ঢাকা, ১৯ এপ্রিল শুক্রবার, ২০২৪ || ৬ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
৪৮০

ব্যবস্থার আশ্বাস দীপুমনির

ছাত্রীর শ্লীলতাহানি, পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টা

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২৩:৪৪ ৭ এপ্রিল ২০১৯  

শ্লীলতাহানির মামলা তুলে না নেয়ায় ফেনীর মাদ্রাসা শিক্ষার্থী নুসরাত জাহানকে পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টায় জড়িতদের বিচার করা হবে।  বলে তার স্বজনদের আশ্বস্ত করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

 

আজ রোববার রাতে ঢাকা মেডিক্যালের বার্ন ইউনিটে নুসরাতের শারীরিক অবস্থা ও চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেন তিনি।  

 

মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নুসরাতের চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করার ঘোষণা দিয়েছেন। এরইমধ্যে অধ্যক্ষ গ্রেপ্তার হয়েছেন। অন্য জড়িতদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।

 

দীপুমনি বলেন, অপরাধী কেউ ছাড়া পাবে না। ভিকটিমের চিকিৎসা এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় বিষয়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। সরকার এটা গুরুত্ব সহকারে দেখছে।

 

নুসরাতকে দেখে হাসপাতাল ছাড়ার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নে দীপু মনি বলেন, যথাযথ তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিচার করা হবে।

 

 শ্লীলতাহানির মামলা তুলে না নেয়ায় ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলা তার অনুসারীদের দিয়ে নুসরাতকে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা চালান বলে মেয়েটির স্বজনরা অভিযোগ করেছেন।

নুসরাতের ভাই সাংবাদিকদের জানান, গেল ২৭ মার্চ ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলা নিজের কক্ষে ডেকে নিয়ে তার বোনের ‘শ্লীলতাহানি’করেন। পরে তিনি পরিবারকে জানালে তার মা সোনাগাজী থানায় মামলা করেন।

 

তার অভিযোগ, অধ্যক্ষকে আটকের পর থেকে তার লোকজন মামলা তুলে নিতে বিভিন্ন ধরনের হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছিল। এর মধ্যে গত শনিবার সকালে তার বোন ওই মাদ্রাসাকেন্দ্রে আরবি প্রথম পত্র পরীক্ষা দিতে যায়।

 

বোনের বরাতে দিয়ে তার ভাই বলেন, কেন্দ্রে গিয়ে সে খবর পায় তার এক বান্ধবীকে ছাদে মারধর করা হচ্ছে। তখন সে দৌড়ে ছাদে গেলে মাদ্রাসার চার শিক্ষার্থী তাকে মামলা তুলে নিতে হুমকি দেয়। এতে রাজি না হলে অধ্যক্ষের অনুসারীরা তার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় তার চিৎকার শুনে পুলিশ ও অন্যরা গিয়ে তাকে উদ্ধার করে।

 

অগ্নিদগ্ধ হওয়ার পর নুসরাতকে প্রথমে সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। সেখান থেকে ফেনী সদর হাসাপাতালে স্থানান্তর করা হয়। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।