ঢাকা, ২১ ডিসেম্বর রোববার, ২০২৫ || ৭ পৌষ ১৪৩২
good-food
১০

ভোটে লাখ সেনা মোতায়েন, যৌথ বাহিনীর অভিযান শিগগিরই

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২০:৪৯ ২১ ডিসেম্বর ২০২৫  

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে শিগগিরই দেশব্যাপী যৌথ বাহিনীর অভিযান শুরু হবে। কেউ নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করলে ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। নির্বাচন উপলক্ষ্যে ১ লাখ সেনা মোতায়েন করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

রবিবার নির্বাচন ভবনে আইন-শৃঙ্খলার বাহিনীর বৈঠকের পর এই মন্তব্য করেন তিনি। নির্বাচন পূর্ব আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, যৌথ বাহিনীর কার্যক্রম ও আচরণবিধি প্রতিপালনসহ নির্বাচনি পরিবেশ বজায় রাখতে আইনশৃঙ্খলা বৈঠক করে নির্বাচন কমিশন। দুপুর আড়াইটার পর নির্বাচন কমিশনের সম্মেলন কক্ষে বৈঠক শুরু হয়।

 বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। এর আগে সেনা, নৌ, বিমান বাহিনী প্রধানের সঙ্গে বেলা ১২টায় বৈঠক করে ইসি। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বিস্তারিত জানান কমিশনার সানাউল্লাহ।

শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর পর দৈনিক প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে মূলধারার কোনো রাজনৈতিক দলের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ (অব.)। 

রাজধানীতে সেনাবাহিনীর টহল। ছবি: দেশকাল নিউজ

আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, “সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর তথ্যমতে, নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করতে একটি বিশেষ চক্র শহর এলাকায় টার্গেটেড হামলা করছে। এছাড়া প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার অফিসে হামলার ঘটনাকে ভেন্ডালিজম হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। এ ঘটনায় অন্তত ২০ জনকে চিহ্নিত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”

ইসি সানাউল্লাহ বলেন, “যারা দস্যুতা করতে চায়, যারা আমার ভাইকে হত্যা করতে চায়, যারা ভোটে বিশৃঙ্খলা করতে চায়, তাদের প্রতি মানবিক হবো না।”

“এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যারা আবেগ ব্যবহার করে অপকর্ম করেছে, তার প্রতিদান তারা পাবেন।”

তিনি বলেন, “নির্বাচনের পরিবেশ ক্ষতি করে এমন বিষয়কে বাধা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন কমিশন।” 

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক শেষে নির্বাচন ভবনের অডিটোরিয়ামে ব্রিফিং করেন নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। 

এখন থেকে মাঠপর্যায়ে যৌথবাহিনীর অভিযান চালু হবে। তারা অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, আটক শুরু করবে। পুলিশের পক্ষ থেকেও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হচ্ছে।

তিন বাহিনী প্রধানের সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে সানাউল্লাহ বলেন, “সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে সেনাবাহিনীর মোট এক লাখ সদস্য মোতায়েন করবে। যার এক-তৃতীয়াংশ এরইমধ্যে মাঠে আছে, বাকিদের দ্রুত মোতায়েন হবে।”

সেই সঙ্গে জেলা পর্যায়ে সমন্বয় সেলের মাধ্যমে বাহিনীগুলো ও ম্যাজিস্ট্রেটরা একসঙ্গে কাজ করবেন। কমান্ড ও কন্ট্রোল নিয়ে টেকনিক্যাল আলোচনা সম্পন্ন হয়েছে বলে জানান তিনি।

তফসিল অনুযায়ী আগামী বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় ২৯ ডিসেম্বর। ২১ জানুয়ারি প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ২২ জানুয়ারি থেকে প্রার্থীরা নির্বাচনি প্রচার শুরু করবেন।

ভোটের সব খবর বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর