ঢাকা, ২৬ এপ্রিল শুক্রবার, ২০২৪ || ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
৩২৭

নেপালের সঙ্গে ড্রয়ে সিরিজ বাংলাদেশের

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২১:২৬ ১৭ নভেম্বর ২০২০  

মুজিববর্ষ ফিফা আন্তর্জাতিক প্রীতি ফুটবল ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে সফরকারী নেপালের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করেছে বাংলাদেশ। কিন্তু গত শুক্রবার অনুষ্ঠিত প্রথম ম্যাচে হিমালয় কন্যাদের বিপক্ষে ২-০ গোলের দাপুটে এক জয় পেয়েছিলেন জেমি ডে’র শিষ্যরা। ফলে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে সিরিজ নিশ্চিত করেছেন তারা।

 

মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বিকেল ৫টায় শুরু হয় সিরিজের দ্বিতীয় ফুটবল ম্যাচ। আগের ম্যাচের দুটি পরিবর্তন নিয়ে এদিন একাদশ সাজিয়েছিলেন জেমি ডে’র অনুপস্থতিতে দায়িত্ব পালন করা সহকারী কোচ স্টুয়ার্ট ওয়াটকিস। শুক্রবারের ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবলে অভিষেক হওয়া গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকোর পরিবর্তে সুযোগ দেয়া হয় অভিজ্ঞ গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানাকে। এছাড়া ডিফেন্ডার রিয়াদুর হাসানের পরিবর্তে প্রথম একাদশে রাখা হয় ইয়াসিন খানকে।

 

অপরদিকে পূর্বের ম্যাচের সেরা একাদশে পাঁচটি পরিবর্তন আনে নেপাল। তবুও প্রথমার্ধে বলতে গেলে একচেটিয়া আধিপত্য ছিল স্বাগতিকদের। ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটে সাদউদ্দিনের ক্রস তালুবন্দি করেন নেপালের গোলরক্ষক কিরন কুমার লিম্বু। কয়েক মিনিট পর তেজ তামাংয়ের দূরপাল্লার শট সহজেই লুফে নেন বাংলাদেশ গোলকিপার রানা।

 

এদিন লেফট উইংয়ে নিষ্প্রভ ছিলেন মোহাম্মদ ইব্রাহিম। যে কারণে রাইট উইং দিয়ে সাদউদ্দিনের বদৌলতেই রচিত হয়েছে লাল সবুজদের অধিকাংশ আক্রমণ। ২৩ মিনিটে জীবনের ছোট পাস ধরে ডি-বক্সের বাইরে থেকে সুমন রেজার শট ক্রসবারের একটু ওপর দিয়ে বাইরে চলে যায়। সাত মিনিট পর প্রতি-আক্রমণ থেকে ভালো একটি সুযোগ এসেছিল। কিন্তু জীবনের ক্রসের বলে দুর্বল শটে হতাশ করেন সুমন।

 

দ্বিতীয়ার্ধেও প্রথমার্ধের মতো আধিপত্য বিস্তার করে রাখেন জামাল ভুঁইয়ারা। ম্যাচের শুরুতে পরপর দুটি আক্রমণ রচনা করলেও সফল ফিনিশিং টানতে পারেননি তারা। বারবার খেই হারিয়েছেন নেপালের রক্ষণভাগে গিয়ে। এই অর্ধে অবশ্য নেপালও বেশ কয়েকটি পাল্টা আক্রমণ করলেও সফলতার দেখা পায়নি।

 

অবশ্য অন্তিম মুহুর্তে অতিথিদের কয়েকটি আক্রমণ স্বাগতিকদের ভীত নড়িয়ে দিয়েছিল। একটি শটের বল প্রতিহত করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন গোলরক্ষক রানা। তবে ভাগ্যদেবীর সহায়তায় বলটি সাইডবারে লেগে ফিরে যায়। এসময় মিনিট তিনেক বাংলাদেশ সীমানায় ঘুরপাক খাচ্ছিল বল। তবে কোনও অঘটন ঘটার আগেই বেজে উঠে রেফারির স্বস্তিময় শেষ বাঁশি। হাঁফ ছেড়ে বাঁচে স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্টেডিয়ামে উপস্থিত হাজার দশেক লাল-সবুজ সমর্থক। ম্যাচ শেষে পোড়ানো হয় আতশবাজি।

খেলাধুলা বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর