ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় : মুক্তচিন্তার পাঠশালা কতটুকু ?
লাইফ টিভি 24
প্রকাশিত: ২০:১০ ১ জুলাই ২০২০

ইতিহাসবিদদের মতে, ১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যখন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল তখন এর একটি রাজনৈতিক দিক ছিল । 'বঙ্গভঙ্গ' বাতিল করার রাজকীয় ক্ষতিপূরণ হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয় বলে তারা মনে করেন।
১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গের মাধ্যমে পূর্ব বাংলা ও আসামকে নিয়ে একটি আলাদা প্রদেশ গঠন করা হয়। কিন্তু হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রবল বিরোধিতার মুখে ১৯১১ সালে 'বঙ্গভঙ্গ' রদ বা বাতিল করা হয়।
ব্রিটিশ এবং পাকিস্তানেও ঔপনিবেশিক আমলে পূর্ব বাংলার সমাজে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান ছিল অনস্বীকার্য। সেই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পরে ১৯৭৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার জন্য একটি অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছিল।
সেই অধ্যাদেশের মূল বিষয় ছিল, বিশ্ববিদ্যালয় হবে স্বায়ত্তশাসিত এবং সেখানে স্বাধীনভাবে মত প্রকাশের সুযোগ থাকবে।
কিন্তু অনেকে মনে করেন, শত বছরের মাথায় এসে বিশ্ববিদ্যালয়ে এ দুটো বিষয় হারিয়ে যাচ্ছে।
কতটা আছে স্বায়ত্তশাসন?
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক কাবেরী গায়েন বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আগে দুটো কমিশন গঠন করা হয়েছিল। একটি হচ্ছে নাথান কমিশন এবং অপরটি হচ্ছে স্যাডলার কমিশন।
নাথান কমিশন সুপারিশ করেছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে উঠবে। অন্যদিকে স্যাডলার কমিশন এর বিরোধিতা করে বলেছিল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হবে একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, যেখানে মুক্ত চিন্তা থাকবে।
মি: স্যাডলার ছিলেন ব্রিটেনের লিডস ইউনিভার্সিটির উপাচার্য। ১৯৭৩ সালে যে বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ জারি করা হয়, সেখানে মি. স্যাডলারের সেই দর্শনের ধারাবাহিকতা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী মনে করেন, স্বায়ত্তশাসনের সাথে মুক্ত চিন্তা এবং জ্ঞানের স্বাধীন বিকাশ জরুরী।
"বিশ্ববিদ্যালয় স্বায়ত্তশাসিত হওয়া দরকার। আদর্শ বিশ্ববিদ্যালয় সম্পূর্ণ স্বাধীন হওয়া দরকার," বলেন মি: চৌধুরী।
তবে গত প্রায় দশকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসনের চরিত্র অনেকটাই বিঘ্নিত হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।
অধ্যাপক চৌধুরী বলেন, স্বায়ত্তশাসন কাজ করেনি দুই কারণে। প্রথমটি হচ্ছে, বিভিন্ন সরকার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর প্রভাব রাখতে চেয়েছে। দ্বিতীয়টি হচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের একাংশ বিভিন্ন সরকারের সাথে যোগাযোগ রেখেছে। এসব কারণে স্বায়ত্তশাসন বিঘ্নিত হয়েছে বলে মনে করেন অধ্যাপক চৌধুরী।
শিক্ষকদের রাজনৈতিক মত কেন?
১৯৭৩ সালের বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশে পরিষ্কার বলা আছে, শিক্ষকরা রাজনৈতিক মত প্রকাশ করতে পারবেন এবং তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে আইনসংগত প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত থাকলে কোন অসুবিধা হবেনা।
বিভিন্ন সময় দেখা গেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষক বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাথে সরাসরি যুক্ত হয়েছে।
অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পূর্বে আইয়ুব খানের শাসনামলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের রাজনৈতিক মত প্রকাশের স্বাধীনতা ছিল না।
অধ্যাপক চৌধুরী বলেন, ১৯৭৩ সালের অধ্যাদেশ অনুযায়ী শিক্ষকদের যে সুযোগ দেয়া হয়েছে সেটি সঠিক ছিল।
"আমরা চেয়েছিলাম বিশ্ববিদ্যালয়কে শুধু গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান হিসেবেই নয়, আমরা চেয়েছিলাম গণতন্ত্রের চর্চার একটি আদর্শ স্থান হিসেবে গড়ে তুলতে। সেজন্যই সর্বস্তরে নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল," বলেন অধ্যাপক চৌধুরী।
"বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা রাজনৈতিক দলের সাথে যুক্ত থাকবেন না - এটাই বা আমরা কেমন করে আশা করবো?
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা তো অগ্রসর চিন্তার মানুষ। তাদের তো রাজনৈতিক মত আছে। এই অধিকারটা শিক্ষকদের থাকা দরকার।"
অধ্যাপক চৌধুরী মনে করেন, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা রাজনৈতিক দলের সমর্থক হলেও সেই সমর্থন যেন শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংক্রমিত না হয়।
মুক্ত চিন্তার জায়গা আছে?
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অনেকে মনে করেন, গত চার দশকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসন খর্ব হবার কারণেই শিক্ষকদের অনেকে আরও বেশি মাত্রায় দলীয় রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েছে। ফলে মুক্ত চিন্তার জায়গাও সংকুচিত হয়েছে।
স্বায়ত্তশাসন, শিক্ষক রাজনীতি এবং মুক্ত চিন্তা - এ তিনটি বিষয় একটি অপরটির সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত বলে মনে করেন শিক্ষকরা।
তাদের যুক্তি হচ্ছে, বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চার জন্য একটি স্বাধীন পরিবেশ দরকার।
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক কাবেরী গায়েন মনে করেন, শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ডের পরে একদিকে সামরিক শাসন ও ডানপন্থী রাজনীতির উত্থান এবং এর বিপরীতে বাম গণতান্ত্রিক শক্তি শিক্ষকদের মধ্যে দানা বাঁধলো। সেই আদর্শিক রাজনীতি পরবর্তীতে ক্রমেই দলীয় রাজনীতিতে রূপান্তরিত হয়েছে বলে কাবেরী গায়েন উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, "এই দলীয় রাজনীতির ফলে যেটা দাঁড়ালো সেটা হচ্ছে, যখন যে সরকার ক্ষমতায় আসছে সে অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনে পরিবর্তন হচ্ছে। কেমন করে যেন সেই স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় বিলুপ্ত হয়ে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হলো। ফলে আমাদের মুক্তি বুদ্ধি চর্চার জায়গাটি ভয়াবহভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। "
"যখন কোন একটা নেশনের একেবারে হাইয়েস্ট একাডেমিক প্রতিষ্ঠানে থেকেও যখন আপনাকে কথা বলার জন্য দুইবার চিন্তা করতে হয়, তখন সেখানে মুক্ত জ্ঞানের উৎপাদন কিভাবে করবেন?"
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অনেকে বলেন, শতবছরের মাথায় এসে মত প্রকাশ করার ক্ষেত্রে তাদের মধ্যে এক ধরণের ভয় এবং দ্বিধা কাজ করে।
আকবর হোসেন, বিবিসি বাংলা, ঢাকা।
- গরম পানিতে লেবু চিপে খেলে কি ওজন কমে?
- ঝুঁকিপূর্ণ হলেও যেকোনো প্রয়োজনে আমাকে পাবেন: উপদেষ্টা মাহফুজ
- হানিমুনে বউয়ের সঙ্গে মা, প্রভার স্ট্যাটাস নিয়ে সমালোচনার ঝড়
- মোস্তাফিজকে দলে টেনে বয়কটের মুখে দিল্লি ক্যাপিটালস
- আবদুল হামিদের দেশত্যাগ নিয়ে ‘বিকৃত’ উপস্থাপন হয়েছে: ছেলে তুষার
- ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড় ও বজ্রসহ বৃষ্টির আভাস
- আমির খানের বিরুদ্ধে ‘চুরির’ অভিযোগ
- যাদের জন্য মহৌষুধ তালের শাঁস
- দুঃসংবাদ পেলেন সাকিব আল হাসান
- ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’ কতটা শক্তিশালী, আঘাত হানবে কবে-কোথায়?
- নির্বাচন থেকে বাদ আ.লীগ: কার লাভ, কার ক্ষতি
- কমেই চলেছে স্বর্ণের দর, কারণ কী কী
- বিয়ের পর একইসঙ্গে মা ও বউয়ের মন জয়ের কৌশল
- সাবিলা নূরকে নায়িকা মনে হয় না: মারিয়া মিম
- আ.লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ: উদ্বিগ্ন ভারত চায় দ্রুত নির্বাচন
- বাংলাদেশ সিরিজ সামনে রেখে নতুন কোচ নিয়োগ দিলো পাকিস্তান
- বিলুপ্ত হলো এনবিআর, দুভাগ করে অধ্যাদেশ জারি
- হত্যা মামলায় রিমান্ডে মমতাজ
- হিটস্ট্রোকের লক্ষণ দেখলে দ্রুত যা করবেন
- বাণিজ্যযুদ্ধ বন্ধে চীন-যুক্তরাষ্ট্রের চুক্তি, চাঙা অর্থনীতি
- সোশ্যাল মিডিয়ায় আ.লীগ, এর অঙ্গ, সহযোগী সংগঠনের প্রচারণা নিষিদ্ধ
- আ. লীগের নিবন্ধনও স্থগিত, প্রথমবার ছিটকে পড়লো ভোট থেকে
- আ. লীগ ও এর অঙ্গ, সহযোগী সংগঠনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন
- ভারত না পাকিস্তান, সংঘাতে জিতল কে
- শিক্ষাবিদ অধ্যাপক এলতাস স্যার এখন কেবলই স্মৃতি
- যুদ্ধবিরতিতে সম্মত ভারত-পাকিস্তান নিয়ে যা বললেন ড. ইউনূস
- একমঞ্চে দুই বোনের সম্মাননা
- ‘আমরা ফ্লাই করার ২০ মিনিট পর এয়ারপোর্টে মিসাইল পড়ে’
- ৩০ দিনের ‘নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতিতে’ যাচ্ছে ইউক্রেন
- যুদ্ধবিরতিতে সম্মত ভারত-পাকিস্তান: ট্রাম্প
- শিক্ষাবিদ অধ্যাপক এলতাস স্যার এখন কেবলই স্মৃতি
- আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ, ইতিহাস কী বলে
- কমেই চলেছে স্বর্ণের দর, কারণ কী কী
- কেন খাবেন কাঁচা কাঁঠাল
- স্নায়বিক রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার জেনে নিন
- হিটস্ট্রোকের লক্ষণ দেখলে দ্রুত যা করবেন
- আমির খানের বিরুদ্ধে ‘চুরির’ অভিযোগ
- যুদ্ধবিরতিতে সম্মত ভারত-পাকিস্তান নিয়ে যা বললেন ড. ইউনূস
- বাণিজ্যযুদ্ধ বন্ধে চীন-যুক্তরাষ্ট্রের চুক্তি, চাঙা অর্থনীতি
- ভারত না পাকিস্তান, সংঘাতে জিতল কে
- হত্যা মামলায় রিমান্ডে মমতাজ
- সেলিনা হায়াৎ আইভী গ্রেপ্তার
- আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে যা জানালো অন্তর্বর্তী সরকার
- পাকিস্তানে হামলার পর ভারতের চোখ বাংলাদেশের দিকে কেন
- ৩০ দিনের ‘নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতিতে’ যাচ্ছে ইউক্রেন
- প্রথম মার্কিন পোপ রবার্ট প্রেভোস্ট
- যুদ্ধবিরতিতে সম্মত ভারত-পাকিস্তান: ট্রাম্প
- বিয়ের পর একইসঙ্গে মা ও বউয়ের মন জয়ের কৌশল
- যাদের জন্য মহৌষুধ তালের শাঁস
- বাংলাদেশ সিরিজ সামনে রেখে নতুন কোচ নিয়োগ দিলো পাকিস্তান