ঢাকা, ২৬ এপ্রিল শুক্রবার, ২০২৪ || ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
৬৫০

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেলেন যারা

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৭:৪৭ ৭ নভেম্বর ২০১৯  

২০১৭ ও ২০১৮ সালের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়েছে। আজ (৭ নভেম্বর) তথ্য মন্ত্রণালয় প্রকাশ করে এ তালিকা।

২০১৭ সালের জন্য আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন বর্ষীয়ান অভিনয়শিল্পী এটিএম শামসুজ্জামান ও সালমা বেগম সুজাতা। ২০১৮ সালের জন্য পেয়েছেন অভিনেতা প্রবীর মিত্র ও এমএ আলমগীর। 
দুই বছরের শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র - ‘ঢাকা অ্যাটাক’ (২০১৭) ও ‘পুত্র’ (২০১৮)।
শ্রেষ্ঠ অভিনেতা যৌথভাবে শাকিব খান - সত্তা (২০১৭) ও আরেফিন শুভ - ঢাকা অ্যাটাক (২০১৭)। 
অন্য বছরের শ্রেষ্ঠ অভিনেতা ফেরদৌস -পুত্র (২০১৮) ও সাইমন - জান্নাতন (২০১৮)।
২০১৭ সালের  শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা (হালদা)। ২০১৮ সালের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী জয়া আহসান (দেবী) হয়েছেন।
২০১৭ সালে ‘গহীন বালুচর’ সিনেমার পরিচালক বদরুল আনাম সৌদ।  আর ২০১৮ সালের সেরা পরিচালকের পুরস্কার পেয়েছেন ‘জান্নাত’ সিনেমার পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান মানিক।

২০১৭ সালে শ্রেষ্ঠ গায়ক হলেন জেমস (সত্তা), একই ছবির জন্য সেরা গায়িকা হয়েছেন মমতাজ। একই ছবির জন্য শ্রেষ্ঠ গীতিকার সেজুল হোসেন ও শ্রেষ্ঠ সুরকার হলেন বাপ্পা মজুমদার।
২০১৮ সালে শ্রেষ্ঠ গায়ক হলেন রাতুল (পুত্র), শ্রেষ্ঠ গায়িকা যৌথভাবে সাবিনা ইয়াসমিন (পুত্র) ও আঁখি আলমগীর (একটি সিনেমার গল্প)। শ্রেষ্ঠ গীতিকার যৌথভাবে পেলেন জুলফিকার রাসেল (পুত্র) ও কবির বকুল (নায়ক)। শ্রেষ্ঠ সুরকার রুনা লায়লা (একটি সিনোমর গল্প)।
দুই বছরে মোট ২৮ টি শাখায় পুরস্কার প্রদানের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। আগামী ৮ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেবেন।

এবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জন্য ১৩ সদস্য বিশিষ্ট জুরি বোর্ড গঠন করা হয়। এতে তথ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবকে (প্রশাসন ও চলচ্চিত্র) সভাপতি করা হয়। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান সদস্য-সচিব হিসেবে এবং বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, তথ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (চলচ্চিত্র) ও বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের মহাপরিচালক সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

এছাড়া ২০১৭ সালের জুরি বোর্ডের অন্য সদস্যরা হলেন - ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্ট অব টেলিভিশন ফিল্ম অ্যান্ড ফটোগ্রাফির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শফিউল আলম ভূঁইয়া, একুশে টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মনজুরুল আহসান বুলবুল, চলচ্চিত্র অভিনেত্রী কোহিনুর আক্তার সুচন্দা, চলচ্চিত্র অভিনেতা ও প্রযোজক এম এ আলমগীর, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার, চিত্রগ্রাহক পংকজ পালিত ও সংগীত পরিচালক সুজেয় শ্যাম।

২০১৮ সালের জুরি বোর্ডের অন্য সদস্যরা হলেন - ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্ট অব টেলিভিশন ফিল্ম অ্যান্ড ফটোগ্রাফির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শফিউল আলম ভূঁইয়া, চলচ্চিত্র অভিনেতা ড. এনামুল হক, সংগীতশিল্পী ফকির আলমগীর, দৈনিক ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, গীতিকার ও সংগীত পরিচালক হাসান মতিউর রহমান, অভিনেত্রী রওশন আরা রোজিনা, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার ও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র গ্রাহক সংস্থার যুগ্ম-মহাসচিব তপন আহমেদ। 


এক নজরে : (২০১৭)


আজীবন সম্মাননা : এটিএম শামসুজ্জামান ও সালমা বেগম সুজাতা
শ্রেষ্ঠ প্রামাণ্য চলচ্চিত্র : বিশ্ব আঙ্গিনায় অমর একুশে (বাংলাদেশ টেলিভিশন)
শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পরিচালক : বদরুর আনাম সৌদ (গহীন বালুচর)
শ্রেষ্ঠ অভিনেতা প্রধান চরিত্রে : শাকিব খান রানা (সত্তা), মাহবুবুর আরিফিন শুভ (ঢাকা অ্যাটাক)
শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী প্রধান চরিত্রে : নুসরাত ইমরোজ তিশা (হালদা)
শ্রেষ্ঠ অভিনেতা পার্শ্ব চরিত্রে : মোহাম্মাদ শাহাদাৎ হোসেন (গহীন বালুচর)
শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী পার্শ্ব চরিত্রে : সুবর্ণা মুস্তাফা (গহীন বালুচর)
শ্রেষ্ঠ অভিনেতা/অভিনেত্রী খল চরিত্রে : জাহিদ হাসান (হালদা)
শ্রেষ্ঠ অভিনেতা/অভিনেত্রী কৌতুক চরিত্রে : ফজলুর রহমান বাবু (গহীন বালুচর)
শ্রেষ্ঠ শিশু শিল্পী : নাইমুর রহমান আপন (সিটকিনি)
শিশু শিল্পী শাখায় বিশেষ পুরস্কার : অনন্য সামায়েল (আঁখি ও তার বন্ধুরা)
শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক : এম ফরিদ আহমেদ হাজরা (তুমি রবে নিরবে)
শ্রেষ্ঠ নৃত্য পরিচালক : ইভান শাহরিয়ার সোহাগ (ধ্যাত্তেরিকি)
শ্রেষ্ঠ গায়ক : মাহফুজ আনাম জেমস (সত্তা-তোর প্রেমেতে অন্ধ)
শ্রেষ্ঠ গায়িকা : মমতাজ (সত্তা-না জানি কোন অপরাধে)
শ্রেষ্ঠ গীতিকার : সেজুল হোসেন (সত্তা-না জানি কোন অপরাধে)
শ্রেষ্ঠ সুরকার : বাপ্পা মজুমদার (সত্তা-না জানি কোন অপরাধে)
শ্রেষ্ঠ কাহিনীকার : আজাদ বুলবুল (হালদা)
শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার : তৌকীর আহমেদ (হালদা)
শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা : বদরুল আনাম সৌদ (গহীন বালুচর)
শ্রেষ্ঠ সম্পাদক : মোহাম্মাদ কালাম (ঢাকা অ্যাটাক)
শ্রেষ্ঠ শিল্প নির্দেশক : উত্তম কুমার গুহ (গহীন বালুচর)
শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক : কমল চন্দ্র দাশ (গহীন বালুচর)
শ্রেষ্ঠ শব্দগ্রাহক : রিপন নাথ (ঢাকা অ্যাটাক)
শ্রেষ্ঠ পোশাক ও সাজসজ্জা : রীতা হোসেন (তুমি রবে নিরবে)
শ্রেষ্ঠ মেকআপম্যান : জাভেদ মিয়া (ঢাকা অ্যাটাক)

 

এক নজরে : ( ২০১৮ )

 

আজীবন সম্মাননা : আলমগীর ও প্রবীর মিত্র
শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র : পুত্র (চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর)
শ্রেষ্ঠ স্বল্প দৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র : গল্প সংক্ষেপ (বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউট)
শ্রেষ্ঠ প্রামাণ্য চলচ্চিত্র : রাজাধিরাজ রাজ্জাক (ফরিদুর রেজা সাগর)
শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পরিচালক : মোস্তাফিজুর রহমান মানিক (জান্নাত)
শ্রেষ্ঠ অভিনেতা প্রধান চরিত্রে : ফেরদৌস আহমেদ (পুত্র), সাদিক মোহাম্মাদ সাইমন (জান্নাত)
শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী প্রধান চরিত্রে : জয়া আহসান (দেবী)
শ্রেষ্ঠ অভিনেতা পার্শ্ব চরিত্রে : আলীরাজ (জান্নাত)
শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী পার্শ্ব চরিত্রে : সুচরিতা (মেঘকন্যা)
শ্রেষ্ঠ অভিনেতা/অভিনেত্রী খল চরিত্রে : সাদেক বাচ্চু (একটি সিনেমার গল্প)
শ্রেষ্ঠ অভিনেতা/অভিনেত্রী কৌতুক চরিত্রে : মোশাররফ করিম (কমলা রকেট), আফজাল শরীফ (পবিত্র ভালোবাসা)
শ্রেষ্ঠ শিশু শিল্পী : ফাহিম মোহতাসিম লাজিম (পুত্র)
শিশু শিল্পী শাখায় বিশেষ পুরস্কার : মাহমুদুর রহমান অনিন্দ্য (মাটির প্রজার দেশে)
শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক : ইমন সাহা (জান্নাত)
শ্রেষ্ঠ নৃত্য পরিচালক : মাসুম বাবুল (একটি সিনেমার গল্প)
শ্রেষ্ঠ গায়ক : নাইমুল ইসলাম রাতুল (পুত্র)
শ্রেষ্ঠ গায়িকা : সাবিনা ইয়াসমিন (পুত্র) ও আঁখি আলমগীর (একটি সিনেমার গল্প)
শ্রেষ্ঠ গীতিকার : কবির বকুল (নায়ক), জুলফিকার রাসেল (পুত্র)
শ্রেষ্ঠ সুরকার : রুনা লায়লা (একটি সিনেমার গল্প)
শ্রেষ্ঠ কাহিনীকার : সুদীপ্ত সাঈদ খান (জান্নাত)
শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার : সাইফুল ইসলাম মান্নু (পুত্র)
শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা : এম এম হারুণ-অর-রশীদ (পুত্র)
শ্রেষ্ঠ সম্পাদক : তারিক হোসেন বিদ্যুৎ (পুত্র)
শ্রেষ্ঠ শিল্প নির্দেশক : উত্তম কুমার গুহ (একটি সিনেমার গল্প)
শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক : জেড এইচ মিন্টু (পোস্টমাস্টার ৭১)
শ্রেষ্ঠ শব্দগ্রাহক : আজম বাবু (পুত্র)
শ্রেষ্ঠ পোশাক ও সাজসজ্জা : সাদিয়া শবনম শান্তু (পুত্র)
শ্রেষ্ঠ মেকআপম্যান : ফরহাদ রেজা মিলন (দেবী)

বিনোদন বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর