ঢাকা, ০৬ আগস্ট বুধবার, ২০২৫ || ২২ শ্রাবণ ১৪৩২
good-food
৭০৫

ছাত্রলীগের বাইরে সবাই একাট্টা

ডাকসু ও হল নির্বাচন বর্জন

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৫:০২ ১১ মার্চ ২০১৯  

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন বর্জন করলো ৪ প্যানেল। ‘প্রহসনের ভোট’ আয়োজনের প্রতিবাদ এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি ‘ঘৃণা’ জানিয়ে ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে তারা। পাশাপাশি নতুন করে তফসিল ঘোষণা ও পুনঃভোট আয়োজনের দাবি জানিয়েছেন প্রতিবাদকারী সংগঠনের প্রার্থীরা।

 

সোমবার দুপুরে মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন করে তারা এ নির্বাচন প্রত্যাখ্যানের ঘোষণা দেন। একই সঙ্গে আগামীকাল মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস বর্জনের ডাক দিয়েছেন নেতারা। 

 

ভোট বর্জনের ঘোষণা দেয়া ৪ প্যানেল হচ্ছে - বাম সংগঠনগুলোর জোট প্রগতিশীল ছাত্র ঐক্য, কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের প্লাটফর্ম বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ, স্বাধিকার স্বতন্ত্র পরিষদ ও স্বতন্ত্র জোট।

ছাত্রলীগের বাইরে অন্য প্রায় সব সংগঠনই এসব অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ করেছে। 

এর কিছুক্ষণ পর মধুর ক্যানটিনে সংবাদ সম্মেলন করে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেয় ছাত্রদল। তাদের সহসভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী এ ঘোষণা দেন। নতুন নির্বাচনের দাবি জানান তারা।

 

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, প্রহসন-জালিয়াতির এই নির্বাচন বাতিল করে পুনঃতফসিল ঘোষণা করতে হবে। হলে নয়, নতুনভাবে ভোট হতে হবে একাডেমিক ভবনে। সেই নির্বাচনে ব্যালটবাক্স হতে হবে স্বচ্ছ।

 

এ ছাড়া এই ভোট জালিয়াতির প্রতিবাদে কাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস বর্জন কর্মসূচির ডাক দেয়া হয়েছে জোটগুলোর পক্ষ থেকে।

 

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন বাম সংগঠনগুলোর জোট প্রগতিশীল ছাত্র ঐক্যের সহসভাপতি (ভিপি) প্রার্থী লিটন নন্দী। তিনি বিভিন্ন হলে বিভিন্ন অনিয়ম তুলে ধরেন। কুয়েত মৈত্রী হলে জালভোট মারা ব্যালট উদ্ধারের ঘটনায় নিন্দা জানান তিনি।

 

হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলে ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে গেলে প্রগতিশীল ছাত্র ঐক্যের প্রার্থী-কর্মীদের ধাওয়া দেয়া হয় বলে অভিযোগ করেন লিটন। এ ঘটনায় ছাত্রলীগকে অভিযুক্ত করছেন ঐক্যের নেতারা।

 

দীর্ঘ ২৮ বছর পর ডাকসু নির্বাচন শুরু হয় আজ সোমবার সকাল ৮টায়। বেলা ২টা পর্যন্ত চলে ভোট নেয়া। মোট ভোটার ৪৩ হাজার ২৫৬ ভোটার। মোট ভোটারের মধ্যে ছাত্র ২৬ হাজার ৯৪৪ এবং ছাত্রী ১৬ হাজার ৩১২ জন।

 

ডাকসুতে নির্বাচন ২৫ পদে । বিভিন্ন পদের মধ্যে ভিপি, জিএস, এজিএস একটি করে ৩টি। আরও আছে- সম্পাদকীয় ৯টি এবং ১৩টি সদস্যপদ। এসব পদের জন্য বিভিন্ন প্যানেল ও স্বতন্ত্রসহ প্রার্থী ২২৯ জন। তাদের মধ্যে স্বতন্ত্রসহ ভিপি ২১, জিএস ১৪ জন।

 

ডাকসু নির্বাচনে মোট প্যানেল ১৩টি। প্রত্যেক হল সংসদে ১৩টি পদে নির্বাচন হয়। এর মধ্যে ভিপি, জিএস, এজিএস একটি করে তিনটি। আরও আছে সম্পাদকীয় ৬, সদস্য ৪টি। হল সংসদ (১৮টি হল, ২৩৪ পদে) প্রার্থী ৫০৯ জন। হল সংসদ ও ডাকসু মিলিয়ে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে গড়ে ৩৮টি করে ভোট দিতে হয়। সুষ্ঠুভাবে ভোটের কাজ শেষ করতে রিটার্নিং অফিসারসহ (আরও) ৪২ জন কাজ করেন।

ভোট বর্জনকারী সংগঠনগুলো বিভিন্ন দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ জানায়।