ঢাকা, ২৯ মার্চ শুক্রবার, ২০২৪ || ১৫ চৈত্র ১৪৩০
good-food
৬৭৬

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে যা বললেন শিক্ষামন্ত্রী

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৩:০১ ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২২  

করোনায় আক্রান্ত কমে যাওয়ায় খুব শিগগির সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি। শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় সিলেট সার্কিট হাউসে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় শিক্ষামন্ত্রী জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
 

বক্তব্যে ডা. দীপু মনি জানান, সিলেটের জন্য সব সময় তার আলাদা একটা টান কাজ করে। তিনি বলেন, যেখানেই থাকি না কেনো সিলেট নিয়ে আমাদের মনের মধ্যে একটা টান থাকে। সিলেটে এসে মাজার জিয়ারত করব এটি আমাদের মনের মধ্যে থাকেই।


মন্ত্রী আরও বলেন, সিলেটে এসেছি কয়েকটি বিষয় দেখার জন্য। তার মধ্যে কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উন্নয়নমূলক কাজের অগ্রগতি দেখব। আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।
 

শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে এসেছেন জানিয়ে দীপু মনি বলেন, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আমাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। তাদের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে আমরা এসেছি। সেখানে কিছু প্রশাসনিক কাজকর্ম আছে সেগুলো দেখব। তাদের সমস্যা নিয়ে কথা বলব।


মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান চৌধুরী, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান প্রমুখ।
 

এর আগে শুক্রবার সকাল ৮টা ৫০ মিনিটে বিমানযোগে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি। বিকেল ৩টায় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছে শাবিপ্রবির চলমান সংকট সমাধানের জন্য শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধির সঙ্গে মতবিনিময় করার কথা রয়েছে শিক্ষামন্ত্রীর।
 

গত ১৩ জানুয়ারি শাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সূত্রপাত হয়। ওই দিন রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রাধ্যক্ষ জাফরিন আহমেদে লিজার বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ এনে তার পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলনে নামেন হলের ছাত্রীরা।


এই দাবিতে আন্দোলন চলাকালে গত ১৬ জানুয়ারি বিকেল ৫টায় তিন দফা দাবি আদায়ে উপাচার্যকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইআইসিটি ভবনে অবরুদ্ধ করেন শিক্ষার্থীরা। পরে পুলিশ উপাচার্যকে উদ্ধার করতে গেলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। ওই সময় পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারসেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন। এ ঘটনায় পুলিশ ৩০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি দেখিয়ে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা করে।
 

শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের হামলার ঘটনায় উপাচার্যকে দায়ী করে তার পদত্যাগ দাবি করে আমরণ অনশনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি চালিয়ে আসছেন শিক্ষার্থীরা।
 

টানা সাতদিন পর ২৬ জানুয়ারি অনশন ভাঙেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। এরপর বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড, নাটক, খেলাধুলার মাধ্যমে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছিলেন শিক্ষার্থীরা। তবে ১৪ দিন পেরিয়ে গেলেও প্রক্টর, ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালকের অব্যাহতি ছাড়া আর কোনো দাবি বাস্তবায়ন না হওয়ায় ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে আবারও বিক্ষোভ কর্মসূচিতে নেমেছেন শিক্ষার্থীরা।