্তর নির্ভর করছে।"

 

"মানুষকে ঘরে থাকতে বলা এবং তাদের চলাচল বন্ধ করার অর্থ হচ্ছে সময় নেওয়া এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর চাপ কমানো," বলেন মি. ঘেব্রেইয়েসাস।

 

কিন্তু তাদের (দেশগুলোর) এসব পদক্ষেপ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের আশঙ্কা কমাতে পারবে না।

 

এই লকডাউনের সময়টাতে ভাইরাসটিকে 'অ্যাটাক (হামলা)' করার জন্য তৈরি হতে দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

 

কিন্তু কীভাবে এই সময়টাকে কাজে লাগাবে এসব দেশ - সেটিও এখন বড় প্রশ্ন।

আর এর জবাবও দিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক ঘেব্রেইয়েসাস।

 

৬টি কাজ একান্ত জরুরি : 


বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, লকডাউন বা শাটডাউন পরিস্থিতিতে দেশগুলোকে ছয়টি বিষয়ের দিকে নজর দিতে হবে।

এগুলো হলো :

 

১.  যতটা সম্ভব পারা যায় স্বাস্থ্য সেবা ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সংখ্যা বাড়াতে হবে, তাদের প্রশিক্ষণ ও সেবা কাজে নিয়োগ করতে হবে।

২.  কম্যুনিটি লেভেলে সংক্রমণ হতে পারে - এমন প্রতিটি ঘটনা খুঁজে বের করার ব্যবস্থা করতে হবে।

৩. টেস্ট করার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা ত্বরান্বিত করতে হবে।

৪.  রোগীদের চিকিৎসা এবং তাদের আইসোলেট করার জন্য পর্যাপ্ত সুবিধার ব্যবস্থা করতে হবে।

৫. রোগীদের সংস্পর্শে আসা প্রত্যেকের কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করার জন্য একটি সুস্পষ্ট পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।

৬. ইতিমধ্যে কোভিড-১৯ মোকাবেলা করার জন্য গৃহীত সরকারি পদক্ষেপগুলো পুনর্মূল্যায়ন করতে হবে।

 

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে এসব ব্যবস্থা নেয়াটাকেই সবচেয়ে ভালো পদক্ষেপ হিসেবে বর্ণনা করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

 

সংস্থাটির দাবি, এসব ব্যবস্থাই ভাইরাসটির সংক্রমণ কমানোর সবচেয়ে ভালো উপায়, যাতে করে পরবর্তীতে এটি আবার না ছড়াতে পারে।

 

এসব ব্যবস্থা নিশ্চিত করার পর স্কুল-কলেজ ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুললেও অসুবিধা নেই, যতক্ষণ না আবারো ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু না হয়।

 

মি. ঘেব্রেইয়েসাস বলছেন, কঠোর সামাজিক ও অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার চাইতে করোনাভাইরাস আক্রান্তদের 'খুজে বের করা, আইসোলেট করা, টেস্ট করা এবং নজরদারিতে রাখা'র বিষয়ে আগ্রাসী পদক্ষেপ নিতে পারলেই সবচেয়ে দ্রুততম সময়ে ও কার্যকর উপায়ে ভাইরাসটিকে প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।