ঢাকা, ২৯ মার্চ শুক্রবার, ২০২৪ || ১৪ চৈত্র ১৪৩০
good-food
৬৯৩

বিশ্ববিদ্যালয়েও গুচ্ছ পদ্ধতি !

নয়া এমপিওভুক্তি মাসখানেকেই

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৯:৪৩ ১০ এপ্রিল ২০১৯  

বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নতুন এমপিওভুক্তি মাসখানেকের মধ্যেই। এমনই আশা জানালেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

আজ বুধবার সচিবালয়ে গণমাধ্যমের শিক্ষাবিষয়ক সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ আশা জানান তিনি।

 

দীপু মনি বলেন, আমরা দরকারি প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। আশা করছি, মাসখানেকের মধ্যে এমপিওভুক্তির ঘোষণা করতে পারব।

 

এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারিরা প্রতি মাসে বেতন-ভাতা বাবদ সরকারি অংশ (মূল বেতন ও কিছু ভাতা) পেয়ে থাকেন।

এমপিও নয় — এমন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারিরা এমপিওভুক্তির দাবিতে দীর্ঘদিন আন্দোলন করে আসছেন। সবশেষ ২০১০ সালে ১ হাজার ৬২৪টি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হয়। এরপর আর কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হয়নি।

 

নতুন করে কতগুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হবে - প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এমপিওভুক্তির জন্য চারটি সূচকের ভিত্তিতে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে থেকে আবেদন চাওয়া হয়েছিল। প্রতিষ্ঠানগুলোর দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে যোগ্য প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা প্রায় আড়াই হাজার। এই সংখ্যা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে। সেখান থেকে মন্ত্রণালয় এখন যোগ্য প্রতিষ্ঠান ঠিক করছে। আমরা চাইছি, যতগুলো দিতে পারি একবারই করতে।

 

এদিকে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি জানান, মেডিক্যাল কলেজের মত সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়েও সমন্বিত বা গুচ্ছ পদ্ধতিতে একসঙ্গে ভর্তি পরীক্ষার পক্ষে তিনি।  

 

শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের দুর্ভোগ কমাতে বড় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এ লক্ষ্যে সরকারকে সহযোগিতা করবে বলেও আশা জানান তিনি।

 

মনি বলেন, আমি জানি কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয়, বড় বিশ্ববিদ্যালয়, অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় নানান কারণে তারা এর বিরোধিতা করে। কিন্তু সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষাটি শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের জন্যে খুবই জরুরি।

 

সারা দেশের ১৩ লাখ ৫১ হাজার ৫০৫ জন শিক্ষার্থী এবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন। জুলাইয়ে ফল প্রকাশের পর শুরু হবে ভর্তিযুদ্ধ। বর্তমান নিয়মে এইচএসসি পাস করা শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়। তাতে ভোগান্তির পাশাপাশি তাদের প্রচুর অর্থও খরচ হয়।

 

অন্যদিকে দেশের সব মেডিকেল কলেজে এক দিনে একসঙ্গে এক প্রশ্নে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে মেধাক্রম অনুযায়ী শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়।

 

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আচার্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদও গতবছর এক অনুষ্ঠানে গুচ্ছভিত্তিক বা সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা চালুর বিষয়ে ভাবার তাগিদ দেন।

 

সরকারের গত মেয়াদে তখনকার শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ গুচ্ছভিত্তিক ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার উদ্যোগ নিলেও বিভিন্ন পক্ষের বিরোধিতায় তা আর আলোর মুখ দেখেনি।

 

সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ২০১৩ সালে সমন্বিত পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার আয়োজন করেও শেষ পর্যন্ত আন্দোলনের মুখে তা বাতিল করে।

 

গুচ্ছভিত্তিক ভর্তি পরীক্ষার পক্ষে নিজের অবস্থান তুলে ধরে দীপু মনি বলেন, অনেক হয়রানি কমে যায়, অর্থ অপচয় কমে যায়, কষ্ট কমে যায়। বিশেষ করে নারী শিক্ষার্থীদের পক্ষে সম্ভব না সারাদেশে এখানে ওখানে সেখানে গিয়ে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া। অনেক সময় আমি শুনি ছেলেরা মসজিদে রাতে ঘুমিয়ে পরীক্ষা দেয়। মেয়েরা কোথায় গিয়ে থাকবে? তাদের বাবা-মা এবং সব বাব-মায়ের পক্ষে কি তা সম্ভব? এটা তো সম্ভবও নয়।

শিক্ষানীতি বাস্তবায়নের কাজ চলছে বলেও এসময় জানান শিক্ষামন্ত্রী।