ঢাকা, ২৯ মার্চ শুক্রবার, ২০২৪ || ১৫ চৈত্র ১৪৩০
good-food
৩৯৫

দ. আফ্রিকাকে ২২০ রানে গুটিয়েও মহাবিপদে পাকিস্তান

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২২:২৯ ২৬ জানুয়ারি ২০২১  

১৪ বছর পর পাকিস্তানের মাটিতে টেস্ট খেলতে নেমেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে শুরুটা ভালো হয়নি। প্রথম ম্যাচের প্রথম দিনেই ২২০ রানে অলআউট হয়েছে তারা। অবশ্য সফরকারীদের অলআউট করেও স্বস্তিতে নেই পাকিস্তান। প্রথম দিন শেষে ৪ উইকেটে ৩৩ রান করেছে স্বাগতিকরা। ফলে দিন শেষে ৬ উইকেট হাতে নিয়ে ১৮৭ রানে পিছিয়ে তারা।

 

মঙ্গলবার থেকে করাচিতে শুরু হয়েছে পাকিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যকার দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজ। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্বান্ত নেন প্রোটিয়া অধিনায়ক কুইন্টন ডি কক। ব্যাট হাতে দ্রুত রান তুলছিলেন দুই ওপেনার ডিন এলগার ও আইডেন মার্করাম। ওয়ানডে স্টাইলে খেলে প্রথম ২৯ বলে ৩০ রান করে ফেলেন তারা। তবে পঞ্চম ওভারের শেষ বলে এই জুটি ভাঙেন পাকিস্তানের বাঁহাতি পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি। ১৬ বলে ৩ চারে ১৩ রান করা মার্করামকে শিকার করেন তিনি।


দলীয় ৩০ রানে প্রথম উইকেট পতনের পর দলের রানের চাকা ঘুরান এলগার ও রাসি ভ্যান ডান ডুসেন। ইনিংসের শুরুতে দ্রুত রান উঠলে দেখেশুনে খেলতে থাকেন তারা। তবে জুটিতে ৩৩ রানের বেশি করতে পারেননি। ১৭ রান করে রান আউট হন ডুসেন। তার সঙ্গে বড় জুটির চেষ্টা করে ব্যর্থ হন এলগার। সেই ব্যর্থতা পরবর্তীতেও অব্যাহত থাকে। ফাফ ডু-প্লেসিস, ডি ককের সঙ্গে বড় জুটি গড়ার আভাস দিয়েও পারেননি তিনি।  তৃতীয় উইকেটে প্লেসিসের সঙ্গে ৪৫ এবং  ডি ককের সঙ্গে ২৫ রানের জুটি গড়েন এলগার। আর তেম্বা বাভুমার সঙ্গে ৩ রানের বেশি যোগ করতে পারেননি তিনি।

 

ডু-প্লেসিস ২৩ রানে স্পিনার ইয়াসির শাহ এবং ডি কক ১৫ রানে আউট হন অভিষেক টেস্টে খেলতে নামা বাঁহাতি স্পিনার নুমান আলির বলে। দলীয় ১৩৬ রানে পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন এলগার। এর আগে টেস্ট ক্যারিয়ারের ১৬তম হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। নুমানের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ব্যক্তিগত ৫৬ রানে বিদায় নেয়া এলগার ১০৬ বলের ইনিংসে ৯ চার মারেন।
উপরের সারির ব্যাটসম্যানরা বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হওয়ার পর দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসের পরের দিকেও একই চিত্র দেখা যায়। 

 

বাভুমা ১৭ ও দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নামা জিওর্জি লিন্ডে ৩৫ রানে থামেন। দুই বছর পর টেস্ট খেলতে নামা এক সময় ওয়ানডের এক নম্বর বোলার হাসান আলি বিদায় করেন লিন্ডেকে। আর ডুসেনের মতো ভুল করে রানআউটের ফাঁদে পড়েন বাভুমা। স্বীকৃত ব্যাটসম্যানদের বিদায়ে ২শ’ রানের নীচে গুটিয়ে যাওয়ার শংকায় পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু সেটি হতে দেননি পেসার কাগিসো রাবাদা ও লুঙ্গি এনগিডি। শেষ পর্যন্ত দলের স্কোর ২২০ রান পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারেন তারা। শেষ ব্যাটসম্যান এনগিডি ৮ রানে থামলেও ৩৬ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় অপরাজিত ২১ রান করেন রাবাদা। পাকিস্তানের ইয়াসির ৩টি, আফ্রিদি-নোমান ২টি করে এবং হাসান ১টি উইকেট নেন।

 

৬৯ দশমিক ২ ওভার বল করে দক্ষিণ আফ্রিকাকে গুটিয়ে দিয়ে নিজেদের ইনিংস শুরু করে পাকিস্তান। দিনের শেষ ভাগে ১৮ ওভার ব্যাট করার সুযোগ পেয়ে মহাবিপদেই পড়ে তারা। স্কোর বোর্ডে ৩৩ রান উঠতেই প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন চার ব্যাটসম্যান। দুই ওপেনার অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামা ইমরান বাট ৯ এবং আবিদ আলি ৪ রান করে রাবাদার শিকার হন। অধিনায়ক বাবর আজমকে ৭ রানে থামান দক্ষিণ আফ্রিকার স্পিনার কেশব মহারাজ। নাইটওয়াচম্যান হিসেবে নেমে খালি হাতে ফিরেন শাহিন আফ্রিদি। শিকার হন এনরিচ নর্টির। দিন শেষে আজহার আলি ও ফাওয়াদ আলম ৫ রান করে অপরাজিত আছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার রাবাদা ৮ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন।

খেলাধুলা বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর