ঢাকা, ২৯ মার্চ শুক্রবার, ২০২৪ || ১৫ চৈত্র ১৪৩০
good-food
৫০৭

শক্তি বাড়িয়েছে ইয়াস, সতর্কতা উপকূলজুড়ে

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১০:১৫ ২৬ মে ২০২১  

শক্তি বাড়িয়ে ভারতেও ওরিষ্যার দিঘা থেকে ১০০ কিমি দূরে অবস্থান করছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। রূপ নিয়েছে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে। বুধবার দুপুরের মধ্যেই স্থলভাগে আছড়ে পড়ার আশঙ্কা করছে আবহাওয়া বিভাগ।

 

ইয়াস উপকূলের কাছাকাছি চলে আসায় উত্তাল সাগর।  ঘূর্ণিঝড়ের ব্যাস প্রায় ৫০০ কিলোমিটার। পায়রা বন্দর থেকে এর দূরত্ব থাকবে প্রায় ২৮০ কিলোমিটার। ফলে কিছু অংশ বাংলাদেশের ভেতরে বা অগ্রভাগে পড়ার আশংকা রয়েছে।

 

বুধবার সকাল ৭টায় আবহাওয়ার বিশেষ বার্তায় জানানো হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৫১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার থেকে ৫০৫ কিলোমিটার, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৩২০ কিলোমিটার এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৩৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে।

 

মহামারীর মধ্যে শক্তিশালী এই ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার আগে শুধু ওড়িষা ও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে ১০ লাখ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সতর্কতামূলক পদক্ষেপে ট্রেন-বিমান চলাচলও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

 

ঘূর্ণিঝড়টির গতিমুখ বাংলাদেশের দিকে না হলেও এর প্রভাব বলয়ে খুলনা উপকূল থাকছে বলে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে প্রায় ১৫ হাজার আশ্রয় কেন্দ্র।

 

বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। দুর্ঘটনা এড়াতে নদীপথে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।

 

ঘূর্ণিঝড় ইয়াস’র কারণে উপকূলীয় এলাকাসহ সারাদেশের ঘূর্ণিঝড় সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ ও আদান-প্রদানের লক্ষ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের এনডিআরসিসি, সিপিপি অধিশাখা এবং সংশ্লিষ্ট শাখাগুলো খোলা থাকবে।

 

বুধবার সরকারি ছুটির দিনে সংশ্লিষ্ট শাখাগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারিদের যথাসময়ে অফিসে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

 

স্থানীয় সরকার বিভাগে কন্ট্রোলরুম খোলার পাশাপাশি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, মাঠ পর্যায়ের সব সরকারি কর্মকর্তাদের সার্বিকভাবে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রণালয়।

 

সরকারি তথ্য বিবরণীতে বলা হয়, বাংলাদেশ বিমানবাহিনী বিভিন্ন ঘাঁটিতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সেল গঠনের পাশাপাশি সার্চ অ্যঅন্ড রেস্‌কিউ অপারেশন এবং মানবিক সহায়তা দিতে বিভিন্ন ধরনের বিমান ও হেলিকপ্টার প্রস্তুত রেখেছে।

 

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, করোনাভাইরাস সংক্রমণের মধ্যে এবারও প্রায় ১৫ হাজার আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সেখানে ২৫ লাখ মানুষের ঠাঁই হবে।