ঢাকা, ২৩ এপ্রিল মঙ্গলবার, ২০২৪ || ১০ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
৩৬৫

ঢাকাকে বিদায় করে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে চট্টগ্রাম

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৯:৪৪ ১৩ জানুয়ারি ২০২০  

ঢাকা প্লাটুনকে বিদায় করে বঙ্গবন্ধু বিপিএলের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে উঠল মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। সোমবার এলিমিনেটর ম্যাচে মাশরাফিদের ৭ উইকেটে হারিয়েছে তারা। প্রথমে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ১৪৪ রান করে ঢাকা। জবাবে ১৪ বল বাকী রেখেই জয় নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম। এদিন সন্ধ্যায় খুলনা টাইগার্স ও রাজশাহী রয়্যালসের মধ্যকার প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচে হেরে যাওয়া দলের সঙ্গে দ্বিতীয় কোয়ালিফাইয়ার খেলবে তারা। 
মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্বান্ত নেয় চট্টগ্রাম। হাতে ১৪টি সেলাই নিয়েই এ ম্যাচে খেলতে নামেন ঢাকা অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। এমন পরিস্থিতিতে ম্যাশের খেলাতেও উজ্জীবিত হতে পারেননি উপরের সারির ব্যাটসম্যানরা। চট্টগ্রাম বোলারদের তোপে ৬০ রানে ৭ ব্যাটসম্যান প্যাভিলিয়নে ফেরেন।
তৃতীয় ওভারের শেষ বলে রুবেল হোসেনকে উইকেট ছেড়ে মারতে গিয়ে বোল্ড হন তামিম। এরপর ক্রিজে আরেক ওপেনার মুমিনুল হকের সঙ্গী হন এনামুল হক বিজয়। তবে রান তোলার কাজটা করছিলেন মুমিনুল। উইকেট সেট হওয়ার পরিকল্পনায় ছিলেন বিজয়। কিন্তু পঞ্চম ওভারের বিদায় নিতে হয় তাকে। রানের খাতা খোলার আগেই ফেরেন তিনি। শিকার হন স্পিনার নাসুম আহমেদের।
এনামুলের বিদায়ের পর তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে ঢাকার মিডলঅর্ডার। লুইস রিসিকে শুন্য রানে ফেরান চট্টগ্রাম অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। আর মেহেদি হাসান ও জাকের আলিকে শুন্য রানে আউট করেন রায়াদ এমরিত। আসিফ আলি নাসুমের শিকার হন। অর্থাৎ ৩৩ রানে ৬ উইকেট পতন হয় ঢাকার।
অষ্টম উইকেটে থিসারা পেরেরাকে নিয়ে মারমুখী ব্যাট করেন শাদাব। ৩৩ বলে ৪৪ রান যোগ করেন তারা। এর মধ্যে ১৩ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ২৫ রান করেন পেরেরা। ১৮তম ওভারে দলীয় ১০৪ রানে অষ্টম ব্যাটসম্যান হিসেবে ফেরেন তিনি। এ অবস্থায় ঢাকার রান কত যায় সেটিই দেখার বিষয় ছিল। পেরেরার বিদায়ে মাশরাফি ব্যাট হাতে নামায় পুরো স্পটলাইট ছিল অধিনায়কের উপর। কারণ, ১৪ সেলাই নিয়ে ব্যাট করাটা কঠিনই। তবুও ২ বল খেলেছেন তিনি। একবার হাত চেপেও ধরেছিলেন ম্যাশ। কিন্তু শাদাবকে স্ট্রাইক দেয়ার চেষ্টা করেন তিনি। স্ট্রাইক পেয়ে ১৯তম ওভারে মেহেদি হাসানকে ২ চার ও ১ ছক্কা মারেন শাদাব। ওই ওভার থেকে ১৬ রান পায় ঢাকা।
শেষ ওভারে জিয়াউর রহমানের প্রথম ২ ডেলিভারিতে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ৩৬ বলে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন শাদাব। চতুর্থ ডেলিভারিতে নো-বলে ছক্কাও মারেন তিনি। আর শেষ ৩ বলে ২ করে ৬ রান নেন পাকিস্তানি রিক্রুট। ফলে শেষ ওভারে ২৩ রান তুলে সম্মানজনক স্কোর দাঁড় করাতে পারে ঢাকা। ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ৪১ বলে অপরাজিত ৬৪ রান করেন শাদাব। চট্টগ্রামের এমরিত ৩টি, রুবেল-নাসুম ২টি করে উইকেট নেন।
জয়ের জন্য ১৪৫ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে চট্টগ্রামের ইনিংস শুরু করেন ক্রিস গেইল ও জিয়াউর রহমান। মাশরাফির করা প্রথম ওভার থেকে মাত্র ১ রান নেন গেইল। স্পিনার মেহেদির পরের ওভার থেকেও ১ রানের বেশি পায়নি তারা। তবে মাশরাফির করা ইনিংসের তৃতীয় ওভারে মারমুখী হয়ে উঠেন জিয়াউর। ২ চার ও ১ ছক্কায় ১৫ রান তুলেন তিনি। জিয়াউরের মারমুখী মেজাজের ব্যাটিং-দেখে হাত খোলেন গেইলও। পরের ওভারে মেহেদিকে ২টি ছক্কা মারেন তিনি।
এরপর আরও ১ চার ও ছক্কা মেরে মেহেদির বলে আউট হন জিয়াউর। ১২ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ২৫ রান করেন তিনি। তার আউটের পর গেইলকে নিয়ে দলের রানের চাকা ঘুরিয়েছেন ইনফর্ম ইমরুল কায়েস। দেখেশুনে খেলে ৪৩ বলে ৪৯ রান যোগ করে চট্টগ্রামের জয়ের পথ সহজ করে তোলেন তারা। ১৩তম ওভারে প্রথমবারের মতো আক্রমণে এসেই গেইল-ইমরুল জুটিতে ভাঙন ধরান শাদাব। ২২ বলে ১ চার ও ৩ ছক্কায় ৩২ রান করা ইমরুল বিদায় নেন।
নিজের দ্বিতীয় ওভারে গেইলকে বিদায় দেন শাদাব। স্লগ সুইপ করতে শর্ট ফাইন লেগে ক্যাচ দেন গেইল। জায়গায় দাঁড়িয়েই এক হাতে ধরেন মাশরাফি। বাঁ-হাতে সেলাই থাকায় ডান-হাতে ক্যাচটি নিয়ে ক্রিকেটপ্রেমিদের চমকে দেন তিনি। ৪৯ বলে ১ চার ও ২ ছক্কায় ৩৮ রান করেন ক্যারিবীয় ব্যাটিং দানব।
গেইলের আউটের পর ৩২ বলে ৪৩ রান দরকার ছিল চট্টগ্রামের। দলের বাকী কাজটুকু সারেন মাহমুদউল্লাহ ও চাঁদউইক ওয়ালটন। শাদাবের করা ১৮তম ওভারের তৃতীয় ও চতুর্থ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে চট্টগ্রামকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান মাহমুদউল্লাহ। ৪ ছক্কায় ১৪ বলে অপরাজিত ৩৪ রান করেন তিনি। ১০ বলে ১২ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন ওয়ালটন। ঢাকার শাদাব ৩২ রানে ২ উইকেট নেন।

 

খেলাধুলা বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর