ঢাকা, ২০ এপ্রিল শনিবার, ২০২৪ || ৭ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
২৬৪

কিডনি ভালো রাখার ১০ উপায়

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২২:১৯ ২৫ মে ২০২১  

মানবদেহের পাঁচটি অত্যাবশ্যকীয় অঙ্গের মধ্যে কিডনি একটি। মানুষের শরীরে তা দুটি থাকে। উভয়ই শরীরে পানির ভারসাম্য রক্ষা করে। বিভিন্ন ধরনের দূষিত ও বর্জ্য পদার্থ ছেঁকে দেহ থেকে বের করে দেয়। তাই কিডনি বিকল হলে বা ঠিকমতো কাজ না করলে ঘটতে পারে নানা বিপত্তি। এর যেকোনও রোগ নীরব ঘাতক। এই ধরনের রোগের চিকিৎসাও বেশ ব্যয়বহুল। তাই আগে থেকেই কিডনির যত্ন নেয়া উচিত। চলুন তা ভালো রাখার কয়টি উপায় জেনে নেই-


পর্যাপ্ত পানি পান
কিডনি ভালো রাখতে প্রতিদিন অন্তত ৮-১০ গ্লাস পানি বা তরল খাবার খাওয়া উচিত। অতিরিক্ত ঘাম ঝরলে পানি পানের পরিমাণ আরো বাড়াতে হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে তা  পান করলে কিডনিতে পাথর হয় না এবং স্বাভাবিক কার্যক্রম ঠিক থাকে।


লবণ কম খেতে হবে
খাবারে অতিরিক্ত লবণ খাওয়া কিডনির জন্য ক্ষতিকর। মানুষের শরীরে প্রতিদিন মাত্র ১ চা চামচ লবণের চাহিদা থাকে। তাই কিডনি সুস্থ রাখতে অতিরিক্ত লবণ খাওয়া পরিহার করার অভ্যাস করতে হবে।


অতিরিক্ত প্রাণিজ প্রোটিন খাওয়া  যাবে না
গরুর মাংস বা এই ধরনের প্রাণিজ আমিষ খেলে কিডনির ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে। এমনকি চিপস, ফাস্টফুড, প্রক্রিয়াজাত খাবার, ইন্সট্যান্ট নুডলস এবং লবণ দিয়ে ভাজা বাদামও এর জন্য ক্ষতিকর। খাবার তালিকায় অতিরিক্ত প্রোটিন থাকলে কিডনির ওপর চাপ পড়ে এবং এটির দূর্বল কোষগুলোর ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই প্রাণিজ প্রোটিন এড়িয়ে খাবার তালিকায় ডাল জাতীয় প্রোটিন রাখতে হবে। এছাড়া মাছ খাওয়া যেতে পারে।


রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে হবে
রক্তচাপ ১৪০/৯০ এর ওপরে থাকলে কিডনিতে সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। সেটি ভালো রাখতে রক্তচাপ সবসময় ১৩০/৮০ অথবা এর কম রাখার চেষ্টা করতে হবে। তা নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত ব্যায়াম করা ও লবণ কম খাওয়া জরুরি।


ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে না রাখলে কিডনির রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই নিয়মিত রক্তের সুগারের পরিমাণ পরীক্ষা করান। তা বেশি থাকলে মিষ্টি জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন।


ওষুধ খাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক হোন
কম বেশি প্রায় সব ওষুধই কিডনির জন্য ক্ষতিকর। বিশেষ করে ব্যথানাশক ওষুধগুলো হুমকিস্বরূপ। নিয়ম না জেনে বা নিজে নিজে ওষুধ কিনে খেলে অজান্তেই কিডনির বড় ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। তাই যেকোন ওষুধ খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।


বেশি ভিটামিন সি খাওয়া যাবে না
মানুষের শরীরে প্রতিদিন ৫০০ মিলিগ্রামের বেশি ভিটামিন সির প্রয়োজন নেই। নিয়মিত প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খেলে কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই প্রতিদিন ৫০০ মিলিগ্রাম বা এর কম ভিটামিন সি গ্রহণ করুন।


কোমল পানীয় ত্যাগ
অনেকেই পানির বদলে কোমল পানীয় বা বিভিন্ন রকমের এনার্জি ড্রিংকস পান করেন। এ ধরনের পানীয়গুলো কিডনির জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। তাই কোমল পানীয় এড়িয়ে চলুন এবং যখনই তৃষ্ণা পায় পানি পান করুন।


ধূমপান ও মদপানের অভ্যাস ত্যাগ
ধূমপান ও মদপানের কারণে ধীরে ধীরে কিডনিতে রক্ত চলাচল কমে যেতে থাকে। ফলে কর্মক্ষমতা হ্রাস পায়। তাই এগুলোর অভ্যাস পরিহার করতে হবে।


নিয়মিত কিডনি পরীক্ষা করান
উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, অতিরিক্ত ওজন অথবা পরিবারের কারো কিডনি সমস্যা থাকলে এ রোগ হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। যাদের কিডনি রোগের ঝুঁকি আছে, তাদের অবশ্যই নিয়মিত পরীক্ষা করানো উচিত।