ঢাকা, ২৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার, ২০২৪ || ১২ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
৫০৩

পাকিস্তানের কাছে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারল বাংলাদেশ

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৯:৫৭ ২৫ জানুয়ারি ২০২০  

এক ম্যাচ বাকি রেখে পাকিস্তানের কাছে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারল বাংলাদেশ। শনিবার সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে স্বাগতিকদের কাছে ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারের লজ্জা পায় টাইগাররা। গতকাল সিরিজের প্রথম ম্যাচে তাদের কাছে ৫ উইকেটে হারে মাহমুদউল্লাহর দল। এ জয়ে সিরিজ জয় নিশ্চিতের পাশাপাশি ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল বাবর বাহিনী।
লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচেও টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্বান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। প্রথম ম্যাচে দলকে ১১ ওভারে ৭১ রানের সূচনা এনে দিয়েছিলেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও মোহাম্মদ নাইম। এবার আর দলকে ভালো শুরু এনে দিতে পারেননি তারা। দ্বিতীয় ওভারে শাহিন শাহ আফ্রিদির বলে আউট হন নাইম।  তার বিদায়ে উইকেটে আসেন প্রায় দু’বছর পর জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়া মেহেদি। পিঞ্চ হিটার হিসেবে মাঠে নামেন সদ্য সমাপ্ত ‘বঙ্গবন্ধু’ বিপিএলে ব্যাট হাতে তিনটি হাফসেঞ্চুরি করা ব্যাটসম্যান। তবে সুবিধা করতে পারেননি তিনি। মোহাম্মদ হাসনাইনের বলে আউট হন মেহেদী। ফলে ২২ রানে ২ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এ অবস্থায় পাওয়ার প্লেতে ৩৩ রানে তুলতে পারে টাইগাররা। পাওয়ার প্লের পর প্যাভিলিয়নে ফেরেন চার নম্বরে নামা লিটন দাস। শাদাব খানের বলে লেগ বিফোর আউট হন তিনি। বাঁচার জন্য রিভিউ নিয়েছিলেন। কিন্তু আম্পারয়াস কলে বিদায় নিতে হয় তাকে।
দলীয় ৪১ রানে লিটনের বিদায়ে ক্রিজে তামিমের সঙ্গী হন আফিফ হোসেন। বড় জুটির লক্ষ্যে সর্তকতার সঙ্গে খেলতে থাকেন তারা। তবে উইকেটে সেট হওয়ার পর দ্রুত রান তোলায় মনোযোগ দেন তামিম ও আফিফ।
১০ম ওভারে শাদাবকে ১টি করে চার-ছক্কা মারেন আফিফ। বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে খেলতে থাকা তামিম ১৫তম ওভারের প্রথম বলে লেগ বিফোর আউট হন। বোলার ছিলেন হাসনাইন। কিন্তু রিভিউ নিয়ে এ যাত্রায় বেঁচেচ যান তিনি। তবে ওই ওভারের চতুর্থ বলে আফিফকে বিদায় দেন হাসনাইন। ২০ বলে ২১ রান করেন তিনি। চতুর্থ উইকেটে ৪২ বলে ৪৫ রানের জুটি গড়েন তামিম-আফিফ।
আফিফকে হারানোর পর টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে সপ্তম এবং পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম হাফসেঞ্চুরির স্বাদ নেন তামিম। বাউন্ডারি মেরে ৪৪ বলে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি। এরপর দ্রুত রান তোলার চেষ্টা করেন ড্যাশিং ওপেনার। তিনটি চারে নিজের স্কোরকে ষাটের ঘরে নিয়ে যান তামিম। তবে ব্যক্তিগত ৬৫ রানে থামতে হয় তাকে। ১৮তম ওভারে রানআউট হন তিনি। ৫৩ বলে ৭ চার ও ১ ছক্কায় নিজের দায়িত্বপূর্ণ ইনিংসটি সাজান বাঁহাতি ওপেনার। প্রথম ম্যাচে ৩৪ বলে ৩৯ রান করেছিলেন তামিম।
এ ওপেনারের বিদায়ের পর বাংলাদেশকে লড়াই করার পুঁজি এনে দেয়ার দায়িত্ব পান মাহমুদউল্লাহ। কিন্তু ব্যর্থ হন তিনি। শেষ ওভারে আউট হওয়া টাইগার দলপতি ১২ বলে ১২ রান করেন। শেষ পর্যন্ত সৌম্য সরকারের ৫ বলে অপরাজিত ৫ এবং আমিনুল ইসলামের ৪ বলে ২ চারে অপরাজিত ৮ রানে ৬ উইকেটে ১৩৬ রান করে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের হাসনাইন ২০ রানে ২ উইকেট নেন।
১৩৭ রানের সহজ লক্ষ্যের জবাব দিতে নেমে দ্বিতীয় ওভারে ওপেনার আহসান আলিকে হারায় পাকিস্তান। প্রথম ম্যাচের মতো এবারও সেই শিবিরে আঘাত হানেন পেসার শফিউল ইসলাম। আহসানকে রানের খাতা খুলতে দেননি তিনি।
তার বিদায়ে উইকেটে বাবরের সঙ্গী হন মোহাম্মদ হাফিজ। দ্রুত রান তোলার চেষ্টায় ছিলেন বাবর। তার ১১ বলে ২৩ রানের সুবাদে পাওয়ার প্লেতে ৩৬ রান পায় পাকিস্তান।
পাওয়ার প্লে’র পর ঝুঁকি নেননি বাবর। ফলে ১০ ওভার শেষে ৬৮ রান পায় পাকিস্তান। তবে এরপরই মারমুখী রুপ নেন হাফিজ। পরের ৩ ওভারে ৫ চারে ৩৯ বলে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে ১১তম হাফসেঞ্চুরির স্বাদ নেন তিনি। এসময় বাবরের রান ছিল ৩২ বলে ৪৩।
তবে ১৪তম ওভারে মোস্তাফিজুর রহমানকে ছক্কা মেরে হাফসেঞ্চুরির দোড়গোড়ায় পৌঁছে যান তিনি। ৩৪ বলে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে ১৩তম হাফসেঞ্চুরির পূর্ণ করেন পাক দলপতি।
বাবরের হাফসেঞ্চুরির পর হাফিজকে বিদায়ের সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। মোস্তাফিজের বলে হাফিজের ক্যাচ ফেলেন লিটন। তাই জীবন পেয়ে বাবরের সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন থেকে ম্যাচ ও সিরিজ জয় নিশ্চিত করেন তিনি।
আফিফের করা ১৬তম ওভার থেকে ১৬ রান নেন বাবর ও হাফিজ। শেষ পর্যন্ত ২০ বল বাকি রেখে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন তারা। ৪৪ বলে ৭ চার ও ১ ছক্কায় বাবর অপরাজিত ৬৬ এবং ৪৯ বলে ৯ চার ও ১ ছক্কায় হাফিজ অপরাজিত ৬৭ রান করেন। দ্বিতীয় উইকেটে ৯০ বলে অবিচ্ছিন্ন ১৩১ রান যোগ করেন তারা। বাংলাদেশের শফিউল ৩ ওভারে ২৭ রানে ১ উইকেট নেন।
আগামী ২৭ জানুয়ারি একই ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি।

খেলাধুলা বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর