ঢাকা, ০৫ মে রোববার, ২০২৪ || ২২ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
২০৭

যে ৭ বিষয় কখনও কারও সঙ্গে শেয়ার করবেন না

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৫:১৮ ৯ জানুয়ারি ২০২৪  

সাতটি বিষয় কখনো কারও সঙ্গে শেয়ার করা ঠিক হবে না। কেননা সে ক্ষেত্রে আপনাকে ভুগতে হতে পারে। এ ছাড়া ষড়যন্ত্র, ‘নেগেটিভ এনার্জি’র সম্মুখীন হয়ে পিছিয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে এতে। আত্মোন্নয়নমূলক ওয়েবসাইট মেক মি বেটার অনুসারে এ তথ্য জানা গেছে।

 

স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষা

কথায় বলে, মানুষ তাঁর স্বপ্নের সমান বড়। স্বপ্ন না দেখলে মানুষ বড় হবে কীভাবে? কিন্তু আপনি যদি সেই স্বপ্নের কথা আশপাশের মানুষদের বলে বেড়ান, তাহলে আপনার নিজেরই ক্ষতি। নিজের কথা যাঁদের বলবেন, তাঁদের হয়তো নিজেদের ওপরই অতটা বিশ্বাস নেই। সে হীনম্মন্যতা দিয়ে তাঁরা আপনাকে বিচার করতে পারে। আপনার আত্মবিশ্বাস কমিয়ে দিতে পারে। তা ছাড়া সব স্বপ্ন তো আর পূরণ হবে না, এটিই স্বাভাবিক। কিন্তু সেটা যদি আপনি অন্যদের বলে বেড়ান, তাহলে তারা আপনাকে সেভাবেই দেখবে যে লোকটার কেবল মুখে বড় বড় কথা। আর কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হোন।

 

টাকা-পয়সার বিবরণ

আপনার কী আছে না আছে, তা অন্যদের না জানানোই ভালো। কেবল পরিবারের বিশ্বস্ত মানুষেরা জানবে। প্রথমত, অর্থসম্পদের নিরাপত্তার খাতিরে জানাবেন না। দ্বিতীয়ত, মানুষের ঈর্ষা থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখার জন্যও জানাবেন না।

 

ব্যক্তিগত সমস্যা

মানুষের ব্যক্তিগত সমস্যা থাকবেই। হতে পারে সেটা কোনো শারীরিক বা মানসিক সমস্যা অথবা কোনো ব্যক্তির সঙ্গে কিছু নিয়ে ঝামেলা। অকারণে নিজের সেই সমস্যার কথা শেয়ার করবেন না। যেখানে সমাধান পাবেন, সেখানে শেয়ার করবেন। মানুষের দুর্বল জায়গায় আঘাত করতে সময় লাগে না।

 

বিশ্বাস শেয়ার করবেন না

আপনার যদি এমন কোনো কিছু থেকে থাকে, সেটা একান্তই আপনার ব্যক্তিগত। অকারণে অন্যের সঙ্গে শেয়ার করলে বিড়ম্বনায় পড়তে পারেন। যার সঙ্গে শেয়ার করবেন, তিনি হয়তো এমন বিশ্বাসকে হেসেই উড়িয়ে দিতে পারেন। তার সঙ্গে আপনার সম্পর্কের ঘাটতি হতে পারে। তাই নিজের বিশ্বাস নিজের কাছেই রাখুন। আর বিশ্বাস তো বিশ্বাসই।

 

সম্পর্কের কথা

পৃথিবীতে নিখুঁত সম্পর্ক বলে কিছু নেই। প্রেমিক-প্রেমিকা বা স্বামী-স্ত্রীর মনোমালিন্য খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। আপনি অযথা মানুষের সঙ্গে শেয়ার করলে তা কানকথার সৃষ্টি করবে, নেতিবাচকতা ছড়াবে আর আপনাদের ঝামেলা আরও বাড়বে। বরং আপনজন বা বিশ্বস্ত বন্ধুবান্ধবের সাহায্য নিন। প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞের সাহায্য নিন।

 

গোপন অতীত বা গোপন কথা

সব কথা কখনো কাউকেই বলবেন না। যাঁর যে কথা জানা জরুরি, তাঁকে সে ব্যাপারে জানান। সব শেয়ার করার মাধ্যমে সম্পর্কে জটিলতা সৃষ্টি হয়।

 

স্বাস্থ্যের অবস্থা

সবাইকে আপনার শারীরিক কোনো অসুস্থতা বা অবস্থার কথা জানানোর দরকার নেই। কেননা উপদেশ দেওয়ার মানুষের তো অভাব নেই। আর বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তিনি সে বিষয়ে বিশেষজ্ঞ নন। তাই এতে করে আপনি দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে যেতে পারেন। আপনার উদ্বেগ আরও বাড়তে পারে।