ঢাকা, ২৪ এপ্রিল বুধবার, ২০২৪ || ১১ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
৯০৬০

পরীক্ষার খাতায় ভালো নম্বর পাওয়ার ৯ উপায়

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২১:০১ ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯  

এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হচ্ছে শনিবার।  ভালো নম্বর পাওয়া শিক্ষার্থীর কাছে চরম আরাধ্য। কারণ মেধা ভালো হলেই যে পরীক্ষায় ১০০% নম্বর পাওয়া যাবে তা ভুল।  এক্ষেত্রে যেকোনো বিষয়ের ওপর স্বচ্ছ ধারণার পাশাপাশি পরীক্ষায় খাতায় কিভাবে উত্তর উপস্থাপন করতে হয় তাও জানতে হবে।  এ লেখাটি তা নিয়েই-

পরিষ্কার হাতের লেখা: 

হাতের লেখা অসাধারণ-সুন্দর হতে হবে এমন কোনো কথা নেই।  তবে পরিষ্কার হতে হবে। বাংলায় একটি প্রবাদ আছে, আগে দর্শনধারী পরে গুণবিচারী  অর্থাৎ প্রথম দর্শনে সুন্দর হতে হবে, পরে গুণের বিচার করা হবে।  তাই পরীক্ষার খাতায় হাতের লেখা সুন্দর হলে পরীক্ষকের একটা আলাদা আকর্ষণ তৈরি হয়।  সর্বোপরি, সুন্দর ও সুস্পষ্ট লেখা পরীক্ষার্থী সম্পর্কে একটা ইতিবাচক ধারণা তৈরি করে। যার প্রভাব সম্পূর্ণ খাতার ওপরেই পড়ে।  কাটাছেঁড়া কম করার চেষ্টা করতে হবে।  কাটা গেলে একটান দিয়ে কাটতে হবে।

প্যারা করে লেখা:

উত্তরপত্রে লেখা উপস্থাপনের ক্ষেত্রে আরেকটি দিক খেয়াল রেখে উত্তর করতে হবে। তা হলো প্যারা করে লেখা।  এভাবে লিখলে একই সঙ্গে উপস্থাপিত তথ্য ভালোভাবে শিক্ষকের চোখে পড়ে।  উপস্থাপিত তথ্যও সুস্পষ্টভাবে দৃষ্টিগোচর হয়। উত্তর লেখার সময় পয়েন্ট সহকারে প্যারা করে লিখতে হবে।  খেয়াল রাখতে হবে উভয় প্যারার মাঝে দূরত্ব লাইনের মধ্যবর্তী দূরত্বের যেন দ্বিগুণ হয়।

নানা রঙের কলম ও কালি ব্যবহার:

অনেকে পরীক্ষার খাতায় নানা রঙের কলম ও কালি ব্যবহার করে থাকে।  এতে একটু সময় নষ্ট হলেও খাতার উপস্থাপনার সৌন্দর্য বাড়ে।  মার্জিন করার ক্ষেত্রে একটি ভালো মানের পেন্সিল ব্যবহার করতে হবে।  বিশেষ পয়েন্ট চিহ্নিত করার জন্য সবুজ, নীল বা হলুদ যেকোনো একটি অথবা লেখার কলম কিংবা মার্জিনের পেন্সিলটিও ব্যবহার করা যেতে পারে।  নানা রকম কালি ব্যবহার করলে খাতার সৌন্দর্য বাড়ে।  তা নম্বর পাওয়াতে প্রভাব ফেলতে পারে।  লেখার সময় ওপরে ও বামপাশে এক স্কেল এবং নিচে ও ডানপাশে হাফ স্কেল জায়গা ফাঁকা রাখতে হবে।

প্রশ্নপত্র ভালোভাবে পড়া:

পরীক্ষার সময় ধৈর্য সহকারে প্রশ্নের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে ফেলতে হবে।  অনেক শিক্ষার্থীই পুরো প্রশ্ন না পড়েই উত্তর করা শুরু করে।  সময় একটু বেশি লাগলেও  ধৈর্য সহকারে প্রশ্নপত্র পড়তে হবে।  প্রশ্নে যেরকম চেয়েছে তাই বুঝিয়ে লেখার চেষ্টা করতে হবে। উত্তর উপস্থাপনের সময় প্রশ্নের সঙ্গে প্রসাঙ্গিক উত্তর করার চেষ্টা করতে হবে।  অযথাই এককথা বারবার লিখে উত্তর অপ্রাসঙ্গিক করার দরকার নেই।  তাই খেয়াল রাখতে হবে প্রশ্নে কী চেয়েছে।

কখনো কিছু ছেড়ে আসা যাবে না:

পরীক্ষায় খালি খাতা জমা দিয়ে আসার চাইতে কিছু লিখে আসা অনেক ভালো।  হারাবার তো কিছু নেই, তাই না? খালি খাতা দিলে নিশ্চিত ০ শূন্য পাবে।  এর চেয়ে কিছু তো লিখে আসা যায়।  তাই পাশ ফেলের কথা চিন্তা না করে যতটুকু পারা যায় উত্তর করে আসতে হবে।

সহজ প্রশ্নের উত্তর সব আগে:

যেটা ভালো পারা যাবে, সেটার উত্তর আগে করতে হবে।  জটিল প্রশ্নের উত্তর আগে দিতে গিয়ে সময় নষ্ট করা যাবে না।  যে প্রশ্নের উত্তর ভালোভাবে পারা যাবে, এর উত্তর দিতে হবে।

গাদা গাদা লুজ শিট নেয়ার প্রতিযোগিতা:  অনেকের ধারণা, পরীক্ষায় অনেক লুজ শিট নিয়ে খাতা ভারি হলেই তা বেশি নম্বর প্রাপ্তিতে সহায়তা করে।  এই চিন্তা বাদ দিতে হবে।  পরীক্ষায় অতিরিক্ত ইনিয়ে বিনিয়ে লিখে পাতার পর পাতা ভরাবার দরকার নাই।

সময় ভাগ কাজ করা:

৬টা প্রশ্নের জন্য ৩ ঘণ্টা সময় থাকলে অবশ্যই ঘড়ি ধরে প্রশ্নপিছু ২৫২৮ মিনিট ধরে লিখতে হবে।  চেষ্টা করতে হবে পরীক্ষার হলে ডিজিটাল ঘড়ি ব্যবহার করতে, যাতে নিখুঁতভাবে সময়ের হিসাব থাকে।  পরীক্ষা শেষে কোনটা ঠিক হলো, কোনটা ভুল হলো এমন হিসাব করা একেবারেই বাদ দিতে হবে।  তোমার বন্ধুর ১০টা হলে তোমার যদি হয় ৪টা, সেটা জেনে কী করবে? সেটা জানার চাইতে না জানাই ভালো।  তাই পরীক্ষা শেষে প্রশ্নটাকে নির্বাসনে পাঠাও। প্রশ্ন নিয়ে চিবিয়ে খেলেও যা লিখে এসেছো তা তো আর পাল্টাবে না, তাই না?

আত্মবিশ্বাস:

পরীক্ষার হলে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টি তা হলো আত্মবিশ্বাস।  পরীক্ষার আগে তুমি যা যা পড়েছো তা সঠিকভাবে খাতায় উপস্থাপন করে আসাটাই মাথায় রাখতে হবে শুধু। আর কিছু নয়! যা শিখে গেলে তা যদি অতিরিক্ত টেনশনে ভুলে গিয়ে লিখে দিয়ে আসতে না পারা যায় তাহলে লাভ নেই।  পড়াশোনা আর পরীক্ষা শব্দ দুটি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। একটিকে ছাড়িয়ে আরেকটি কল্পনা করা যায় না। পরীক্ষার হলে প্রশ্ন দেখে ঘাবড়ে যাওয়া যাবে না।  আত্মবিশ্বাস রাখতে হবে।