ঢাকা, ২৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার, ২০২৪ || ১২ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
৮৯৪

‘দুধের গুণগত মান নিয়ে মিথ্যা তথ্য প্রচার করছে কুচক্রীমহল’

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৯:০৩ ২০ আগস্ট ২০১৯  

মিল্ক ভিটায় উৎপাদিত দুধসহ দেশের তরল দুধের গুণগত মান নিয়ে একটি কুচক্রীমহল সম্পূর্ণ মিথ্যা তথ্য প্রচার করছে বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় ইউনিয়ন লিমিটেড (মিল্ক ভিটা) কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে হীন স্বার্থ হাসিলের জন্য এমন অপপ্রচারের কারণে সুনাম নষ্ট হওয়ায় মিল্ক ভিটার দুধ বিক্রি কমেছে। 
সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এনিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে দুধের গুণগত মান বজায় রাখতে দীর্ঘ মেয়াদী কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে মিল্ক ভিটার কার্যক্রমসহ দেশের দুধের সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। সংসদীয় কমিটির সভাপতি আ স ম ফিরোজের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান, ওমর ফারুক চৌধুরী, ইসমাত আরা সাদেক, নারায়ন চন্দ্র চন্দ, মাহবুব-উল আলম হানিফ, মির্জা আজম, মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম ও মো. জিল্লুল হাকিম এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

 সূত্র জানায়, মিল্ক ভিটার ছয়জন শীর্ষ কর্মকর্তা স্বাক্ষরিত এক প্রতিবেদনে দেশের তরল দুধ নিয়ে একটি কুচক্রীমহলের ষড়যন্ত্রের কথা তুলে ধরা হয়। সেখানে গুড়ো দুধ নিয়েও অপপ্রচার চলছে বলে দাবি করা হয়। বলা হয়, মিল্ক ইউনিয়ন কর্তৃক যথাযথ গুণগতমান সম্পন্ন গুড়োদুধ বাজারের চাহিদার সাথে সামঞ্জ্য রেখে উৎপাদন করলেও আমদানিকৃত বিদেশি গুড়ো দুধের আমদানি শুল্ক কম থাকায় মিল্ক ইউনিয়নের গুড়ো দুধ আশারূপ বিক্রি হচ্ছে না। আর বিগত চার বছর যাবৎ ইউরোপসহ অন্যান্য দেশে এই শিল্পে সরকারি ভর্তুকি প্রদান করায় গুড়ো দুধের উৎপাদন অস্বাভাবিক মাত্রায় বৃদ্ধি পেয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শেষে কমিটির সদস্যরা দেশীয় দুগ্ধ শিল্প রক্ষায় সব ধরণের ষড়যন্ত্র বন্ধের দাবি জানিয়েছে। একইসঙ্গে এ শিল্পে কোনো ঘাটতি থাকলে তা পূরণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেগ গ্রহণের সুপারিশ করেছে।

বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি আ স ম ফিরোজ সাংবাদিকদের বলেন, দেশীয় দুগ্ধ শিল্পের সঙ্গে হাজার হাজার খামারি জড়িত। কিন্তু এই বিকাশমান শিল্প নিয়ে বর্তমানে নানা ধরণের মন্তব্য পাওয়া যাচ্ছে। অথচ এগুলোর তেমন কোনো ভিত্তি নেই। এটি দেশীয় শিল্প ধ্বংসের পায়তারা কিনা তা খতিয়ে দেখার সুপারিশ করা হয়েছে। এছাড়া দুধের গুণগত মান নিশ্চিত করতে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ ও মিল্ক ভিটার সুনাম অক্ষুন্ন রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে বলে তিনি জানান।

কমিটির সদস্য মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম এ বিষয়ে  বলেন, কোনো প্রতিষ্ঠানের ভুল থাকলে তা সংশোধনের সময় দিতে হবে। কিন্তু অবৈজ্ঞাতিক তথ্য নিয়ে ব্যবসার ক্ষতি করা ঠিক হবে না। তাই মিল্ক ভিটাতে কোন অনিয়ম বা দুর্নীতি থাকলে তা প্রতিকারের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে।

 বৈঠকে সিরাজগঞ্জের শাহাজাদপুর উপজেলার বাঘাবাড়িতে মিল্ক ভিটার দুগ্ধ কারখানা পরিদর্শনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংসদীয় কমিটি। 

ফিচার বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর