ঢাকা, ২৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার, ২০২৪ || ১২ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
১১০৯

দু’সপ্তা পরেই হিম হিম শীত !

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২৩:৫৯ ২৯ নভেম্বর ২০১৯  

বাংলা বর্ষপঞ্জিতে আর ক’দিন পরই বিদায় নেবে হেমন্ত ঋতু। আগমন ঘটবে শীতকালের। কুয়াশায় ঢেকে যাবে রাজধানীসহ সারা দেশ।
শীতকাল আসার আগে হেমন্তকেই বলা হয় শীতের দূত। হেমন্তের রাতে মৃদু কুয়াশা, বাতাসে শীতের হিম হিম স্পর্শ লক্ষ্য করা গেছে। ভোরের নরম রোদে কুয়াশার আঁচল সরিয়ে শিশিরবিন্দু মুক্তো দানার মতো দ্যুতি ছড়াতে শুরু করেছে। হেমন্তের প্রভাবে নভেম্বরে দেশের উত্তরাঞ্চলে শীত জেঁকে বসলেও রাজধানীতে এখনো পড়েনি শীত। এরইমধ্যে উত্তরাঞ্চলে তাপমাত্রা নেমে এসেছে ১৩ থেকে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
অন্যদিকে শীতের আগমন বার্তায় অনেকেই গুছিয়ে রাখা শীতবস্ত্র বের করতে শুরু করেছেন। কেউ কেউ কিনতে শুরু করেছেন শীতবস্ত্র। আবার কেউ গায়ে চাপিয়েছেন হালকা শীতের কাপড়।
আবহাওয়া অফিস বলছে, ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝিতে অর্থাৎ পৌষের শুরুতে রাজধানীসহ সারাদেশে জেঁকে বসতে পারে শীত। শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা কম থাকলেও কুয়াশার তীব্রতা বাড়তে পারে। তাপমাত্রা অনেকটা হ্রাস পেতে পারে। তবে ডিসেম্বরের শেষের দিকে হালকা থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে।
শুক্রবার  ভোরে রাজধানীতে হালকা কুয়াশা পড়তে দেখা যায়। শিশিরে ভিজেছে শহরের সবুজ সমারোহ। সকাল সাড়ে ৭টার পর থেকে সূর্যের প্রখরতা বাড়তে থাকে। তবে বেলা ৩টার দিকে হারিয়ে যায় সূর্য। এরপর থেকে গম্ভীর হয়ে আছে আকাশ। হালকা শীতল অনুভবও হচ্ছে।
আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক  বলেন, এখন ঠান্ডা হাওয়া আর কুয়াশা পড়লেও পুরোপুরি শীত শুরু হয়নি। ডিসেম্বর মাসের ৩ অথবা ৪ তারিখ থেকে শীত পড়া শুরু হতে পারে। তবে মাঝামাঝি শীতের তীব্রতা বাড়বে। একই সঙ্গে কুয়াশার তীব্রতাও বাড়বে। শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা নেই। এর মধ্যে বৃষ্টিরও সম্ভাবনা নেই।
শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে  ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারাদেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। ধীরে ধীরে রাতের তাপমাত্রা আরও হ্রাস পেতে পারে।