ঢাকা, ২০ এপ্রিল শনিবার, ২০২৪ || ৬ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
৫৪৭

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নয়া সভাপতি আজাদ, রিয়াজ সম্পাদক

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২২:২৪ ৩০ নভেম্বর ২০১৯  

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) আগামী এক বছরের জন্য সভাপতি নির্বাচিত হলেন রফিকুল ইসলাম আজাদ। সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন রিয়াজ চৌধুরী।
এবার ২০২০ মেয়াদের কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচনে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ কার্যনির্বাহী পরিষদের মোট ২১টি পদে প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
নির্বাচনে সভাপতি পদে বৈধ প্রার্থী ছিলেন রফিকুল ইসলাম আজাদ, রাজু আহমেদ, শাহনেওয়াজ দুলাল, শামসুল হক বসুনিয়া এবং শরিফুল ইসলাম (বিলু)।
তবে রাজু আহমেদ মনোনয়পত্র প্রত্যাহারের সময় শেষ হওয়ার পর ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।
নির্বাচনে রফিকুল ইসলাম আজাদ ভোট পেয়েছেন ৫৫০টি। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শাহনেওয়াজ দুলাল পেয়েছেন ৪৮৯ ভোট। এছাড়া রাজু আহমেদ ১৯৩ ভোট, শরিফুল ইসলাম (বিলু) ৭৫ ভোট এবং শামসুল হক বসুনিয়া ৩ ভোট পেয়েছেন।
সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন নুরুল ইসলাম হাসিব, রিয়াজ চৌধুরী ও শেখ মুহাম্মদ জামাল হোসাইন (শেখ জামাল)। এদের মধ্যে রিয়াজ চৌধুরী ৫৬৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার থেকে দুই ভোট কম বা ৫৬৫ পেয়েছেন নুরুল ইসলাম হাসিব। এ পদের আর এক প্রার্থী শেখ মুহাম্মদ জামাল হোসাইন (শেখ জামাল) পেয়েছেন ১৮৩ ভোট।
সহ-সভাপতির পদে ৪৮৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন নজরুল কবীর। এ পদের অপর দুই প্রার্থী ওসমান গনি বাবুল ৩৩৯ ভোট এবং রাশেদুল হক ৪৪১ ভোট পেয়েছেন।

যুগ্ম সম্পাদক পদে হেলিমুল আলম বিপ্লব ৮৫১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। এ পদের অপর প্রার্থী মেহদী আজাদ মাসুম পেয়েছেন ৪৩০ ভোট।
সাংগঠনিক সম্পাদক পদে বিজয়ী হয়েছেন হাবীবুর রহমান। তিনি পেয়েছেন ৬৪৮ ভোট। অপর প্রার্থী মাইনুল হাসান সোহেল পেয়েছেন ৬২৬ ভোট।
দফতর সম্পাদক পদে মো. জাফর ইকবাল ৬৪৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। এ পদের অপর প্রার্থী জান্নাতুল ফেরদৌস পান্না পেয়েছেন ৫৯৮ ভোট।

প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে বিজয়ী হয়েছেন মাইদুল রহমান রুবেল। তিনি পেয়েছেন ৬৪৩ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী আবদুল হাই তুহিন পেয়েছেন ৫৬৮ ভোট।

তথ্যপ্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক পদে বিজয়ী হয়েছেন সাখাওয়াত হোসেন সুমন। তিনি পেয়েছেন ৬৯৬ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী জান্নাতুল ফেরদৌসী মানু পেয়েছেন ৫৬৯ ভোট।

ক্রীড়া সম্পাদক পদে ৭০৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন মো. মজিবুর রহমান। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মাকসুদা লিসা পেয়েছেন ৫৭৩ ভোট। সাংস্কৃতিক সম্পাদকে ৬৬৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন মিজান চৌধুরী। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো. এমদাদুল হক খান পেয়েছেন ৫১৩ ভোট।

কার্যনির্বাহী সদস্যের সাতটি পদে মোট ৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এদের মধ্যে - মঈনুল আহসান ৭৬২ ভোট, এস এম মিজান ৭৫৯ ভোট, আহমেদ মুশফিকা নাজনীন ৭২৫ ভোট, কামরুজ্জামান বাবলু ৬৯৯ ভোট, মো. ইমরান হাসান মজুমদার ৫৯৫ ভোট, এম মুরাদ হোসেন ৫৬১ ভোট এবং সায়ীদ আবদুল মালিক ৪৯১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।

প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় এবার অর্থ সম্পাদক পদে জিয়াউল হক সবুজ, নারীবিষয়ক সম্পাদক রীতা নাহার, কল্যাণ সম্পাদক খালিদ সাইফুল্লাহ এবং আপ্যায়ন সম্পাদক এইচ এম আকতার ভোট ছাড়াই নির্বাচিত হয়েছেন।

সেগুনবাগিচায় সংগঠনের কার্যালয় মিলনায়তনে শনিবার সকাল ৯টা থেকে কার্যনির্বাহী কমিটির ভোট শুরু হয়। বিরতিহীনভাবে চলে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। ১৬৩৫ জন ভোটারের মধ্যে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন ১৩২৯ জন।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার রিয়াজ উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশনে দায়িত্ব পালন করেন - মনজুরুল আহসান বুলবুল, এম এ আজিজ, এম শাজাহান মিয়া এবং আবু তাহের। নির্বাচনী কাজে কমিশনে সহায়তা করেন আমানুর রহমান ও উত্তম চক্রবর্তী।

 

এক নজরে  : 

 

ডিআরইউর নবনির্বাচিত কমিটি -

 

সভাপতি : রফিকুল ইসলাম আজাদ 
সহ সভাপতি : নজরুল কবীর 
সাধারণ সম্পাদক : রিয়াজ চৌধুরী 
যুগ্ম সম্পাদক : হেলিমুল আলম বিপ্লব

অর্থ সম্পাদক : জিয়াউল হক সবুজ
সাংগঠনিক সম্পাদক : হাবীবুর রহমান 
দপ্তর সম্পাদক : জাফর ইকবাল

নারীবিষয়ক সম্পাদক : রীতা নাহার 
প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক : মাইদুর রহমান রুবেল 
তথ্যপ্রযুক্তি সম্পাদক : সাখাওয়াত হোসেন সুমন

ক্রীড়া সম্পাদক : মজিবর রহমান 
সাংস্কৃতিক সম্পাদক : মিজান চৌধুরী 
আপ্যায়ন সম্পাদক : এমএইচ আখতার 
কল্যাণ সম্পাদক : খালিদ সাইফুল্লাহ

 

কার্যনির্বাহী সদস্য - 


মাইনুল আহসান 
এসএম মিজান 
আহমেদ মুশফিকা নাজনীন
কামরুজ্জামান বাবলু 
ইমরান মজুমদার 
মুরাদ হোসেন
সায়ীদ আবদুল মালিক

 

মিডিয়া বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর