ঢাকা, ২৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার, ২০২৪ || ১২ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
৮০৫

সংবাদ প্রচার করতে পারবে না ইউটিউব চ্যানেল ও আইপি টিভি

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৬:২৯ ১৫ অক্টোবর ২০২০  

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ জানিয়েছেন, ইউটিউব চ্যানেল ও আইপি টিভি শুধু এন্টারটেইনমেন্ট চ্যানেল হিসেবে কাজ করবে। সেগুলো কোনো সংবাদ প্রচার করতে পারবে না।

 

তিনি বলেন, আইপি টিভি প্রায় সবকিছু করতে পারবে। তবে শুধু সংবাদ পরিবেশন করতে পারবে না।  আপাতত সেগুলোকে এ নীতিতে চলতে হবে। এটি আমাদের নিয়ম। আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।

 

অনেক ইউটিউব চ্যানেল ও আইপি টিভি বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি খবরও প্রচার করে। মন্ত্রণালয়ের এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে সেগুলো আর তা প্রকাশ করতে পারবে না।

 

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে এক সংলাপে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী। বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) এর আয়োজন করে।

 

বেশ কিছু ইউটিউব চ্যানেল অনলাইনে কার্যক্রম চালাচ্ছে। সেগুলোর জন্য পরবর্তী নির্দেশনা কী হবে? 

 

জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ইউটিউব চ্যানেল ও আইপি টিভিগুলোকে নিবন্ধনের জন্য দরখাস্ত আহ্বান করেছি। সেগুলোর তদন্তের কাজ চলছে। এরপর আমরা নিবন্ধনের কাজ শুরু করব। আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে আইপি টিভি শুধু এন্টারটেইনমেন্ট চ্যানেল হিসেবে কাজ করবে। সেগুলোর নরমাল টেলভিশন চ্যানেলের মতো কাজ করার কথা নয়। আগেও এ ধরনের সিদ্ধান্ত ছিল।

 

এ সংক্রান্ত আরেক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ইউটিউব চ্যানেল ও আইপি টিভি নিয়মিত সংবাদ পরিবেশন করতে পারবে না। সাধারণত কোনো টেলিভিশন চ্যানেল যখন অনুমোদন পায়, শুরুতে সেটি নিউজ প্রচারের অনুমতি পায় না। সেজন্য মাধ্যমটিকে কিছু প্যারামিটার পূরণ করতে হয়। পরে ফের দরখাস্ত করতে হয়। এরপর সংবাদ সম্প্রচারের অনুমতি পায়। 

 

অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিবন্ধনের বিষয়টি কোন পর্যায়ে আছে? উত্তরে ড. মাহমুদ বলেন, অনলাইন নিবন্ধনের কাজ হচ্ছে। ইতোমধ্যে এ মাধ্যম নির্ভর অনেক নিউজ পোর্টালকে নিবন্ধন দেয়া হয়েছে। বাকিগুলো সহসা দেয়া হবে। তবে দেশে কয়েক হাজার অনলাইন হওয়ায় নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় কয়েক মাস লেগে যাবে। 

 

তিনি জানান, তদন্ত সংস্থা রিপোর্ট দেয়ার পরই আমরা নিবন্ধন দিতে পারছি। এর আগে পারছি না। যে কারণে আমাদের একটু সময় লাগছে। তবে আশা করি, এ বছরের মধ্যে শেষ করতে পারব। কিন্তু এর মানে এ নয় যে, পরে আর দেয়া হবে না। 
 

মিডিয়া বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর