ঢাকা, ২৬ এপ্রিল শুক্রবার, ২০২৪ || ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
১৮৭

পরীক্ষা দিচ্ছে ২০ লাখ শিক্ষার্থী, মানতে হচ্ছে যেসব নির্দেশনা

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৪:৩৭ ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২  

প্রথমে করোনা মহামারী, পরে বন্যা। ফলে দুই ধাপে ৭ মাস পিছিয়ে যায় এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। অবশেষে বৃহষ্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) তা শুরু হয়েছে। এবার ২০ লাখের বেশি শিক্ষার্থী এ পরীক্ষা দিচ্ছে।আগের প্রথা ভেঙে সকাল ১০টার পরিবর্তে এদিন বেলা ১১টায় এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। পুনর্বিন্যস্ত পাঠ্যসূচিতে তা হয় ২ ঘণ্টার। প্রথম দিন বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষা হয়।

 

পরীক্ষার নির্ধারিত সময়ের আগেই সারাদেশের স্কুলগুলোর সামনে হাজির হয় পরীক্ষার্থীরা। তাদের সঙ্গে অভিভাবকরাও কেন্দ্র এলাকায় ভিড় করেন। পরীক্ষা শুরুর আধা ঘণ্টা আগে কেন্দ্রে প্রবেশের নির্দেশনা রয়েছে। তবে অনেক পরীক্ষার্থীকে এর পরেও ঢুকতে দেখা গেছে। সেক্ষেত্রে তাদের নাম, রোল নম্বর, প্রবেশের সময় ও দেরি হওয়ার কারণ একটি খাতায় লিখে রাখা হয়েছে। কেন্দ্রের বাইরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীদের ব্যস্ত থাকতে হয়েছে অভিভাবকদের জটলা সরানোর কাজে।

 

একবার চোখ বুলিয়ে নিন

#এবার দেশের ৩ হাজার ৭৯০টি কেন্দ্রে মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে।

#স্কুলপর্যায়ের এ সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে ২০ লাখ ২১ হাজার ৮৬৮ শিক্ষার্থী।

#এর মধ্যে ১৫ লাখ ৯৯ হাজার ৭১১ জন নয়টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে।

 

#তাদের মধ্যে বিজ্ঞানে ৫ লাখ ৮ হাজার ২৩৬ জন, মানবিকে ৭ লাখ ৯০ হাজার ৯১ জন, ব্যবসায় শিক্ষার ৩ লাখ ১ হাজার ৩৮৪ জন পরীক্ষা দিচ্ছে।

#২ লাখ ৬৮ হাজার ৪৯৫ জন মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে দাখিল পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে।

#১ লাখ ৫৩ হাজার ৬৬২ জন শিক্ষার্থী কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের আধীনে এসএসসি ভকেশনাল পরীক্ষায় বসেছে।

 

#এবার বিদেশের আটটি কেন্দ্রে পরীক্ষার্থী রয়েছে ৩৬৭ জন।

#২০২১ সালের তুলনায় এবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পরীক্ষার্থী কমেছে ২ লাখ ২১ হাজার ৩৮৬ জন।

 

করোনার কারণে সাড়ে ৪ মাস পিছিয়ে গত ১৯ জুন এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরুর কথা ছিল। তবে সেসময় বিভিন্ন জেলায় বন্যার কারণে তা স্থগিত হয়। এরপর সেই পরীক্ষা শুরু হলো আরও ৩ মাস পর।

 

খুঁটিটনাটি

করোনা মহামারীতে শিখন ঘাটতি থাকায় এবার পুনর্বিন্যস্ত পাঠ্যসূচিতে পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে। ফলে পরীক্ষার সময় কমিয়ে ২ ঘণ্টা করা হয়েছে। বাংলা দ্বিতীয় পত্র, ইংরেজি প্রথম পত্র ও দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা হবে ৫০ নম্বরের।

 

যেসব বিষয়ের ব্যবহারিক আছে, সেগুলোতে ৪৫ নম্বরের (রচনামূলক ৩০ ও নৈর্ব্যক্তিক ১৫ নম্বর) পরীক্ষা হবে। আর ব্যবহারিক না থাকলে ৫৫ নম্বরের (রচনামূলক ৪০ ও নৈর্ব্যক্তিক ১৫) পরীক্ষা দিতে হবে শিক্ষার্থীদের।

 

ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এবং বিজ্ঞান পরীক্ষা না নিয়ে সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে মূল্যায়ন করা হবে। প্রতিটি বিষয়ে নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নের জন্য ২০ মিনিট এবং রচনামূলক প্রশ্নের জন্য ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট সময় থাকছে। মাঝে কোনো বিরতি থাকবে না।

 

দৃষ্টি, সেরিব্রাল পালসিজনিত এবং হাত নেই- এমন প্রতিবন্ধীরা পরীক্ষায় শ্রুতি লেখক নিয়ে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাচ্ছে। এ ধরনের পরীক্ষার্থী ও শ্রবণ প্রতিবন্ধীরা অতিরিক্ত ১৫ মিনিট সময় পাবে।

 

অন্যান্য প্রতিবন্ধিতা রয়েছে-এমন পরীক্ষার্থীরা অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় পাবেন; শিক্ষক, অভিভাবক বা সাহায্যকারীর সহায়তায় তারা পরীক্ষা দিতে পারবে। পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যেই ফলাফল প্রকাশ করা হবে।

 

যেসব নির্দেশনা মানতে হবে

পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে কিছু নির্দেশনা দিয়েছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটি। সেগুলো হলো-

#পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে।

#শিক্ষার্থীরা নন-প্রোগ্রামেবল সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবে।

 

# প্রশ্নপত্র ফাঁস এড়াতে পরীক্ষার হলে মোবাইল ফোনের ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

# শিক্ষা বোর্ডগুলোর পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষা কেন্দ্রগুলো অনলাইনে সার্বক্ষণিকভাবে যোগাযোগ রাখবে। পরীক্ষা সংশ্লিষ্টরা ছাড়া অন্য কোনো ব্যক্তি পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবে না।

 

# পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিটি আগে মোবাইল ফোনে এসএমএসের মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের প্রশ্নপত্রের সেট কোড জানিয়ে দেয়া হবে।

# কেন্দ্র সচিব ছাড়া অন্য কেউ মোবাইল ফোন/ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না। তবে ছবি তোলা যায় না-এমন মোবাইল ফোন নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন তিনি।