ঢাকা, ২৯ মার্চ শুক্রবার, ২০২৪ || ১৫ চৈত্র ১৪৩০
good-food
৮৩৯

চাকরির বয়স না বাড়ানোর যুক্তি দিলেন প্রধানমন্ত্রী

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২০:২৯ ৮ জুলাই ২০১৯  

বাংলাদেশে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবি অনেক দিনের। নিয়ে আন্দোলনও হয়েছে। কিন্তু কেন সরকার তা মেনে নেয়নি- নিয়ে যুক্তি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সম্প্রতি চীন সফর নিয়ে প্রেস কনফারেন্সে সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করা হলে তখন করুণ অবস্থা হবে।

তিনি যুক্তি দেন, এখন দেরিতে হলেও ১৬ বছরে এসএসসি এবং ১৮ বছরে এইচএসসি পরীক্ষা শেষ করতে পারেন একজন শিক্ষার্থী। এর পর চার বছর অর্নাস এবং এক বছর মাস্টার্স শেষ করতে ২৩ বছরের মধ্যে শেষ করতে পারে। আরো এক-দুই বছর দেরি হলেও ২৪-২৫ বছর লাগতে পারে।

শেখ হাসিনা বলেন, এরপরও এই দাবি মেনে নেয়া সম্ভব কি-না, আপনারা জবাবটা নিজেরা ঠিক করে নেন। পিএসসি থেকে তিন বছরের বিসিএস পরীক্ষায় পাশের তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরে তিনি এমন আন্দোলনের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেন।

প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ডেটা অনুযায়ী, এই সংগৃহীত ৩৫তম, ৩৬তম এবং ৩৭তম বিসিএস পরীক্ষায় ২৯ বছর বা তার উর্দ্ধে পাশ করা পরীক্ষার্থীর হার যথাক্রমে .৪৫ শতাংশ, .২৩ শতাংশ .৬১ শতাংশ।

বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, এখন ৩৫ বছর হলে অবস্থাটা কী দাঁড়াবে বুঝিয়ে বলেন। তখন তো বিয়ে-শাদি হবে, ছেলে-মেয়ে হবে, বউ সামলাতে হবে, ঘর সামলাতে হবে আর পরীক্ষা দিতে হবে। তখন তো আরো করুণ অবস্থা হবে।  একটা কাজ করবার তো একটা সময় থাকে, একটা এনার্জি থাকে।

কিন্তু ৩৫ বছরের পর চাকরির পরীক্ষা দিলে রেজাল্ট, ট্রেনিং শেষ করে যোগ দিতে দিতে ৩৭ বছর লাগবে বলে শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন। একটা সরকার তা হলে কাদের দিয়ে চালাবো। প্রশ্ন রাখেন তিনি।

সংসদে চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ বছর করার এমন প্রস্তাব গিয়েছিল। তখন এই বিষয়গুলোই বিবেচনা করা হয় বলে জানান সরকার প্রধান।