ঢাকা, ২৯ মার্চ শুক্রবার, ২০২৪ || ১৫ চৈত্র ১৪৩০
good-food
৬০৬

ব্যাটে-বলে রাজশাহীর জয়ের নায়ক মেহেদী

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২২:১৮ ২৪ নভেম্বর ২০২০  

মেহেদি হাসানের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে দুর্দান্ত জয় দিয়ে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ শুরু করল মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী। টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে বেক্সিমকো ঢাকাকে ২ রানে হারিয়েছে তারা। তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচে প্রথমে ব্যাট হাতে ৩২ বলে ৫০ রান এবং শেষ ওভারে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে দারুণ বোলিং করে শ্বাসরুদ্ধকর জয়ে বড় অবদান রাখেন মেহেদি।

 

টস জিতে প্রথমে বোলিংএর সিদ্ধান্ত নেন ঢাকার অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। তাই আগে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৬৯ রান করে রাজশাহী। ৩২ বলে ৫০ রানের ইনিংস খেলেন মেহেদি। জবাবে ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৬৭ রান করে ঢাকা।

 

মঙ্গলবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট হাতে নেমে ভালো শুরুর ইঙ্গিত দেন রাজশাহীর দুই ওপেনার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও আনিসুল ইসলাম ইমন। ২৩ বলে ৩১ রানের জুটি গড়েন তারা। ২ ছক্কায় ১৬ বলে ১৭ রান করে স্পিনার নাসুম আহমেদের বলে আউট হন শান্ত। 

 

এরপর তিন ব্যাটসম্যান- রনি তালুকদার, মোহাম্মদ আশরাফুল ও ফজলে মাহমুদ দ্রুত ফেরেন। রনি ৬, আশরাফুল ৫ রান করে পেসার মুক্তার আলীর শিকার হন। রানের খাতা না খুলেই রানআউট হন ফজলে। এর মাঝে ২৩ বলে ৩৫ রান করে থামেন ওপেনার ইমন। তার ইনিংসে ৫ চার ও ১ ছক্কা ছিল।

 

দলীয় ৬৫ রানে রাজশাহীর পঞ্চম উইকেট পতনের পর দলের হাল ধরেন উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান সোহান ও মেহেদি। ঢাকার বোলারদের উপর আক্রমণাত্মক ব্যাট চালান তারা। ষষ্ঠ উইকেটে ৪৯ বলে ৮৯ রানের দুর্দান্ত জুটি গড়েন তারা।

 

২০ বলে ২ চার ও ৩ ছক্কায় ৩৯ রান করে মুক্তারের তৃতীয় শিকার হন নুরুল। তবে ৩১ বলে হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন মেহেদি। হাফসেঞ্চুরিতে পা দিয়েই থামতে হয় তাকে। তার ইনিংসে ৩ চার ও ৪ ছক্কা ছিল। শেষদিকে ফরহাদ রেজার ৬ বলে অপরাজিত ১১ রানে লড়াকু পুঁজিতে পৌছায় রাজশাহী। ঢাকার হয়ে মুক্তার ৪ ওভারে ২২ রানে নেন ৩ উইকেট।

 

১৭০ রানের লক্ষ্যে ভালো শুরু হয়নি ঢাকার। ৫৫ রানে ৩ উইকেট হারায় তারা। তবে তাদের রান তোলার গতি ছিল ওভার প্রতি ৮-এর কাছে। দুই ওপেনার তানজীদ হাসান-ইয়াসির আলি যথাক্রমে ১৮ ও ৯ রান করেন। তিন নম্বরে নামা মোহাম্মদ নাইম ২৬ রানে ফেরেন।

 

৪১ বলে ৩ উইকেট পতনের পর দলকে খেলায় ফেরান মুশফিকু এবং সর্বশেষ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী বাংলাদেশ অধিনায়ক আকবর আলী। ৫৩ বলে ৭১ রানের জুটি গড়েন তারা। এর মধ্যে ২৯ বলে ৩৪ রান অবদান ছিল আকবরের। তার ইনিংসে ৪ চার ও ১ ছক্কা ছিল।

 

আকবরকে শিকার করে রাজশাহীকে ব্রেক-থ্রু এনে দেন পেসার ফরহাদ। তার ফিরে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর আউট হন মুশফিকও। এমন অবস্থায় ম্যাচ নিয়ে চিন্তায় পড়ে যায় ঢাকা। ম্যাচ জিততে শেষ ৩ ওভারে ৬ উইকেট হাতে নিয়ে ৩৬ রানের প্রয়োজন পড়ে তাদের। ১৯তম ওভারে ফরহাদকে তিনটি ছক্কা মারেন মুক্তার। তাতে জয়ের সুযোগ তৈরি হয়ে যায় দলটির সামনে। 

 

শেষ ওভারে ৯ রানের দরকার পড়ে ঢাকার। তবে ওই ওভারের প্রথম তিন বলে কোনও রান দেননি রাজশাহীর মেহেদি। চতুর্থ বলে বাউন্ডারি তুলে নেন মুক্তার। পরের ডেলিভারিটি নো-বল করেন তিনি। তাতে শেষ ২ বলে ৪ রানের সমীকরণ দাঁড়ায় তাদের সামনে।

 

পঞ্চম বল ডট ও শেষ বলে ১ রানের বেশি নিতে পারেননি মুক্তার। ফলে ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৬৭ রান পর্যন্ত যেতে সক্ষম হয় ঢাকা। দলের সর্বোচ্চ ৪১ রান করেন মুশফিক। তার ৩৪ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কা ছিল। রাজশাহীর মেহেদি ৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন। ব্যাট হাতে ৫০ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেন তিনি। তাই ম্যাচসেরা হয়েছেন এ তরুণই।

খেলাধুলা বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর