ঢাকা, ১৯ এপ্রিল শুক্রবার, ২০২৪ || ৬ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
১৬৮৯

তীব্র গরমে কী খাবেন, বর্জন করবেন কী

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২০:০২ ৩০ এপ্রিল ২০১৯  

বেঁচে থাকার জন্য দরকার খাবার। তেমনি সুস্থ, সবল নিরোগ দেহের জন্য দরকার পুষ্টিসমৃদ্ধ খাদ্যের। গ্রীষ্মকালে গরমের তীব্রতা বেশি থাকে। তাই এ সময় খাবার হজমে নানা সমস্যা হয়। অতিরিক্ত রোদে - গরমে সুস্থ থাকতে তাই খাবার খেতে হবে পরিমিত ও রুটিনমাফিক।

 

তীব্র গরমে একটু সচেতন হয়ে খাবার খেলে অনেক শারীরিক সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। বিশেষ করে শরীরের জন্য ক্ষতিকর খাবার বর্জন করাই উচিৎ।

আসুন জেনে নেই, এই গরমে কী খাওয়া উচিত, কী বর্জন করা উচিত :

 

১. যেসব খাবার খেলে গরমে শরীর ভালো থাকে, ঠাণ্ডা থাকে, তা হল দই। প্রতিদিন ঘরে টক দই রাখতে পারেন এবং দৈনন্দিন ডায়েটে তার উপস্থিতি বাঞ্ছনীয়।

 

২. দইকে লাচ্ছি করে, রায়তা বানিয়ে অথবা নানারকম মুখরোচক উপায়ে খেতে পারেন।

 

৩. ডাবের পানি প্রচুর খেতে পারেন। ডাবের পানি যা মিনারেল, যা এই সময় শরীরকে সতেজ রাখতে খুব সাহায্য করে।

 

৪. ফলের মধ্যে তরমুজ, শশা, পেঁপে, বাঙ্গি, জামরুল, আনারস, এসব খাবেন। কিন্তু কখনো রাস্তা থেকে কাটা অবস্থায় খাবেন না। গোটা ফল বাড়ি এনে ধুয়ে, তারপর কেটে খাবেন। পর্যাপ্ত পরিমাণ শাকসবজি খাবেন।

 

৫. লাউ, ঝিঙে, উচ্ছে, করলা, নিমপাতা ইত্যাদি নানান সবজি শরীরকে সতেজ ও ঠান্ডা রাখে। কাঁচা পেয়াজ খেতে পারেন।

 

৬. সবচেয়ে বেশি দরকার বিশুদ্ধ পানি। এছাড়া যেসব পানীয় শরীর ঠাণ্ডা রাখে, সেগুলো হলো তেঁতুল পানি, লেবুর পানি, ঘোল, ডাবের পানি, বাটার মিল্ক, আখের রস, পুদিনার সরবত, পানি-জিরা, সিকঞ্জি বেলের শরবত এবং ছাতুর সরবত। গরমে পর্যাপ্ত পানি পান করা অত্যন্ত জরুরি। দিনে কতটুকু পানি পান করতে হবে, তা নির্ভর করে মূলত আবহাওয়া ও শারীরিক শ্রমের ওপর। গরমকালে যেহেতু ঘাম হয় বেশি, তাই কমপক্ষে ৩-৪ লিটার পানি পান করতে হবে। প্রচণ্ড গরমে শরীর থেকে ঘামের সঙ্গে লবণও বের হয়ে যায়। তাই ১-২ গ্লাস পানির সঙ্গে স্যালাইন মিশিয়ে পান করুন।

 

৭. তবে প্রচণ্ড গরম বা তীব্র রোদ থেকে এসে এসেই বরফ ঠাণ্ডা কোনো পানীয় বা খাবার খাওয়া উচিত নয়।

 

৮. ভাজা-পোড়া, অধিক তেলযুক্ত যে কোনো খাবার গরমকালে  না খাওয়াই শরীরের জন্য ভালো। তেলে ভাজা ফাস্টফুড খাদ্য তালিকা থেকে পরিহার করুন। বাইরের ফাস্টফুড অতিরিক্ত তেল ও মসলাযুক্ত। তা পাকস্থলীতে যন্ত্রণা তৈরি করতে পারে।

 

৯.  মাছ-মাংস তুলনামূলকভাবে একটু দেরিতে হজম হয়। এগুলো শরীরে অধিক তাপমাত্রা তৈরি করে থাকে। তাই অধিক গরমে এ খাবারগুলো কম খেতে হবে।

 

১০. পোলাও-বিরিয়ানি তেল ও চর্বিযুক্ত হওয়ায় শরীরে বেশি তাপ উৎপন্ন করে। তাই গরমকালে সুস্থ থাকতে এগুলো পরিহার করতে হবে। বর্জন করতে হবে বাড়তি ঝাল-মসল্লাযুক্ত খাবার।

 

১১. গরমে তৃষ্ণা পেলেই কোল্ড ড্রিংকস পান একদমই অনুচিত। কারণ কোকাকোলা ও পেপসিতে অত্যধিক মাত্রায় ক্ষতিকর দ্রব্য থাকে। তা আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর। এর বদলে পান করুন ফ্রেসজুস।  

 

১২. গরমে অত্যধিক মাত্রায় চা কিংবা কফি পান পরিহার করা উচিৎ। গরমে চা-কফি ক্ষুধাহীনতা ও হজম পরিপাকে সমস্যা তৈরি করে।

তবে রাস্তা-ঘাটে, ফুটপাতে তথা বাইরে তৈরী খাবার অবশ্যই বর্জন করতে হবে। অস্বাস্থ্যকর এসব খাবার না খেয়ে বাসায় তৈরী স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে।