ঢাকা, ২৬ এপ্রিল শুক্রবার, ২০২৪ || ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
২০৯

বাড়তি দরেও মিলছে না চিনি

বেড়েছে পেঁয়াজের দাম, উত্তাপ ছড়াচ্ছে মসলা

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ০০:৫২ ৮ মে ২০২৩  

সপ্তাহ ব্যবধানে কেজিতে অন্তত ১৫ টাকা বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। অন্যান্য মসলার বাজারেও ছড়াচ্ছে উত্তাপ। বাড়তি দরেও মিলছে না চিনি। এজন্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান এবং বড় পাইকারদের দুষছেন খুচরা বিক্রেতারা।


রোববার (৭ মে) রাজধানীর মোহাম্মদপুর টাউন হল কাঁচা বাজারে বেলা গড়ালেও দেখা নেই কাঙ্ক্ষিত ক্রেতার। এতে অলস সময় পার করেন বেশিরভাগ দোকানি।


ঈদের পরই নতুন করে কয়েক দফা দাম বেড়েছে নিত্যপণ্যের। প্রতিযোগিতায় এগিয়ে মসলাজাতীয় পণ্য। সপ্তাহ ব্যবধানে কেজিতে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে পেঁয়াজের দর। পিছিয়ে নেই আদা, রসুন ও জিরা। 

 

খুচরা বিক্রেতাদের অভিযোগ, কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে বাজার অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করছে সিন্ডিকেট। আর বাজেটের মধ্যে পণ্য না পেয়ে আক্ষেপ ক্রেতার কণ্ঠে।

 

এক বিক্রেতা বলেন, ঈদের আগে আমরা প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি করেছি ৪০ টাকায়। এ উৎসবের পরই ৫০ টাকা হয়ে গেছে। 

 

আরেক বিক্রেতা বলেন, ঈদের আগে পেঁয়াজ, রসুন, আদার মূল্য কম  ছিল। তবে পরে অনেক বেড়ে গেছে। 

 

এক ক্রেতা জানান, মুরগি, মাংস মাসে একবার কেনা হয়। আর কিনতেই পারি না। এ অবস্থা চলতে থাকলে ভবিষ্যতে চলা কঠিন হবে।

 

অপর ক্রেতা বলেন, জিনিসপত্রের দাম একটু কমলে ভালো হয়। এতে চলা আমাদের জন্য কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে। খাওয়া কমিয়ে দিতে হচ্ছে।

 

কাগজে কলমে চিনির সংকট না থাকলেও বাজারে এ পণ্যের দেখা মেলা ভার। দু'একটি দোকানে থাকলেও যা কিনতে পরিশোধ করতে হচ্ছে বাড়তি অর্থ। 

টিসিবির হিসাবে, সপ্তাহ ব্যবধানেই কেজিতে বেড়েছে ১৭ শতাংশ।

 

এক দোকানি বলেন, এক বস্তায় চিনির দাম বেড়েছে ৯০০ থেকে ১০০০ টাকা। এটি কিনতে গেলে মেমো দিতে চায় না ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো। তারা বলে, সরবরাহ কম।

 

আরেক দোকানি বলেন, কেজিপ্রতি চিনি কিনতে হচ্ছে ১২৭ টাকা। আর বিক্রি করছি ১৩৫ টাকায়।
পরিপ্রেক্ষিতে এক ক্রেতা বলেন, এ পরিস্থিতি আমাদের জন্য খুবই কষ্টকর। এ দশা থেকে পরিত্রাণ পেতে সরকারের প্রয়োজনী পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন।

 

তবে বাড়তি দরের সয়াবিন তেল বাজারে না পৌঁছায় এখনও আগের দামে তা মিলছে। এতটুকুই যেন স্বস্তি ক্রেতার।

অর্থনীতি বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর