ঢাকা, ২৯ মার্চ শুক্রবার, ২০২৪ || ১৫ চৈত্র ১৪৩০
good-food
২৩৪

যেসব বিষয়ে বাংলাদেশ-ভারতের সমঝোতা হলো

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২২:৪০ ৬ সেপ্টেম্বর ২০২২  

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের দ্বিতীয় দিনে ঢাকা ও নয়াদিল্লির মধ্যে সাতটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়েছে। মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিতে সেগুলো সই হয়। 

 

এগুলো হলো অভিন্ন সীমান্ত নদী কুশিয়ারা থেকে ভারত ও বাংলাদেশের পানি প্রত্যাহারের বিষয়ে ভারত সরকারের জল শক্তি মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ সরকারের পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক, ভারতে বাংলাদেশের রেলওয়ে কর্মীদের প্রশিক্ষণের বিষয়ে ভারতের রেল মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশের রেলওয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক, বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য এফওআইএস এবং অন্যান্য অ্যাপ্লিকেশনের মতো আইটি সিস্টেমে সহযোগিতার জন্য ভারতের রেল মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশের রেলওয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক।   

 

এছাড়া ভারতে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল অফিসারদের প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা বৃদ্ধি কর্মসূচির বিষয়ে ভারতের ন্যাশনাল জুডিশিয়াল একাডেমি এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের মধ্যে সমঝোতা স্মারক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সহযোগিতার বিষয়ে ভারতের কাউন্সিল ফর সাইন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ (সিএসআইআর) ও বাংলাদেশের কাউন্সিল অব সাইন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্টিয়াল রিসার্চের (বিসিএসআইআর) মধ্যে সমঝোতা স্মারক, মহাকাশ প্রযুক্তির ক্ষেত্রগুলোতে সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক এবং প্রসার ভারতী ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) মধ্যে সম্প্রচার সহযোগিতা সংক্রান্ত স্মারক সই হয়েছে। 

 

এর আগে হায়দরাবাদ হাউসে শেখ হাসিনা-মোদির দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় তাদের আলোচনায় নিরাপত্তা সহযোগিতা, বিনিয়োগ, বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সহযোগিতা, অভিন্ন নদীগুলোর পানি বণ্টন, রোহিঙ্গা, পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, মাদক ও মানবপাচার মোকাবিলার মতো পারস্পারিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ইস্যুগুলো প্রাধান্য পায়।

 

চলমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট এবং কোভিড-১৯ মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিবেশী দেশ দুটি এসব সংকট কাটিয়ে উঠতে সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেছে।

 

এর আগে দুই প্রধানমন্ত্রীর একান্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। হায়দরাবাদ হাউসে পৌঁছলে শেখ হাসিনাকে আনুষ্ঠানিকভাবে অভ্যর্থনা জানান নরেন্দ্র মোদি। সেখানে গার্ড অব অনারও প্রদান করা হয়। এসময় দুই দেশের জাতীয় সঙ্গীত বাজানো হয়। 

 

দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর যৌথ বিবৃতি দেয়া হয়। এতে ভিডিও ক্লিপে মৈত্রী বিদ্যুৎ কেন্দ্র, রূপসা সেতু, সড়ক নির্মাণ যন্ত্রপাতি ও মেশিনারী সরবরাহ, খুলনা-দর্শনা রেলওয়ে লাইন এবং পার্বতীপুর কাউনিয়া রেলওয়ে লাইন প্রদর্শন করা হয়। 

 

এসময় শেখ হাসিনা বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের ওপর একটি বই মোদির কাছে হস্তান্তর করেন।  পরে শেখ হাসিনার সম্মানে হায়দরাবাদ হাউসে মোদি আয়োজিত মধ্যাহ্নভোজনেও অংশগ্রহণ করেন তিনি। 

 

সকালে রাষ্ট্রপতি ভবনে যাওয়ার মাধ্যমে ভারতে চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরের দ্বিতীয় দিন শুরু করেন শেখ হাসিনা। সেখান থেকে রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাতে যান তিনি। বিকেলে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ও উপ-রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখারের সঙ্গে পৃথক সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন শেখ হাসিনা।

 

সফরের প্রথম দিন সোমবার (৬ সেপ্টেম্র) আইটিসি মৌর্য্য হোটেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস. জয়শংকর। এরপর নিজামউদ্দিন আউলিয়ার দরগা জিয়ারত এবং নফল নামাজ আদায়, ফাতিহা পাঠ ও মুনাজাত করেন প্রধানমন্ত্রী।